কারও প্রতি যদি মায়া তৈরি হয়, তাকে ভোলা যায় না। সে যতদূরেই থাকুক তার প্রতি দৃষ্টি থাকে, ভালোলাগা, ভালোবাসা আর অ্যাটাচমেন্ট থাকে—এমনটাই মনে করেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাস।

অপু বিশ্বাসের কাছে ভালোবাসা মানে ‘সম্মান আর বিশ্বাস’। তিনি মনে করেন যেকোন সম্পর্ক টিকে থাকে শুধু মায়ায়। সম্প্রতি একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে সম্পর্ক টিকে থাকার কারণ হিসেবে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘‘মায়া এমন একটি জিনিস—সংসার জীবন হোক, সন্তানের সঙ্গে বাবা-মায়ের সম্পর্ক হোক, বন্ধুত্ব হোক কিংবা যেকোন সম্পর্ক যার প্রতি মায়া সৃষ্টি হয়, সে যেখানে যতদূরেই যাক না কেন তার চোখ, ভালোলাগা, অ্যাটাচমেন্টটা থাকবেই।  

আরো পড়ুন:

প্যারিস জ্যাকসনের জীবনের করুণ অধ্যায় সম্পর্কে জানেন?

‘হট ১০০’ তালিকায় জেনি

দীর্ঘদিন কোনো চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাচ্ছে না এই নায়িকাকে। তিনি বর্তমানে ফ্যাশন ফটোশ্যুটে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। অপু বিশ্বাসের হালের লুক রয়েছে নেটিজেনদের আলোচনায়। অপুর ভক্তরা আশা করছেন, খুব তাড়াতাড়ি সিনেমায় ফিরবেন তাদের প্রিয় নায়িকা।

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতজুড়ে কাশ্মীরি দুই বোনের প্রশংসা

কাশ্মীরের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলার ঘটনার সময় অন্যরকম ভূমিকা পালন করেন কাশ্মীরি দুই বোন—রুবিনা ও মুমতাজ। মঙ্গলবারের ওই হামলার সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেক পর্যটককে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যান। তাদের এই মানবিকতা ও সাহসের প্রশংসা করচেন অনেকে। 

বৈসরন উপত্যকার পাশেই থাকে দুই বোন। পর্যটক গাইড রুবিনা ও মুমতাজ প্রতিদিন দেশ-বিদেশ থেকে আসা ভ্রমণপিপাসুদের নিয়ে ঘোরান, দেখান কাশ্মীরের সৌন্দর্য। রুবিনার একটি অন্য নামও রয়েছে—‘কাশ্মীরের খরগোশ কন্যা’। কারণ তিনি পর্যটকদের হাতে নিজের পোষা খরগোশ তুলে দিয়ে ছবি তোলার সুযোগ করে দেন।

হামলার দিন অন্যান্য দিনের মতোই, রুবিনা ও মুমতাজ চেন্নাই থেকে যাওয়া একদল পর্যটকের গাইড হিসেবে ইকো পার্ক এলাকায় ছিলেন। দুপুরের দিকে আচমকা জঙ্গিরা হামলা চালালে আশেপাশে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পর্যটকরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। 

জঙ্গিরা যখন আচমকা হামলা চালায়, তখন তাদের সঙ্গে শিশু ও বৃদ্ধসহ বেশ কয়েকজন পর্যটক ছিলেন। তারা সবাই তখন আতঙ্কে সিঁটিয়ে গিয়েছিলেন। কেউ হাঁটতে পারছিলেন না, কেউ কেউ কাঁদছিলেন। রুবিনা ও মুমতাজ প্রথমে পর্যটকদের আশ্বস্ত করেন, এরপর প্রথমে একটি দলকে পাহাড়ি রাস্তা ও জঙ্গলের মধ্য দিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখান থেকে স্থানীয় হোটেলে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করেন।

এরপর ফিরে এসে আরও কয়েকটি দলকে একইভাবে নিয়ে যান। সেই সময় শুধু পথ দেখানোই নয়, পর্যটকদের মানসিকভাবে শান্ত রাখার কাজটাও করেন তারা। পর্যটকদের কী করতে হবে, কোথায় যেতে হবে, সেই নির্দেশনা দেন।

সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে রুবিনা বলেন, 'সেই মুহূর্তে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল পর্যটকদের প্রাণ রক্ষা করা। আমরা আমাদের নিরাপত্তার কথা ভাবিনি। সবাই কাঁপছিল, শুধু বলছিল, আমাদের বাঁচাও।'

ভারতজুড়ে এই দুই বোনের সাহসিকতা ও মানবিকতা এখন প্রশংসিত হচ্ছে। সাধারণ গাইডের ভূমিকায় যারা কাজ করছিলেন, তারা এক মুহূর্তে হয়ে উঠেন রক্ষাকর্তা। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

সম্পর্কিত নিবন্ধ