Samakal:
2025-04-26@02:39:46 GMT

কুয়েটের অচলাবস্থা কাটেনি

Published: 25th, April 2025 GMT

কুয়েটের অচলাবস্থা কাটেনি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অচলাবস্থা পুরোপুরি কাটেনি। উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত তা কার্যকর হয়নি। এ ছাড়া শিক্ষকদের ওপর হামলাকারী শিক্ষার্থীদের শাস্তি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে না ফেরার সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছে শিক্ষক সমিতি। ফলে সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ৪ মে থেকে ক্লাস শুরু হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা আশা প্রকাশ করে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় যেহেতু সিদ্ধান্ত নিয়েছে আগামী রোববারের মধ্যে তা কার্যকর হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে তারা বুধবার রাতে অনশন ভাঙেন এবং বৃহস্পতিবার বিকেলে ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করেন। আপাতত তাদের কোনো কর্মসূচি নেই।

শিক্ষকরা জানান, ১৭ এপ্রিল শিক্ষক সমিতির সভা হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, যারা গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষকদের মারধর-লাঞ্ছিত করেছে এবং পরে শিক্ষকদের সাইবার বুলিং করেছে, তাদের শাস্তি দিতে হবে। এটা না হওয়া পর্যন্ত তারা ক্লাসে ফিরবেন না। দায়ী শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে অধ্যাপক ড.

আব্দুল্লাহ আল ফারুককে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটি কার্যক্রম চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে কুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী এবং শিক্ষকদের লাঞ্ছিতকারীদের শাস্তি কার্যকর করতে হবে। এটা না হওয়া পর্যন্ত কোনো শিক্ষক ক্লাসে যাবেন না। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আমরা আগামী ৩০ এপ্রিল আবার শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা করব। দায়ীদের চিহ্নিত করার পর তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কুয়েট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করছেন। বৃহস্পতি ও শুক্রবার কিছু নতুন শিক্ষার্থী এসেছেন। তবে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী এখনও আসেননি। ক্যাম্পাসের প্রধান গেটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. ফারুক হোসেন বলেন, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের পর কিছু শিক্ষার্থী উপাচার্যসহ ছয়-সাত শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

তবে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী রাহাতুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা কেউ শিক্ষকদের মারধর বা লাঞ্ছিত করেননি। শিক্ষক সমিতি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছেন, সাধারণ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেননি। এখনও কয়েক দিন সময় আছে, শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবেন বলে আমরা আশাবাদী।’
কথা বলার জন্য রেজিস্ট্রার আনিছুর রহমান ভূঁইয়াকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
কুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল্লাহ ইলিয়াছ আক্তার বলেন, ‘ক্লাস শুরুর কথা আগামী ৪ মে। এখনও সময় আছে। দেখা যাক, শিক্ষক সমিতির পরবর্তী সভায় কী সিদ্ধান্ত হয়।’
উল্লেখ্য, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও বহিরাগতদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে দেড় শতাধিক আহত হন। ওই দিন থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা ছয় দফা দাবিতে ১৯ ফেব্রুয়ারি আন্দোলন শুরু করেন। ১৫ এপ্রিল উপাচার্যকে অপসারণের এক দফা দাবি জানান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ ক ষকদ র উপ চ র য ক র যকর

এছাড়াও পড়ুন:

হঠাৎ চারজনকে উদ্ধারের আলোচনা, নিশ্চিত নয় পুলিশ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্যে চারজনের খোঁজ মিলেছে– সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন আলোচনা থাকলেও এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ। তাদের ভাষ্য, আজকালের মধ্যে এমন তথ্যের বিষয়টি আরও পরিষ্কার হতে পারে। 

খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল সমকালকে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কয়েকজনের খোঁজ মিলেছে– এমন প্রচার আছে। তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা এখনও উদ্ধার বিষয়ে নিশ্চিত নই। আজকালের মধ্যে পরিষ্কার হতে পারব। 

পাহাড়ের বিজু উৎসব শেষে খাগড়াছড়ি থেকে চবি ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে জেলা সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে ১৬ এপ্রিল সকালে পাঁচ শিক্ষার্থীকে দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে। অপহৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রিশন চাকমা, দিব্যি চাকমা ও মৈত্রীময় চাকমা রাঙামাটি এবং অন্য দু’জন লংঙি ম্রো ও অলড্রিন ত্রিপুরা বান্দরবানের বাসিন্দা। তারা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

সন্তু লারমা সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের সভাপতি নিপণ ত্রিপুরা এ অপহরণের ঘটনায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টকে (ইউপিডিএফ) দায়ী করেছেন। তবে ইউপিডিএফের খাগড়াছড়ি জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

একাধিক অসমর্থিত সূত্রে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে চাপের মুখে অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মধ্যে চারজনকে গত সোমবার রাতে খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার সর্বোসিদ্ধিপাড়া এলাকা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দখলে জঞ্জালে ভরা চার খাল
  • খায়রুল হক ও আসাদুজ্জামান এখনও কেন গ্রেপ্তার হচ্ছে না, প্রশ্ন রিজভীর
  • ‘মিল চালু করবে বলি চাষ কইরবার কইল, এলাও কোনো খবর নাই’
  • বাংলাদেশে ভোটের সময় নিয়ে উত্তেজনা বাড়তে পারে
  • ‘সবচেয়ে বড় প্রেরণা বাবা’
  • হঠাৎ চারজনকে উদ্ধারের আলোচনা, নিশ্চিত নয় পুলিশ
  • নবীনগরে হেফাজতের কমিটি নিয়ে মুখোমুখি দু’পক্ষ