মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় একটি কারখানায় গরম বিলেট (রড উৎপাদনের মধ্যবর্তী কাঁচামাল) মাথায় পড়ে মোহাম্মদ আলী (৪৫) নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মোহাম্মদ আলী নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার বাসিন্দা। তিনি ওই কারখানার প্রোডাকশন বিভাগে কাজ করতেন।

শ্রমিকরা জানান, শুক্রবার রাতে নাইট শিফটে কাজ করছিলেন মোহাম্মদ আলী। হঠাৎ অসাবধনতাবশত গরম বিলেট মাথায় পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে শনিবার সকালে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।

আরো পড়ুন:

হত্যাচেষ্টা মামলায় কুষ্টিয়া পৌরসভার সার্ভেয়ার গ্রেপ্তার

মায়ের বিরুদ্ধে দেড় বছরের শিশুকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

গজারিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/রতন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমাদের কালে সিনেমাপাগল ছিলাম’

প্রেক্ষাগৃহে নিয়মিত সিনেমা দেখেন অভিনয়শিল্পী ও পরিচালক আফজাল হোসেন। সময়-সুযোগ পেলে বন্ধুবান্ধব নিয়েও যান। বাইরের দেশে গেলেও সিনেমা দেখা হয় তাঁর। ছাত্রজীবন থেকেই সিনেমা দেখার এই অভ্যাস। ১৯৭০ সালে যেদিন প্রথম ঢাকায় এসেছিলেন, সেদিন বাসায় যাওয়ার আগে প্রেক্ষাগৃহে ঢুকে পড়েন। শুটিংয়ের ব্যস্ততায় এবার ঈদের ছবি দেরিতেই দেখা শুরু করেছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার দলবল নিয়ে দেখলেন সিনেমা ‘দাগি’। ছবিটি তাঁকে মুগ্ধ করেছে, এ নিয়ে নিজের ভালো লাগার কথা ফেসবুকেও লিখেছেন। ঈদের সিনেমা দেখা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আফজাল হোসেন ৫৫ বছরের ঢাকার জীবনে প্রেক্ষাগৃহে বসে সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন ফেসবুকে। গতকাল এই ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।

গত শুক্রবার বিকেলে আফজাল হোসেন বলেন, একটা সময় দর্শকের মান উন্নত ছিল। তখন দর্শকেরা সবকিছু দেখতেন। কে গান লিখলেন, কে গল্প লিখলেন; বলা যায় দর্শকের প্রেম ছিল সিনেমার সঙ্গে। সিনেমা তাঁদের কাছে শুধু বিনোদন ছিল না। বিষয়টা এমন নয় যে টাকা দিয়ে টিকিট কাটলাম, সিনেমা দেখলাম, তা নয়। দর্শক সিনেমা নিয়েই মেতে থাকতেন।

আফজাল হোসেনের ভাষ্যে, ‘সারা বিশ্বে সিনেমার রূপান্তর ঘটছে। চলচ্চিত্র দিয়ে দেশের পরিচিতি তৈরি হয়। দেশের নাম ছড়িয়ে পড়তে পারে বিশ্বব‍্যাপী। আর আমরা সিনেমা দেখা, বানানো ছেড়ে দিলাম। আমাদের ঝলমলে সিনেমাজগৎটা অন্ধকারে ডুবে গেল। সৌভাগ্যের কথা হলো, অন্ধকার থেকে সিনেমা আবার উজ্জ্বল হয়ে উঠতে শুরু করেছে। এবারের ঈদে মুক্তি পাওয়া চক্কর, জংলি, দাগি ও ‘বরবাদ’ খুব ভালো লাগছে। ঈদের পর থেকে আজ অবধি যেখানেই যাই, এসব সিনেমা নিয়ে চর্চা হতে দেখি। এটা হারানো সাম্রাজ্য ফিরে পাওয়ার মতো।’

আফজাল হোসেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ