পিএইচডি ফেলোশিপ দিচ্ছে সরকার, গবেষকেরা মাসে পাবেন ২৫০০০
Published: 26th, April 2025 GMT
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত পিএইচডি গবেষকদের ফেলোশিপ দেবে। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পিএইচডি ফেলোশিপের জন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিএইচডি কোর্সে ভর্তিকৃত-অধ্যয়নরত গবেষকদের কাছ থেকে এ জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়েছে। ১৬ মার্চ থেকে আবেদন শুরু হয়েছে। ফেলোশিপ ও বৃত্তি বাবদ পিএইচডি কোর্সে মাসিক ২৫ হাজার টাকা হারে ফেলোশিপ মিলবে। আবেদন চলছে।
আরও পড়ুনফুলব্রাইট ফরেন স্টুডেন্ট প্রোগ্রাম, আইইএলটিএসে ৭ স্কোরে বৃত্তির আবেদন১৭ এপ্রিল ২০২৫গবেষণার অধিক্ষেত্র হলো—সামাজিক বিজ্ঞান
কলা ও মানবিক
ব্যবসায় শিক্ষা
সমুদ্রবিজ্ঞান
আইন
ভৌতবিজ্ঞান
ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি
বিজ্ঞান
জীববিজ্ঞান
শিক্ষা ও উন্নয়ন
চিকিৎসাবিজ্ঞান
চারু ও কারু
কৃষিবিজ্ঞান
ধর্মীয় শিক্ষা।
কুয়েটের উপাচার্য ও সহউপাচার্যকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপনআবেদনের নিয়ম ও শর্ত—গবেষকেরা অনলাইনে আবেদন করবেন
শিক্ষাজীবনে ন্যূনতম দুটি প্রথম বিভাগ (জিপিএ-৫ স্কেলে ৩.
ফেলোশিপের জন্য আবেদন জমার তারিখে বয়স সর্বোচ্চ ৪৫ বছর হতে হবে
অনলাইনে আবেদনপত্রের সঙ্গে সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সত্যায়িত অনুলিপি (সনদ ও মার্কশিট), পিএইচডি কোর্সে ভর্তি ও রেজিস্ট্রেশনের কপি, গবেষণা প্রস্তাবনা ও বিভাগীয় প্রধানের প্রত্যয়নপত্র সংযোজন করতে হবে
অনলাইনে পূরণ করা আবেদনপত্র ডাউনলোড করে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রসহ (দুই সেট আবেদন) আবেদনের শেষ তারিখের মধ্যে অফিস চলাকালে সরাসরি বা ডাকযোগে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট, বাড়ি নম্বর-৪৪, সড়ক নম্বর-১২/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯ বরাবর পাঠাতে হবে
সরকারি বা আধা সরকারি অথবা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রার্থীকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের কপি সংযোজন করতে হবে
কর্তৃপক্ষ এ বিজ্ঞপ্তি বাতিল বা পরিবর্তন এবং যেকোনো আবেদন বিবেচনা বা বাতিলের ক্ষমতা সংরক্ষণ করে
আরও পড়ুন৬০০ বৃত্তির সুযোগ গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপে, জেনে নিন বিস্তারিত২১ এপ্রিল ২০২৫বিস্তারিত জানতে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত নির্দেশিকাসহ অন্য বিষয় জানতে পারবেন আগ্রহী প্রার্থীরা। এ ছাড়া প্রার্থীরা ০১৭৭৮৯৬৪১৫৬, ০১৭২৪৫৯৬৬৭৬, ০১৭৩৬৩২৭৫৬২-এই হটলাইনে যেকোনো ব্যাপারে যোগাযোগ করতে পারবেন।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ থেকে স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপবৃত্তি প্রদান, ভর্তি নিশ্চিতকরণে আর্থিক সহায়তা প্রদান, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে এককালীন অনুদান প্রদানসহ এমফিল ও পিএইচডি কোর্সে বৃত্তি এবং ফেলোশিপ প্রদান করছে। উচ্চশিক্ষায় ফেলোশিপ ও বৃত্তি বাবদ পিএইচডি কোর্সে মাসিক ২৫ হাজার টাকা হারে ফেলোশিপ ও বৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনজাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে সরকার, আবেদন শুরু১৫ এপ্রিল ২০২৫আবেদন শেষ কবে৩০ এপ্রিল রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী প্রার্থীরা।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ব্যাংক হিসাব খুলতে কী প্রয়োজন, জেনে নিন
এখনকার সময়ে নিজের নামে একটি ব্যাংক হিসাব থাকা সবার জন্য জরুরি। তিনি যেকোনো শ্রেণি, পেশা ও আয়ের মানুষ হোন না কেন, এই হিসাব প্রয়োজন। পাশাপাশি এখন আয় না করলেও শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাব খোলার সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্ক অর্ধেক মানুষের ব্যাংক হিসাব আছে। আর বিকাশ, রকেট ও নগদের মতো মোবাইল আর্থিক সেবা (এমএফএস) হিসাব ধরলে আরও বেশি মানুষ আর্থিক সেবার আওতায় এসেছেন।
যদিও ব্যাংক হিসাব ও এমএফএস হিসাব এক নয়। কারণ, এমএফএস মূলত টাকা স্থানান্তর প্ল্যাটফর্ম। এর মাধ্যমে কিছু কেনাকাটা ও বিল পরিশোধ করা যায়। পাশাপাশি সীমিত আকারে সঞ্চয়ের সুবিধা রয়েছে। এ জন্য পুরোপুরি সঞ্চয়ের প্রবণতা গড়ে তুলতে ব্যাংক হিসাবের বিকল্প নেই। আবার আর্থিক জ্ঞান বাড়াতেও ব্যাংক হিসাব প্রয়োজন।
কীভাবে ব্যাংক হিসাব খুলবেনএখন আমরা তুলে ধরব কীভাবে আপনি ব্যাংক হিসাব খুলবেন। একটি হিসাব খোলার মাধ্যমে আপনার সঙ্গে ব্যাংকের সম্পর্ক শুরু হবে। প্রথমে আপনি ছোট অঙ্কের টাকা জমা করবেন। একসময় প্রয়োজনে কিছু ঋণ নেবেন। এটাই ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম—আমানত নেওয়া ও ঋণ দেওয়া।
তাহলে জেনে নিই, ব্যাংক হিসাব খুলতে কী প্রয়োজন। আগের চেয়ে ব্যাংক হিসাব খোলা কিন্তু এখন বেশ সহজ হয়েছে। এখন ব্যাংকে না গিয়েও ঘরে বসে অ্যাপসের মাধ্যমে হিসাব খোলা যায়। যে ব্যাংকের হিসাব খুলতে চান, সেই ব্যাংকের ওয়েবসাইটে গেলে তা জানা যায়।
তবে প্রক্রিয়া যতই সহজ হোক না কেন, কিছু তথ্য ও ছবি তো দিতেই হবে। এ জন্য প্রয়োজন আপনার নিজের ছবি ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি), নমিনির ছবি ও এনআইডি এবং ওই ব্যাংকে হিসাব রয়েছে, এমন একজন পরিচয়দানকারী; সঙ্গে সবার স্বাক্ষর তো লাগবেই। জরুরি প্রয়োজনে ব্যাংক যোগাযোগ করবে, এমন একজনের নাম–ঠিকানাও দিতে হবে। প্রতিটি হিসাব খোলার সময় গ্রাহক পরিচিতি তথ্য (কেওয়াইসি) জমা দিতে হয়। এখানে নাম–পরিচয়ের পাশাপাশি পেশা, অর্থের উৎস, মাসিক আয় ও ব্যয়ের তথ্য দিতে হবে। প্রয়োজন হলে ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ই–টিআইএন) নম্বরও জমা নেয় কিছু কিছু ব্যাংক। ই–টিআইএন জমা দিলে সুদের ওপর ৫ শতাংশ কর ছাড় পাওয়া যায়।
হিসাব খোলার ফরমেই দিতে হবে আপনি কী কাজে হিসাবটি ব্যবহার করতে চান। ওই হিসাবে আনুমানিক কী পরিমাণ লেনদেন হবে, প্রতি মাসে নগদ ও চেকে কত জমা–উত্তোলন হবে, তার তথ্যও দিতে হবে।
হিসাব খোলার সময়ই আপনি কী কী সেবা নেবেন, তার চাহিদা দিতে পারেন। যেমন এটিএম কার্ড, ইন্টারনেট ব্যাংকিং ও এসএমএস অ্যালার্ট। আর একটি হিসাব খোলার জন্য আপনাকে কতবার স্বাক্ষর করতে হবে, তার হিসাব নেই।
কোন হিসাবে কী কাগজপত্র লাগবেদেশে একজন ব্যক্তি নানা ধরনের ব্যাংক হিসাব খুলতে পারেন। এসব হিসাব খোলার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে। ব্যাংকভেদে এই নিয়মের কিছুটা তারতম্য রয়েছে। ব্যবসায়িক হিসাব খুলতে প্রয়োজন আরও বাড়তি কিছু তথ্য।
একক মালিকানাধীন ব্যবসায়িক হিসাব• ব্যাংকের নির্দিষ্ট আবেদনপত্র (সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তার সামনে স্বাক্ষর করতে হবে)
• পরিচিতিদানকারী ব্যক্তি দ্বারা স্বাক্ষর করা দুটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
• নমুনা স্বাক্ষর (সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তার সামনে স্বাক্ষর করতে হবে)
• স্থানীয় সরকার সংস্থা, যেমন সিটি করপোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন কাউন্সিল কর্তৃক ইস্যুকৃত ট্রেড লাইসেন্সের কপি
• বাড়ি কেনা অথবা আমদানি ও রপ্তানি–সংক্রান্ত কাজে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রয়োজনীয় অনুমতির প্রমাণ
• টিআইএন সার্টিফিকেট
লিমিটেড কোম্পানি হিসাব• ব্যাংকের নির্দিষ্ট আবেদনপত্র (সংশ্লিষ্ট ব্যাংকারের সামনে স্বাক্ষর করতে হবে)
• কোম্পানির মেমোরেন্ডাম ও আর্টিকেল অব অ্যাসোসিয়েশনের প্রত্যয়িত অনুলিপি
• ইনকরপোরেশন সার্টিফিকেট
• পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে ব্যবসা শুরুর সার্টিফিকেট
• হিসাব খোলা ও পরিচালনার জন্য সব অংশীদারের যথাযথ অনুমতি ও অ্যাকাউন্ট পরিচালনাকারীর প্রত্যয়নপত্র দেখাতে হবে
• নির্দিষ্ট ফরমে পরিচালকদের নাম ও ঠিকানা
• স্বাক্ষরকারীদের ছবি
• ট্রেড লাইসেন্সের কপি
• আবেদনপত্র ও আবেদনকারীদের ছবির পেছনে পরিচিতিদানকারীর স্বাক্ষর
• হিসাব পরিচালনাকারীদের নামের তালিকা, নিয়োগপত্র ও নমুনা স্বাক্ষর
• একক অথবা যৌথ মালিকানাধীন হিসাবের ক্ষেত্রে বর্ণিত নিয়ম অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের সব পরিচালক ও মালিকের পরিচিতিমূলক তথ্য
যৌথ মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব
• ব্যাংকের নির্দিষ্ট আবেদনপত্র (সংশ্লিষ্ট ব্যাংকারের সামনে স্বাক্ষর করতে হবে)
• অংশীদারত্বের চুক্তিপত্র
• অংশীদারদের ঠিকানাসহ নামের তালিকা
• অংশীদারদের সভায় গৃহীত নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তের অনুলিপি
• ট্রেড লাইসেন্সের কপি
• স্বাক্ষরকারী বা অংশীদারদের ছবি
• নমুনা স্বাক্ষর (সংশ্লিষ্ট ব্যাংকারের সামনে স্বাক্ষর করতে হবে)
• আবেদনপত্র ও আবেদনকারীদের ছবির পেছনে পরিচিতিদানকারীর স্বাক্ষর
• ব্যক্তিগত হিসাব খোলার ক্ষেত্রে বর্ণিত নিয়মানুযায়ী পরিচালক ও অংশীদারদের পরিচিতিমূলক তথ্য প্রদান করতে হবে। হিসাব খোলা ও পরিচালনার জন্য অংশীদারদের যথাযথ অনুমতি ও হিসাব পরিচালনাকারীর প্রত্যয়নপত্র দেখাতে হবে
• প্রকৃত ব্যবসা ও অংশীদারত্বের প্রমাণ হিসেবে সর্বশেষ পরিচালনা রিপোর্ট ও অডিট রিপোর্ট (যেখানে প্রযোজ্য) প্রদর্শন করতে হবে