চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ফরজাদ হোসেন সজিব নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১২টায় কারাগার থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

সজিব কারাগারে যমুনা ভবনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে থাকতেন। তবে সজিবের স্বজনরা কারাগারে মারামারিতে আহত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ইকবাল হোসেন বলেন, কারাগারে হঠাৎ বুকে ব্যথার কথা জানালে দ্রুত আসামি ফরজাদ হোসেনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের জরু বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরিক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল থেকে দেওয়া মৃত্যু সনদে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে সুপার ইকবাল হোসেন বলেন, কারাগারে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি। তিনি যে ওয়ার্ডে থাকতেন সেখানে গিয়ে সরেজমিন তদন্ত করেও মারামারি করার কোনো সত্যতা পাইনি। পরিবারের সদস্যরা মারামারিতে আহত হয়ে মৃত্যুর দাবি অমুলক। আসামি ফরজাদ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।

মৃত সজিবের স্ত্রীর বড় ভাই মো.

সোহেল বলেন, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কারাগার থেকে একটি নম্বরে ফোন করে সজিবের সঙ্গে গোসল করার সময় পানি নিয়ে মারামারি হওয়ার কথা বলা হয়। তাই তাকে বর্তমান ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে বদলির কথা বলে ২০ হাজার টাকা দাবি করেন। তার ২০ মিনিট পরে আরেক নম্বর থেকে ফোন করে সজিব হঠাৎ অসুস্থ হয়েছে জানিয়ে দ্রুত স্বজনদের চমেক হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বলা হয়। হাসপাতালে গিয়ে সজিবের শরীরের মধ্যে মারধরের চিহ্ন দেখতে পেয়েছি। তার হৃদরোগে মৃত্যু হতে পারে না।

কারা সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালী থানার ডাকাতি চেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে গত ২৭ মার্চ আদালত আসামি ফরহাদকে কারাগারে পাঠায়। তারপর থেকে তিনি কারাগারের কারাগারে যমুনা ভবনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে থাকতেন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৯ হাজার কেজি চাল জব্দ

নওগাঁর রাণীনগরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৯ হাজার ৩১০ কেজি চাল জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উপজেলার আবাদপুকুর বাজারের কুতকুতিতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব চাল জব্দ করা হয়।

রাণীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান এ অভিযান পরিচালনা করেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ হলেও সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কিনে দুটি গোডাউনে মজুত করে রাখা হয়েছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান। এসময় দুই গোডাউন থেকে মোট ২৯ হাজার ৩১০ কেজি চাল জব্দ করা হয়।

রাণীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ নওশাদ হাসান বলেন, ‘‘অভিযানের সময় চালের মালিককে পাওয়া যায়নি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে চালগুলো জব্দ করে উপজেলা খাদ্যগুদামে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/সাজু/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ