বেড়ালের ঢং
এক বাটি হালুয়া
খাচ্ছিল চেটেপুটে
দারোয়ান কালুয়া–
আনমনা হয়েছে সে
বিল্লিটা ছুটে এসে
আধখানা খেয়ে নেয়
তারপর লেজ তুলে
প্রাণপণে
ছুট দেয়।
কালুয়া তো রেগে টং
ছোঁচা বেড়ালের ঢং
করবেই বার সে
কখনোই আনমনা
হব্বে না আর সে।
হায় হায় কালুয়া
নিজ দোষে খোয়ালি রে
আধা বাটি হালুয়া
নোস তুই চতুরাল
চাল্লুু বা চালুয়া!
আলুথালু নিমপাতা
চিরিক ঝিরিক নিমের পাতা
আকাশ তোমার মাথায় ছাতা
দুলছো হাওয়ায় দুলছো
সক্কালে ঠিক রোদের চুমোয়
ঘুমন্ত চোখ খুলছো।
হাওয়ায় তোমার চুল যে ওড়ে
হঠাৎ বাতাস বইলে জোরে
কাঁপছো তুমি কুঁকড়ে
কাঁদছো তুমি ডুকরে।
নিমের গাছের কদর ভালো
বাগানকে সে করছে আলো।
ছড়ার ছুটি
উলুক ঝুলুক মগের মুলুক
মগটা যেন কে?
পানি খাওয়ার পাত্র সে নয়
অন্য কিছু হে।
অন্য কিছু অন্য কিছু
মগ ব্যাটা নেয় আমার পিছু
মাথার মধ্যে ঢোকে,
ঠান্ডা মাথার দুষ্টু সে লোক
করছে না কাজ ঝোঁকে।
ঝোঁক-ঝোঁকালি পোক-পোকালি
কেমনে হলো পোক-
হয় যদি সে ফুলের মতন
সুগন্ধ তার শোঁক।
কেমন করে শুঁকবো রে ভাই
সর্দিজমাট নাক
এই ছড়াটায় ঝুট ঝামেলা
দিলাম ছুটি, থাক।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হাসান হাফিজের ছড়া
বেড়ালের ঢং
এক বাটি হালুয়া
খাচ্ছিল চেটেপুটে
দারোয়ান কালুয়া–
আনমনা হয়েছে সে
বিল্লিটা ছুটে এসে
আধখানা খেয়ে নেয়
তারপর লেজ তুলে
প্রাণপণে
ছুট দেয়।
কালুয়া তো রেগে টং
ছোঁচা বেড়ালের ঢং
করবেই বার সে
কখনোই আনমনা
হব্বে না আর সে।
হায় হায় কালুয়া
নিজ দোষে খোয়ালি রে
আধা বাটি হালুয়া
নোস তুই চতুরাল
চাল্লুু বা চালুয়া!
আলুথালু নিমপাতা
চিরিক ঝিরিক নিমের পাতা
আকাশ তোমার মাথায় ছাতা
দুলছো হাওয়ায় দুলছো
সক্কালে ঠিক রোদের চুমোয়
ঘুমন্ত চোখ খুলছো।
হাওয়ায় তোমার চুল যে ওড়ে
হঠাৎ বাতাস বইলে জোরে
কাঁপছো তুমি কুঁকড়ে
কাঁদছো তুমি ডুকরে।
নিমের গাছের কদর ভালো
বাগানকে সে করছে আলো।
ছড়ার ছুটি
উলুক ঝুলুক মগের মুলুক
মগটা যেন কে?
পানি খাওয়ার পাত্র সে নয়
অন্য কিছু হে।
অন্য কিছু অন্য কিছু
মগ ব্যাটা নেয় আমার পিছু
মাথার মধ্যে ঢোকে,
ঠান্ডা মাথার দুষ্টু সে লোক
করছে না কাজ ঝোঁকে।
ঝোঁক-ঝোঁকালি পোক-পোকালি
কেমনে হলো পোক-
হয় যদি সে ফুলের মতন
সুগন্ধ তার শোঁক।
কেমন করে শুঁকবো রে ভাই
সর্দিজমাট নাক
এই ছড়াটায় ঝুট ঝামেলা
দিলাম ছুটি, থাক।