জয় দিয়ে নেপাল সফর শেষ করেছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী কাবাডি দল। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচে ২৮-২৩ পয়েন্টে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়েছে শ্রাবণী-বৃষ্টিরা। যদিও সিরিজের আগেই ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে সিরিজ নিশ্চিত করেছিল নেপাল, শেষ ম্যাচে জয় পেয়ে সম্মানজনকভাবে সফর শেষ করেছে লাল-সবুজরা।

শুক্রবার নেপালের ললিতপুরের সাতদোবাতোর তায়কোয়ান্দো হলে অনুষ্ঠিত হয় সিরিজের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ। প্রথমার্ধে বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল ৭ পয়েন্টে। বিরতির আগে নেপালের ১৪ পয়েন্টের বিপরীতে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল মাত্র ৭। অষ্টম মিনিটে একটি লোনা আদায় করে স্বাগতিকরা, যা প্রথমার্ধে ব্যবধান গড়ে দেয়। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায় চিত্র। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে একের পর এক পয়েন্ট তুলতে থাকে বাংলাদেশ। দুটি লোনা সহ ২১ পয়েন্ট তুলে নিয়ে শেষ পর্যন্ত ৫ পয়েন্টের জয় নিশ্চিত করে সফরকারীরা।  

সিরিজে শুরুটা মোটেও ভালো ছিল না বাংলাদেশের। প্রথম ম্যাচে ৪১-১৮ ও দ্বিতীয় ম্যাচে ২৯-২২ ব্যবধানে হেরে যায় দলটি। তৃতীয় ম্যাচে ফিরে আসে আত্মবিশ্বাস, জয় পায় ২৬-২৩ ব্যবধানে। তবে চতুর্থ ম্যাচে ২১-১৭ ব্যবধানে পরাজয়ে সিরিজ হাতছাড়া হয়। শেষ ম্যাচের জয়টা তাই স্বান্তনার হলেও গুরুত্বপূর্ণ আত্মবিশ্বাস এনে দিয়েছে মেয়েদের মধ্যে।

সফর শেষে বাংলাদেশ কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ বলেন, ‘এই সিরিজে আমাদের মেয়েরা ধারাবাহিক উন্নতি করেছে। বিশ্বকাপের আগে কোন জায়গায় উন্নতির দরকার, তা চিহ্নিত করা গেছে। মেয়েরা যে আত্মবিশ্বাস অর্জন করেছে, তা বিশ্বকাপে কাজে দেবে।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবধ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সীমান্তে গোলাগুলি, ফিরছেন ভিসা বাতিল হওয়া নাগরিকেরা

কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে সীমান্তে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) বরাবর এ গোলাগুলি হয়। এই পরিস্থিতিতে পারমাণবিক অস্ত্রধারী প্রতিবেশী দুই দেশকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ।

এদিকে পাল্টাপাল্টি ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্তের পর ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকেরা নিজ নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন। দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল।

কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলার ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে ভারত। এ ঘটনায় পাকিস্তানকে জড়িয়ে ভারতের দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে গতকাল শুক্রবার পাকিস্তানের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে সর্বসম্মতভাবে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারতকে সতর্কও করেছে পাকিস্তান। এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, দুটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে যুদ্ধ সব সময়ই উদ্বেগের। যদি পরিস্থিতি খারাপের দিকে যায়, তাহলে এই সংঘাত একটি করুণ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

পেহেলগামে হামলার পর নিরাপত্তা পরিস্থিতি সরেজমিন খতিয়ে দেখতে গতকাল কাশ্মীর গেছেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।

ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি তিনি হামলার স্থলও পরিদর্শন করেন। আগের দিন সর্বদলীয় বৈঠকে কাশ্মীরে নিরাপত্তাব্যবস্থায় যথেষ্ট গাফিলতি ছিল বলে স্বীকার করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

গত মঙ্গলবার বিকেলে ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র বৈসারণ উপত্যকায় বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ) নামে স্বল্প পরিচিত একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী।

এই হামলায় পাকিস্তানের মদদ আছে অভিযোগ তুলে গত বুধবার প্রতিবেশী দেশটির নাগরিকদের ভিসা বাতিল ও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিতসহ পাঁচটি পদক্ষেপ নেয় ভারত। জবাবে পরদিন ভারতের নাগরিকদের ভিসা বাতিল, দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্থগিত, আকাশসীমা বন্ধসহ বেশ কয়েকটি পাল্টা পদক্ষেপ নেয় পাকিস্তান।

পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে অব্যাহত উত্তেজনার মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে গোলাগুলি হয়। ভারতের সেনাবাহিনীর সূত্রগুলো দাবি করেছে, পাকিস্তানের সেনারা প্রথম গুলি করেছেন। পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কর্মকর্তা সৈয়দ আশফাক গিলানি গোলাগুলির খবর নিশ্চিত করেছেন। তবে কোন পক্ষ আগে গুলি চালিয়েছে, সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।

পাকিস্তান থেকে ফিরে স্বজনদের সঙ্গে ভারতের এক নাগরিক (মাঝে)। গতকাল ভারতের অমৃতসর শহরের ওয়াঘা সীমান্তে

সম্পর্কিত নিবন্ধ