ভারতের জম্মু কাশ্মিরে ২৫ পর্যটক ও এক স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যুর পর দুই দেশের উত্তাপ যখন তুঙ্গে তখন সিন্ধু নদের পানি বন্ধের হুমকি দিয়েছে দিল্লি। এরই মধ্যে ভারতের জলশক্তি মন্ত্রী সিআর পাতিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর জানিয়েছেন, পাকিস্তানে এক ফোঁটা পানিও তারা প্রবাহিত হতে দেবেন না। এবার পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বললেন, সিন্ধু নদে হয় পানি বইবে নাহয় ভারতীয়দের রক্ত।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সিন্ধু প্রদেশের সুক্কুর জেলায় পিপিপির এক সমাবেশে বিলাওয়াল এ কথা বলেন বলে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে।

সিন্ধু নদ ডাকাতির চেষ্টা করছে ভারত এমন অভিযোগ তুলে বিলওয়াল ভুট্টো বলেন, সিন্ধু সভ্যতার প্রকৃত উত্তরসূরিরা পাকিস্তানে বসবাস করে। সিন্ধু সভ্যতার উত্তরসূরি হিসেবে পাকিস্তান কখনোই এই নদের ওপর দাবি ছাড়বে না।

পেহেলগাঁওয়ে হামলার পর ভারত সিন্ধু নদের পানি চুক্তি থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে আসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নরেদ্র মোদি সিন্ধুর উত্তরাধিকারের জন্য চিৎকার করলেও, এই সভ্যতার প্রকৃত উত্তরসূরিরা এখনও পাকিস্তানের মাটিতে আছে।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান বা আন্তর্জাতিক মহল মোদির যুদ্ধ কেন্দ্রিক মনোভাব বা সিন্ধু নদের পানির সরিয়ে নেয়ার প্রস্তাব সমর্থন করবে না।

ভারত নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে পাকিস্তানের ওপর দায় চাপাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির এই চেয়ারম্যান বলেন, কোনো প্রমাণ ছাড়াই, ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে ভারত অবৈধভাবে সেই চুক্তি বাতিল করছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমাদের কালে সিনেমাপাগল ছিলাম’

প্রেক্ষাগৃহে নিয়মিত সিনেমা দেখেন অভিনয়শিল্পী ও পরিচালক আফজাল হোসেন। সময়-সুযোগ পেলে বন্ধুবান্ধব নিয়েও যান। বাইরের দেশে গেলেও সিনেমা দেখা হয় তাঁর। ছাত্রজীবন থেকেই সিনেমা দেখার এই অভ্যাস। ১৯৭০ সালে যেদিন প্রথম ঢাকায় এসেছিলেন, সেদিন বাসায় যাওয়ার আগে প্রেক্ষাগৃহে ঢুকে পড়েন। শুটিংয়ের ব্যস্ততায় এবার ঈদের ছবি দেরিতেই দেখা শুরু করেছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার দলবল নিয়ে দেখলেন সিনেমা ‘দাগি’। ছবিটি তাঁকে মুগ্ধ করেছে, এ নিয়ে নিজের ভালো লাগার কথা ফেসবুকেও লিখেছেন। ঈদের সিনেমা দেখা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আফজাল হোসেন ৫৫ বছরের ঢাকার জীবনে প্রেক্ষাগৃহে বসে সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন ফেসবুকে। গতকাল এই ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।

গত শুক্রবার বিকেলে আফজাল হোসেন বলেন, একটা সময় দর্শকের মান উন্নত ছিল। তখন দর্শকেরা সবকিছু দেখতেন। কে গান লিখলেন, কে গল্প লিখলেন; বলা যায় দর্শকের প্রেম ছিল সিনেমার সঙ্গে। সিনেমা তাঁদের কাছে শুধু বিনোদন ছিল না। বিষয়টা এমন নয় যে টাকা দিয়ে টিকিট কাটলাম, সিনেমা দেখলাম, তা নয়। দর্শক সিনেমা নিয়েই মেতে থাকতেন।

আফজাল হোসেনের ভাষ্যে, ‘সারা বিশ্বে সিনেমার রূপান্তর ঘটছে। চলচ্চিত্র দিয়ে দেশের পরিচিতি তৈরি হয়। দেশের নাম ছড়িয়ে পড়তে পারে বিশ্বব‍্যাপী। আর আমরা সিনেমা দেখা, বানানো ছেড়ে দিলাম। আমাদের ঝলমলে সিনেমাজগৎটা অন্ধকারে ডুবে গেল। সৌভাগ্যের কথা হলো, অন্ধকার থেকে সিনেমা আবার উজ্জ্বল হয়ে উঠতে শুরু করেছে। এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া চক্কর, জংলি, দাগি ও ‘বরবাদ’ খুব ভালো লাগছে। ঈদের পর থেকে আজ অবধি যেখানেই যাই, এসব সিনেমা নিয়ে চর্চা হতে দেখি। এটা হারানো সাম্রাজ্য ফিরে পাওয়ার মতো।’

আফজাল হোসেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ