সুন্দর ত্বক কে না চায়? এ জন্য় প্রয়োজন যত্নের। অনেকের প্রশ্ন, ত্বকের যত্ন নিতে ফেসিয়াল আদৌ জরুরি কিনা?
রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বক ভালো রাখতে কয়েকদিন পরপর ত্বক ভাল ভাবে পরিষ্কার করা জরুরি। এর পাশাপাশি ত্বকের পুষ্টিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফেসিয়াল এই দুটি চাহিদাই খুব ভালভাবে পূরণ করে। এই কারণেই বিশেষজ্ঞরা ফেসিয়াল করার পরামর্শ দেন। সাধারণত নারীরা মাসে একবার বা দুই মাসে একবার ফেসিয়াল করান। তবে মাসে দুইবার অর্থাৎ প্রতি ১৫ দিনে একবার ফেসিয়াল করা হয় তাহলে তা ত্বকের জন্য় উপকারী হবে।
১৫ দিনে ফেসিয়াল করাবেন কেন?
এতে ত্বক পরিষ্কার থাকে। এটি ত্বকের ছিদ্র পরিষ্কার করার পাশাপাশি মরা চামড়া দূর করে। এছাড়াও ব্ল্যাকহেডস থেকে হোয়াইটহেডস দূর করে। ত্বকের ক্ষতি করে এমন এই জিনিসগুলো মাসে দুইবার অপসারণ করলে ত্বক আরও সুস্থ থাকে। ত্বকের উজ্জ্বলতাও
রূপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয় তবে মাসে দু’বার ফেসিয়াল করালেই ত্বক হাইড্রেশন পাবে। তাদের ভাষায়, ত্বক শুষ্ক হলে ত্বকের ছিদ্র দ্রুত আটকে যায় বা হোয়াইটহেডস এবং ব্ল্যাকহেডস দেখা দেয়। এ কারণে ১৫ দিন পর একবার ফেসিয়ালের মাধ্য়মে ত্বক পরিষ্কার করলে এ ধরনের সমস্যা মিটবে। তবে যাদের ত্বক সংবেদনশীল তাদের ফেসিয়াল করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
ফেসিয়াল যেভাবে ত্বকের যত্নে কাজ করে
ফেসিয়ালেএমন এক ধরনের স্কিন কেয়ার ট্রিটমেন্ট যা এক্সফোলিয়েশনের মাধ্যমে মরা চামড়া দূর করে। ত্বককে আর্দ্র রাখে। শুধু তাই নয় ফেসিয়ালের ফলে রক্ত সঞ্চালন ভাল হয়। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে।
ঘরোয়া উপায়ে ফেসিয়াল
ঘন ঘন পার্লারে যেতে না পারলে বাড়িতে বসেই ফেসিয়াল করতে পারেন। যেভাবে ফেসিয়াল করবেন-
১.
২. ঘরে তৈরি বা বাজার থেকে কেনা স্ক্রাব দিয়ে কমপক্ষে ৫ মিনিটের জন্য স্ক্রাব করুন।
৩. মুখে ভাপ নিন
৪.৫- ১০ মিনিটের জন্য ময়েশ্চারাইজার দিয়ে আপনার মুখ ম্যাসাজ করুন।
৫. মুখ পরিষ্কার করার পর ঘরে তৈরি বা বাজার থেকে আনা ফেসপ্যাক লাগান। ১৫ মিনিটের জন্য রাখুন।
৬. হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন এবং তারপর ক্রিম লাগান।
৭. এরপর চাইলে বাদাম তেল বা ত্বকের উপযোগী কোনো এসেনশিয়াল অয়েলও লাগাতে পারেন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ স য় ল কর ত বক র র ত বক একব র
এছাড়াও পড়ুন:
সেফগার্ডিং নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন
উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে সেফগার্ডিং কার্যক্রমের প্রতি অধিক গুরুত্ব প্রদানের লক্ষ্যে উন্নয়ন খাতের পেশাজীবী ও নীতিনির্ধারকদের নিয়ে গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করেছিল ব্রিটিশ কাউন্সিল। সবার জন্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে উদ্যোগী দাতা সংস্থাগুলোর বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক ‘ফান্ডার সেফগার্ডিং কোলাবোরেটিভের (এফএসসি)’ অংশীদারত্বে ব্রিটিশ কাউন্সিল অডিটরিয়ামে গত বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
গুরুত্বপূর্ণ এ আয়োজন নিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর স্টিফেন ফোর্বস বলেছেন, ‘আমাদের দৈনন্দিন কার্যক্রমে ক্রমেই সেফগার্ডিং–সংক্রান্ত প্রতিকূলতা ও ঝুঁকি বাড়ছে। তাই আমাদের প্রয়োজন, সেফগার্ডিং নিয়ে বোঝাপড়া ও অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি। সেই সঙ্গে জরুরি ও সম্মিলিতভাবে সেফগার্ডিং–সংক্রান্ত কার্যকরী পদক্ষেপ প্রতিষ্ঠা করা। সে লক্ষ্যেই ব্রিটিশ কাউন্সিল ফান্ডার সেফগার্ডিং কোলাবোরেটিভের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে, যেন সেফগার্ডিংয়ের ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে কর্মরত অংশীদারদের একত্র করা যায়। আমি আশা করি, এই আয়োজন সেফগার্ডিং নিয়ে চলমান উদ্যোগকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং আমরা এই আয়োজন ভবিষ্যতেও চলমান রাখতে সচেষ্ট থাকব।’
এই গোলটেবিল আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলো, বহুপক্ষীয় সংস্থা, বেসরকারি খাত, দাতা সংস্থা, আয়োজক প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার ২৫ প্রতিনিধি।
অনুষ্ঠানে ফান্ডার সেফগার্ডিং কোলাবোরেটিভের সিনিয়র রিজিওনাল অ্যাডভাইজর (দক্ষিণ এশিয়া) অনুরাধা মুখার্জি বলেন, ‘ফান্ডার সেফগার্ডিং কোলাবোরেটিভ এমন একটি পৃথিবী নির্মাণে বদ্ধপরিকর, যেখানে প্রতিটি সংগঠনের কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে নিরাপত্তা ও কল্যাণ। নিরাপদ সাংগঠনিক পরিবেশ ও তা টিকিয়ে রাখতে নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে আমরা বিভিন্ন দাতাদের সঙ্গে কাজ করে থাকি। বাংলাদেশের উন্নয়ন ক্ষেত্রে সেফগার্ডিংয়ের চলমান ধারা ও ভবিষ্যতের কর্মপন্থা বিষয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে এই যৌথ আয়োজন করতে পেরে আমরা খুব আনন্দিত।’
সবার জন্য সুরক্ষিত ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরিতে ব্রিটিশ কাউন্সিল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেন শিশু কিংবা প্রাপ্তবয়স্ক কেউই তাঁদের বয়স, শারীরিক ও মানসিক সক্ষমতা, আর্থসামাজিক পটভূমি, জাতিগত পরিচয়, লিঙ্গ, ধর্ম বা বিশ্বাসের কারণে কোনো ঝুঁকি কিংবা হয়রানির শিকার না হন। মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে সচেষ্ট ব্রিটিশ কাউন্সিল সেফগার্ডিং–সম্পর্কিত চর্চা নিশ্চিতকরণে অঙ্গীকারবদ্ধ, যেন ঝুঁকিতে থাকা শিশু ও প্রাপ্তবয়স্করা নিরাপদ বোধ করার পাশাপাশি ব্রিটিশ কাউন্সিলের সংস্কৃতিবিষয়ক কার্যক্রমের মাধ্যমে উপকৃত হন।
সেফগার্ডিং সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে ভিজিট করুন