আমাদের চারপাশে সড়ক ও নৌ দুর্ঘটনা, অগ্নিকাণ্ডসহ নানা দুর্যোগ প্রতিনিয়ত ঘটছে। তাই নাগরিক জীবনে এগুলো প্রায় স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। তবে যতক্ষণ এ ধরনের বিপর্যয় আমাদের ব্যক্তিজীবনে নেমে না আসে, ততক্ষণ তা নিয়ে আমরা ভাবি না। কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিশেষ করে ঘূর্ণিঝড় এক ভয়াবহ বাস্তবতা। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জন্য এটি এক আতঙ্কের নাম। 

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারের জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার (ন্যাপ) তথ্যমতে, দেশে ১৫টি দুর্যোগের হার সময়ের সঙ্গে বাড়বে। এর মধ্যে জলবায়ু ঝুঁকি ছাড়াও রয়েছে অনিয়মিত বৃষ্টিপাত, খরা, নদনদীতে বন্যা, নদীভাঙন, আকস্মিক বন্যা ও শহরাঞ্চলের বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, তীব্র তাপপ্রবাহ, তীব্র শীত, বজ্রপাত, ভূমিধস, সমুদ্রপৃষ্ঠের উষ্ণতা বৃদ্ধি ও অম্লতা। সময়ের পরিক্রমায় আবারও আসছে ঘূর্ণিঝড় মৌসুম। কিন্তু আমরা এ নিয়ে কতটা সচেতন? 

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হলে বাতাসের প্রচণ্ড ঘূর্ণায়মান গতি ও বায়ুমণ্ডলীয় উত্তাল অবস্থার ফলে ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়। সাধারণত মার্চ থেকে জুলাই এবং সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় হয়ে থাকে। এর মধ্যে মে এবং নভেম্বরে সবচেয়ে বেশি ঝড় আঘাত হানে। একটি গবেষণায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ১৯৪৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৭৫ বছরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও নিম্নচাপ বিশ্লেষণ করেছে। গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, এই সময়ে বঙ্গোপসাগরে ১৫১টি প্রবল ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে নভেম্বরে সর্বোচ্চ ৫১টি, মে মাসে ৩০টি এবং অক্টোবরে ২৯টি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে।

এ ছাড়া ১৯৭০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন উৎস থেকে সংগৃহীত ঘূর্ণিঝড়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, গত ৫৫ বছরে বাংলাদেশে মোট ৪২টি ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে। সময় অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়ের পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়: ১৯৭০ থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত (৩০ বছর) → ২১টি ঘূর্ণিঝড়, গড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ১৩৮ কিমি/ঘণ্টা এবং ২০০০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত (২৫ বছর) → ২২টি ঘূর্ণিঝড়, যেখানে গড়ে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ১৪১ কিমি/ঘণ্টা। উপরোক্ত পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, সময় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা ও তীব্রতা দুটোই বেড়েছে। বিশেষ করে ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ চারটি ঘূর্ণিঝড় সংঘটিত হয়েছে, যা অন্য যে কোনো বছরের তুলনায় বেশি। এ ছাড়া ১৯৭১, ২০০৭ এবং ২০২৪ সালে তিনটি করে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হেনেছে। বাংলাদেশ একাধিক উচ্চ তীব্রতার ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখীন হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য: ১৯৭০, ১৯৯১, ২০০৭, ২০১৯ এবং ২০২৩ সালের ঘূর্ণিঝড়, যেগুলো ছিল অত্যন্ত বিধ্বংসী। বিশেষ করে ২০১৭ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের স্পষ্ট প্রভাব নির্দেশ করে। বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে বিশ্বের অন্যান্য সাগরের পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে ঘূর্ণিঝড় আগের তুলনায় আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে এবং ভূমিতে আঘাত হানার পর ক্ষতির মাত্রাও বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে সমুদ্রপৃষ্ঠ এবং ভূপৃষ্ঠের তাপমাত্রা একসঙ্গে বৃদ্ধি পাওয়ায় ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আসছে, যা ভবিষ্যতে আরও বিধ্বংসী ঝড়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষত বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের জন্য এই ক্রমবর্ধমান শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে। এ কারণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, দুর্যোগ প্রশমন এবং অভিযোজনের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের গুরুত্ব দিন দিন বাড়ছে। 

প্রতিবছর ঘূর্ণিঝড় আমাদের অর্থনীতি, পরিবেশ ও জনজীবনকে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে ফেলে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এই দুর্যোগের মাত্রা আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। আমরা যদি এখন থেকেই যথাযথ ব্যবস্থা না নিই, তাহলে ভবিষ্যতে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে। এখন আমাদের সামনে দুটি পথ খোলা– ১.

আমরা কি প্রতিবার দুর্যোগের পরে ক্ষতি সামলাতে ব্যস্ত থাকব? ২. নাকি আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে জানমাল রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ নেব?

দেশের কৃষির ওপর ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব এতই ব্যাপক, এর ফলে খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি উৎপাদন, কৃষকের জীবনযাত্রা ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। দারিদ্র্য বিমোচনসহ সামাজিক নিরাপত্তা অর্জনে জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপ সারাবিশ্বে প্রশংসিত। তবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে দায় না যতটা আমাদের, তার চেয়ে বেশি বৈশ্বিক। আমাদের মতো স্বল্পোন্নত দেশকে বাঁচাতে উন্নত দেশগুলোকেই এগিয়ে আসতে হবে। তেমনি ঘূর্ণিঝড়ের মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই জানমাল রক্ষায় সরকার থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ জরুরি। এতে দেশের মানুষ যেমন নিরাপদ থাকবে, তেমনি অর্থনীতিও রক্ষা পাবে। 

লেখক: প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (কৃষি পরিসংখ্যানবিদ, আবহাওয়ার তারতম্য ও জলবায়ু পরিবর্তন গবেষক) এবং সদস্য, এগ্রোমেট ল্যাব, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) 
niaz.sust@gmail.com

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র ঘ র ণ ঝড় ঘ র ণ ঝড় র ২০২৩ স ল ব শ ষ কর আম দ র জলব য়

এছাড়াও পড়ুন:

কোহলি–আনুশকা থেকে পন্ত–ইশা: ভারতীয় ক্রিকেটারদের ‘লাভ স্টোরি’

মাঠে তাঁরা ভারতের লাখো কোটি সমর্থকের নায়ক। কিন্তু মাঠের বাইরে সেই ভারতীয় ক্রিকেটারদের ‘লাভ লাইফ’টা কেমন? চলুন জানা যাক তাঁদের প্রেম-সংসার আর বিচ্ছেদের গল্প—রোহিত শর্মা–রিতিকা সাজদেহ

ভারতের ওয়ানডে ও টেস্ট অধিনায়কের স্ত্রী রিতিকা সাজদেহ। মুম্বাইয়ের মেয়ে রিতিকা একসময় একটি ক্রীড়া ইভেন্ট ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক ছিলেন। ভারতের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক অলরাউন্ডার যুবরাজ সিং ২০০৮ সালে রোহিতের সঙ্গে রিতিকার পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর থেকে রোহিতের সব খেলা দেখতে মাঠে যেতে থাকেন রিতিকা। এভাবেই একে–অপরের প্রেমে পড়েন। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে রোহিত–রিতিকা বিয়ে করেন। বর্তমানে এই দম্পতির ঘরে দুই সন্তান—মেয়ে সামাইরা (বয়স ৬ বছর ৫ মাস) ও ছেলে আহান (বয়স ৫ মাস)।

বিরাট কোহলি–আনুশকা শর্মা

ক্রিকেটের সঙ্গে বলিউডের যে দীর্ঘদিনের মেলবন্ধন, সেটারই আরেক উদাহরণ বিরাট কোহলি ও আনুশকা শর্মা। ভারতের ‘পাওয়ার কাপল’ হিসেবে পরিচিত তাঁরা। এই দম্পতিকে ‘বিরুশকা’ নামেও ডাকা হয়। ২০১৩ সালে একটি শ্যাম্পুর ব্র্যান্ডের মডেল হয়েছিলেন কোহলি ও বলিউড অভিনেত্রী আনুশকা। শুটিং সেটেই তাঁদের পরিচয়। ভালো লাগা থেকে ভালোবাসা। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ইতালির ফ্লোরেন্সের তুসকানিতে তাঁরা বিয়ে করেন। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তাঁদের ঘর আলো করে আসে কন্যাসন্তান ভামিকা, পুত্রসন্তান আকাইয়ের জন্ম গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে। এমন হাই প্রোফাইল দম্পতি হওয়া সত্ত্বেও কোহলি–আনুশকা কখনো সন্তানদের মিডিয়ার সামনে আনেননি। পারিবারিক বিষয়গুলো তাঁরা গোপন রাখতেই পছন্দ করেন।

যশপ্রীত বুমরা–সঞ্জনা গণেশন

পুনের মেয়ে সঞ্জনা গণেশন পেশায় ক্রীড়া সাংবাদিক ও টিভি উপস্থাপিকা। সঞ্জনা একসময় মডেলিং করতেন। সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘মিস ইন্ডিয়া’র ফাইনালেও উঠেছিলেন। ভারতের তারকা ফাস্ট বোলার যশপ্রীত বুমরার সঙ্গে তাঁর পরিচয় ২০১৩ আইপিএলে। সঞ্জনাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে বন্ধুত্ব হয় বুমরার। ধীরে ধীরে তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। কয়েক বছর চুটিয়ে প্রেম করার পর ২০২১ সালের মার্চে তাঁরা বিয়ে করেন। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে তাঁদের পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। নাম অঙ্গদ।

হার্দিক পান্ডিয়া–জেসমিন ওয়ালিয়া

২০২০ সালের প্রথম দিনেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সুসংবাদ দেন হার্দিক পান্ডিয়া। এই তারকা অলরাউন্ডার জানান, সার্বিয়ান মডেল ও নৃত্যশিল্পী নাতাশা স্তানকোভিচের সঙ্গে তিনি বাগ্‌দান সেরেছেন। সেই বছরের মে মাসে বৈশ্বিক মহামারি করোনার সময় তাঁরা আদালতে গিয়ে খুব সাদামাটা আয়োজনে বিয়ে করেন। মাস দুয়েক পরেই তাঁদের পুত্রসন্তান অগস্ত্যর জন্ম হয়। পান্ডিয়া–নাতাশার সংসার ভালোই চলছিল। ২০২৩ সালের ফ্রেব্রুয়ারিতে রাজস্থানের উদয়পুরে দুজন ঘটা করে আবারও বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ কী যে হলো! গত বছরের জুলাইয়ে দুজন পারস্পরিক সম্মতিতে বিচ্ছেদ  ঘোষণা করেন।

নাতাশার সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর ব্রিটিশ গায়িকা ও টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব জেসমিন ওয়ালিয়ার সঙ্গে পান্ডিয়া প্রেম করছেন বলে গুঞ্জন। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের একাধিক ম্যাচ দুবাই স্টেডিয়ামের ভিআইপি গ্যালারিতে বসে উপভোগ করেছেন জেসমিন। উইকেট পাওয়ার পর পান্ডিয়াকে উদ্দেশ করে জেসমিনকে উড়ন্ত চুম্বন দিতেও দেখা গেছে। গুঞ্জনের শুরুটা তখন থেকেই।

এবারের আইপিএলেও পান্ডিয়ার দল মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ম্যাচ মাঠে বসে উপভোগ করছেন জেসমিন। শুধু কি তাই? গত ৩১ মার্চ কলকাতার নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে মুম্বাইয়ের জয়ের পর জেসমিনকে পান্ডিয়াদের টিম বাসে উঠতেও দেখা গেছে।

শুবমান গিল–সারা টেন্ডুলকার

এই মুহূর্তে আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ব্যাটসম্যান শুবমান গিল। তাঁর নেতৃত্বে গুজরাট টাইটানসও আইপিএল পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে। ভারতীয় কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের মেয়ে সারা টেন্ডুলকারের সঙ্গে গিলের সম্পর্ক নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা দীর্ঘদিনের। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায়ও দুজন একসঙ্গে ধরা পড়েছিলেন। ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এটাও দাবি করেছিল, দুজন চুটিয়ে প্রেম করছেন। কিন্তু কিছুদিন আগে শোনা যায়, গিল–সারার সম্পর্ক নাকি ভেঙে গেছে। ইনস্টাগ্রামে নাকি একে অন্যকে ‘আনফলো’ করে দিয়েছেন।

মোহাম্মদ শামি–হাসিন জাহান

২০১২ আইপিএলের সময় মডেল হাসিন জাহানের সঙ্গে পরিচয় মোহাম্মদ শামির। শুরুতে বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম। হাসিন শামির চেয়ে ১০ বছরের বড় হলেও এই মাপকাঠি তাঁদের সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি। ২০১৪ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। পরের বছর জুলাইয়ে তাঁদের কন্যাসন্তান আইরার জন্ম হয়। প্রথম দিকে সংসার নির্ঝঞ্ঝাট চললেও চার বছরের মাথায় তিক্ততা শুরু হয়। শামির বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতন ও একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ আনেন হাসিন। দুজনই বিচ্ছেদ চেয়ে আদালতে মামলা করেন। সেই মামলা এখনো ঝুলে আছে। মেয়ে আইরাকে নিয়ে ৭ বছর ধরে আলাদা থাকছেন হাসিন। তবে আদালত শামিকে স্ত্রী–কন্যার ভরণপোষণের খরচ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশ মেনে হাসিন ও আইরাকে মাসে ১ লাখ ৩০ হাজার রুপি খরচ দেন ভারতের এই তারকা পেসার।

লোকেশ রাহুল–আতিয়া শেঠি

লোকেশ রাহুল ও আতিয়া শেঠির সম্পর্কের শুরু ২০১৯ সালে। আতিয়া বিখ্যাত বলিউড অভিনেতা সুনীল শেঠির মেয়ে এবং নিজেও একজন অভিনেত্রী। কয়েক বছর প্রেমের পর ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে খান্ডালায় সুনীল শেঠির ফার্ম হাউসে ঘরোয়া এক আয়োজনে বিয়ে করেন তাঁরা। গত ২৪ মার্চ প্রথমবারের মতো বাবা–মা হয়েছেন রাহুল ও আতিয়া। কন্যাসন্তানের নাম রেখেছেন ইভারাহ।

ঋষভ পন্ত–ইশা নেগি

২০২২ সালের ডিসেম্বরে মৃত্যুকে খুব কাছ দেখেছেন ঋষভ পন্ত। ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার এই উইকেটকিপার–ব্যাটসম্যান পুরোপুরি সেরে ওঠার পর গত বছর আবার ক্রিকেটে ফিরেছেন। ২৭ কোটি রুপির পন্তই এখন আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড়। ইশা নেগি নামে এক তরুণীর সঙ্গে ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে পন্ত প্রেম করছেন। ইশা পেশায় একজন উদ্যোক্তা ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনার। মাঝে গুঞ্জন ওঠে, বলিউড অভিনেত্রী উর্বশী রাউতেলার সঙ্গে প্রেম করছেন পন্ত। তবে সেই গুঞ্জন বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। সংবাদমাধ্যমগুলোও এর কোনো সত্যতা পায়নি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে অটোচালক মাসুদ হত্যা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বাদীকে হুমকি
  • ২৭ বাংলাদেশির কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় ঘটনার মূলহোতা গ্রেপ্তার
  • ক্রস বর্ডার ই-কমার্স ও বাংলাদেশের সম্ভাবনা
  • হামাসকে ভাষায় প্রকাশযোগ্য নয়, এমন গালি দিলেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট আব্বাস
  • ফিনটেক ও ই-কমার্স ইকোসিস্টেম: বাংলাদেশের নতুন বাণিজ্যবিপ্লব
  • মুনাফা কমলেও রেকর্ড লভ্যাংশের ঘোষণা বাটা শুর
  • বিসিসি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে আদালতে জাপা প্রার্থী
  • ১০৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করল বাটা
  • কোহলি–আনুশকা থেকে পন্ত–ইশা: ভারতীয় ক্রিকেটারদের ‘লাভ স্টোরি’