মুন্সীগঞ্জের সিরাজদীখানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের রেলিংয়ের ধাক্কা লেগে ইউসুফ খান (৫২) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। নিহত ইউসুফ খান ফরিদপুর জেলার সালথা থানার বাউশখালী গ্রামের বেদন খানের ছেলে।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সার্ভিস সড়কে নিমতলার কলাবাগান নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঢাকামুখী সড়কের কলাবাগান নামক এলাকায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে রেলিংয়ের সাথে মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগলে ঘটনাস্থলেই ইউসুফ খান নিহত হয়।

তিনি আরও জানান, মরদেহ হাসাড়া হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। নিহতের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতজুড়ে কাশ্মীরি দুই বোনের প্রশংসা

কাশ্মীরের বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলার ঘটনার সময় অন্যরকম ভূমিকা পালন করেন কাশ্মীরি দুই বোন—রুবিনা ও মুমতাজ। মঙ্গলবারের ওই হামলার সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনেক পর্যটককে নিরাপদে সরিয়ে নিয়ে যান। তাদের এই মানবিকতা ও সাহসের প্রশংসা করচেন অনেকে। 

বৈসরন উপত্যকার পাশেই থাকে দুই বোন। পর্যটক গাইড রুবিনা ও মুমতাজ প্রতিদিন দেশ-বিদেশ থেকে আসা ভ্রমণপিপাসুদের নিয়ে ঘোরান, দেখান কাশ্মীরের সৌন্দর্য। রুবিনার একটি অন্য নামও রয়েছে—‘কাশ্মীরের খরগোশ কন্যা’। কারণ তিনি পর্যটকদের হাতে নিজের পোষা খরগোশ তুলে দিয়ে ছবি তোলার সুযোগ করে দেন।

হামলার দিন অন্যান্য দিনের মতোই, রুবিনা ও মুমতাজ চেন্নাই থেকে যাওয়া একদল পর্যটকের গাইড হিসেবে ইকো পার্ক এলাকায় ছিলেন। দুপুরের দিকে আচমকা জঙ্গিরা হামলা চালালে আশেপাশে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পর্যটকরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। 

জঙ্গিরা যখন আচমকা হামলা চালায়, তখন তাদের সঙ্গে শিশু ও বৃদ্ধসহ বেশ কয়েকজন পর্যটক ছিলেন। তারা সবাই তখন আতঙ্কে সিঁটিয়ে গিয়েছিলেন। কেউ হাঁটতে পারছিলেন না, কেউ কেউ কাঁদছিলেন। রুবিনা ও মুমতাজ প্রথমে পর্যটকদের আশ্বস্ত করেন, এরপর প্রথমে একটি দলকে পাহাড়ি রাস্তা ও জঙ্গলের মধ্য দিয়ে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। সেখান থেকে স্থানীয় হোটেলে পৌঁছনোর ব্যবস্থা করেন।

এরপর ফিরে এসে আরও কয়েকটি দলকে একইভাবে নিয়ে যান। সেই সময় শুধু পথ দেখানোই নয়, পর্যটকদের মানসিকভাবে শান্ত রাখার কাজটাও করেন তারা। পর্যটকদের কী করতে হবে, কোথায় যেতে হবে, সেই নির্দেশনা দেন।

সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে রুবিনা বলেন, 'সেই মুহূর্তে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য ছিল পর্যটকদের প্রাণ রক্ষা করা। আমরা আমাদের নিরাপত্তার কথা ভাবিনি। সবাই কাঁপছিল, শুধু বলছিল, আমাদের বাঁচাও।'

ভারতজুড়ে এই দুই বোনের সাহসিকতা ও মানবিকতা এখন প্রশংসিত হচ্ছে। সাধারণ গাইডের ভূমিকায় যারা কাজ করছিলেন, তারা এক মুহূর্তে হয়ে উঠেন রক্ষাকর্তা। সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা

সম্পর্কিত নিবন্ধ