অপহরণের পরদিন ভিকারুননিসার ছাত্রী উদ্ধার, বাড়ির সাবেক নিরাপত্তাকর্মী গ্রেপ্তার
Published: 25th, April 2025 GMT
রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রী এলাকা থেকে অপহরণের পরদিন ভিকারুননিসা নুন স্কুলের সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৩) উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ছাত্রীর বাড়ির সাবেক নিরাপত্তাকর্মী আবু হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিনা তা জানতে প্রয়োজনীয় ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে খিলগাঁও থানার ওসি দাউদ হোসেন সমকালকে বলেন, দক্ষিণ বনশ্রী এলাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকে ওই স্কুলছাত্রী। তাদের বাসায় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন আবু হোসেন। মেয়েটি স্কুলে যাওয়া–আসার পথে তিনি নানারকম প্রলোভন দেখাতেন ও কুপ্রস্তাব দিতেন। বাড়ির মালিককে বিষয়টি জানানো হলে তিনি নিরাপত্তাকর্মীকে চাকরিচ্যুত করেন। এরপরও আবু হোসেন মেয়েটিকে উত্ত্যক্ত করা বন্ধ করেননি। সর্বশেষ বুধবার বিকেলে মেয়েটি বাসার সামনের দোকানে গেলে সেখান থেকে তাকে অপহরণ করা হয়।
ওসি জানান, বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। যাত্রাবাড়ীর ধলপুর এলাকা থেকে অভিযুক্ত আবু হোসেনকে গ্রেপ্তার ও স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। ছাত্রীকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষার জন্য শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) নেওয়া হয়। প্রতিবেদনে ধর্ষণের প্রমাণ পেলে গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগও আনা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অপহরণ
এছাড়াও পড়ুন:
খাগড়াছড়িতে অপহৃত পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী মুক্ত: পিসিপি
অপহরণের সাত দিন পর গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ পাহাড়ি শিক্ষার্থীকে মুক্তি দিয়েছে অপহরণকারীরা। তবে তাঁদের মুক্ত হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয় আজ বৃহস্পতিবার। পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে বিবৃতি দিয়েছে। অপহরণকারীদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া পাঁচ শিক্ষার্থী বর্তমানে তাঁদের গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার প্রথম আলোকে বলেন, ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। যেহেতু পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ থেকে বিবৃতি দিয়েছে।
বিজু উৎসব উদ্যাপন শেষে ফেরার পথে ১৬ এপ্রিল সকালে খাগড়াছড়ির গিরিফুল এলাকা থেকে পাঁচ শিক্ষার্থী ও তাঁদের বহন করা অটোরিকশার চালককে অজ্ঞাতনামা স্থানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। অপহৃত শিক্ষার্থীরা হলেন পিসিপির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র রিশন চাকমা, চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী মৈত্রীময় চাকমা ও অলড্রিন ত্রিপুরা, নাট্যকলা বিভাগের দিব্যি চাকমা ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের লংঙি ম্রো। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। অপহরণকারীরা চালককে ওই সময় ছেড়ে দিয়েছিল।
পাঁচ পাহাড়ি শিক্ষার্থী অপহরণের ঘটনায় শুরু থেকে ইউপিডিএফকে দায়ী করে আসছে জেএসএস–সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি নিপুন ত্রিপুরা। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন ইউপিডিএফের অন্যতম জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা।
আজ পিসিপির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রিবেক চাকমা স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, খাগড়াছড়ি সদরের গিরিফুল এলাকা থেকে অপহৃত পিসিপি সদস্য রিশন চাকমাসহ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে ব্যাপক জনরোষের মুখে পড়ে অপহরণকারীরা কয়েক দফায় মুক্তি দিয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে নিশ্চিত হয়েছে পিসিপি।
বিবৃতিতে বলা হয়, অপহৃত পাঁচ শিক্ষার্থীর মুক্তির দাবিতে আপামর সাধারণ শিক্ষার্থী, প্রগতিশীল ব্যক্তি ও ছাত্রসংগঠন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন গড়ে তোলেন। অবশেষে ব্যাপক জনরোষের মুখে পড়ে অপহরণকারীরা কয়েক দফায় মুক্তি দিয়েছে।
বিবৃতিতে পিসিপি শিক্ষার্থীদের মুক্তির আন্দোলনে সোচ্চার থাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
পিসিপি নেতা রিবেক চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, মুক্ত হওয়া পাঁচ শিক্ষার্থী বর্তমানে তাঁদের গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন।