আমার পথচলায় শিল্প-সংস্কৃতি জ্ঞানের বিভিন্ন মাধ্যমের সংমিশ্রণে হেঁটে বাংলা ক্যালিগ্রাফি শুরু করি। সেই ধারায় এগোতে গিয়ে এর মধ্যে বিভিন্ন মাত্রার যোগ হতে থাকে। এ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমি সবসময় প্রাচীন বাংলা বচন, প্রবচন ও ধাঁধা খোঁজ করি। যেগুলোর অন্তর্নিহিত অর্থ বাক্যের সীমা ছাড়িয়ে বহু ব্যাখ্যার প্রতিধ্বনি তোলে। এবার আমি তাতে আরও এক নতুন মাত্রা যোগ করে এ প্রাচীন বচনগুলোকে ভিন্ন আঙ্গিকে দৃশ্যমান করার চেষ্টা করেছি। বাংলা ক্যালিগ্রাফি করার সময় আমি সাধ্যমতো বচনের অন্তর্নিহিত শক্তি ও অর্থকে যথাসাধ্য নীতিমালার মধ্যে রাখার চেষ্টা করি। বচনে গবেষণা করা ছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি নানা মসৃণতা, নানা রঙের হাতে তৈরি কাগজ ব্যবহার করেছি বচনের শক্তিকে প্রকাশ করার জন্য। সেই পথচলাকে আরও অর্থবহ করে তুলতে আমি যোগ করেছি পুরোনো-প্রাচীন দলিল, ব্যাপারটি আমার কাছে বিশেষ। বর্তমান বিশ্বে সবকিছু পরিবেশসম্পন্ন এবং ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করে সবার কাছে উপস্থাপনের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এ পুরোনো দলিলগুলো হয়তো তাদের মূল উদ্দেশ্য হারিয়েছে এবং ক্ষয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় আছে। পুরোনো বচনের মতো এদেরও আমাদের অনেক কিছু বলার আর দেওয়ার আছে। আমার এ প্রদর্শনীতে ৩১টি বাংলা ক্যালিগ্রাফি রয়েছে, যা বিভিন্ন ধরনের প্রাচীন দলিলের ওপর করা। পুরোনো দলিলে প্রাচীন বচন আমার কাছে একটি সময়ের প্রমাণপত্র আর সেই ধারায় এই ‘দলিলে দৃশ্যপট’।
আরহাম উল হক চৌধুরী
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘কাউকে চড় মারলে অসুবিধা নেই, চুমু খেলেই যত দোষ’
টাইমস স্কয়ারের পিচঢালা পথ। ডিজিটাল বিলবোর্ডগুলোতে প্রদর্শিত হচ্ছে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন। ব্যস্ত এ পথে চুম্বনরত অবস্থায় দাঁড়িয়ে ভারতীয় বাংলা সিনেমার তরুণ অভিনয়শিল্পী ঋদ্ধি সেন ও সুরঙ্গনা ব্যানার্জি। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ঋদ্ধি সেন তার ফেসবুকে বেশ কটি ছবি পোস্ট করেন। তার একটি ছবিতে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
ব্যক্তিগত জীবনে ঋদ্ধি সেন ও সুরঙ্গনা প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন, এ খবর সবারই জানা। কিন্তু ফেসবুকে চুমুর ছবি দেওয়ায় নেটিজেনদের একাংশ বেশ নাখোশ হয়েছিলেন। অনেকে আক্রমণ করে মন্তব্য করেছিলেন। যার ফলে দ্রুত ভাইরাল হয়েছিল ছবিটি। তখন তরুণ জুটির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন পরিচালক সৃজিত মুখার্জি।
সেই সময়ে বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলতে দেখা যায়নি সুরঙ্গনাকে। দীর্ঘ দিন পর এ নিয়ে নিজের মতামত জানালেন এই অভিনেত্রী। ভারতীয় একটি গণমাধ্যমে সুরঙ্গনা বলেন, “আমি আর ঋদ্ধি গত দশ বছর ধরে একসঙ্গে আছি, সেটা সবাই জানেন। একসঙ্গে একটা ছবি তুলেছি সেটা কেন এত সাড়া ফেলেছিল বুঝতে পারিনি। দেখেছি অনেকেই বিরূপ মন্তব্য করেছেন। কী আর বলি! খুবই দুর্ভাগ্যজনক। কারণ গোটা পৃথিবীটাই একটা গোঁড়ামির দিকে যাচ্ছে।”
আরো পড়ুন:
‘মেয়েরা ৬টা প্রেম করলে বেশ্যা, ছেলেরা করলে লোকে বলে— এলেম আছে’
আড়ালে গিয়ে অরিন্দমকে গালাগাল দেয়: স্বস্তিকা
প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে সুরঙ্গনা বলেন, “চারদিকে প্রকাশ্যে এত খারাপ ঘটনা ঘটছে, রাস্তায় কেউ কাউকে চড় মারলে অসুবিধা হয় না, চুমু খেলেই যত দোষ? দুটো মানুষ চুমু খাচ্ছে এতে অসুবিধার কী আছে? এটা তো অশ্লীল কিছু নয়।”
কলকাতার মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রের গুণী অভিনেতা কৌশিক সেনের পুত্র ঋদ্ধি সেন। এ পরিবারেও সুরঙ্গনার অবাধ আনাগোনা। এ জুটির পথচলা নিয়েও নানা গুঞ্জন উড়েছে টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন— তারা কি বন্ধু নাকি প্রেমিকযুগল? পরবর্তীতে সম্পর্কের কথা অকপটে স্বীকার করেন তারা।
ছোটবেলাতেই ঋদ্ধির অভিনয়ে হাতেখড়ি। তারপর বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তিনি। কেবল তাই নয়, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন ঋদ্ধি। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো: ‘ইতি মৃণালিনী’, ‘কাহানি’, ‘চিলড্রেন অব ওয়ার’ প্রভৃতি।
সুরঙ্গনা শুধু অভিনেত্রী নন তিনি একাধারে নৃত্যশিল্পী ও কণ্ঠশিল্পী। শিশুশিল্পী হিসেবে তার অভিনয়ের পথচলা শুরু। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো: ‘চিরসাথী’, ‘মাটি ও মানুষ’, ‘গয়নার বাক্স’, ‘গল্প হলেও সত্যি’ প্রভৃতি।
‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’ সিনেমায় প্রথম জুটি বেঁধে অভিনয় করেন ঋদ্ধি সেন ও সুরঙ্গনা ব্যানার্জি। এতে প্রেমিক-প্রেমিকার চরিত্রে দেখা যায় তাদের। এরপর ‘সমান্তরাল’, ‘শরতে আজ’ ওয়েব সিরিজেও জুটি বেঁধে অভিনয় করেন তারা।
ঢাকা/শান্ত