রাউজানে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল হবু দম্পতির
Published: 25th, April 2025 GMT
চট্টগ্রামের রাউজানে সিনএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে এক হবু দম্পতির। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের রাউজানের গহিরা বটতল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- রাঙ্গুনিয়া উপজেলার দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়নের মো. আকবর সিকদারের ছেলে জোনায়েদ হোসেন সিকদার আকিব (২৩) এবং হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ উল্লাহর মেয়ে মোরশেদা জাহান মিম (১৮)।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আকিব ও মিমের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানার পর উভয় পরিবার তাদের বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এবং প্রস্তুতিও শুরু করেছিল। আকিবের পরিকল্পনা ছিল বিয়ের পর প্রবাসে চলে যাওয়ার।
বৃহস্পতিবার সকালে তারা দুজন মোটরসাইকেলে করে ঘুরতে বের হন। বিকেল ৪টার দিকে আকিব মিমকে তার হাটহাজারীর বাড়িতে পৌঁছে দিতে যাওয়ার পথে গহিরা বটতল এলাকায় চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়।
দুর্ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের প্রথমে গহিরা জেকে মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে বাইকের ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এতে ছেলেটি মারা যাওয়ার পর মেয়েটিরও মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পেয়েছি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়, গ্রেপ্তার ২
বন্দর উপজেলার আমিরাবাদ বটতলা স্ট্যান্ড এলাকায় এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় ২ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বন্দর থানা পুলিশ।
ফেসবুকে এক নারীর সঙ্গে পরিচয়ের পরে ওই নারীর সঙ্গে দেখা করতে এসে অপহরণের শিকার হয় ওই শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে বন্দরের নবীগঞ্জ ও উত্তর নোয়াদ্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২ অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় ঢাকার বংশাল থানাধীন নাজিরাবাজার এলাকার বাসিন্দা মোঃ আব্দুল হকের পুত্র শিক্ষার্থী মোঃ মাহিন উদ্দিন নাঈম (২২) বাদি হয়ে বন্দর থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৬ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
গ্রেফতারকৃত অপহরণকারীরা হলো, বন্দরের উত্তর নোয়াদ্দা ডায়াবেটিকস্ হাসপাতালের পিছনে সোহরাব মৃধার পুত্র মোঃ শান্ত হাসান (২০) ও নবীগঞ্জ কাইতাখালী এলাকার নুরুল ইসলামের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত মাসুম রেজার পুত্র মাহমুদুল হাসান সুখন (২২)।
পলাতক আসামীরা হলো, নোয়াদ্দা বড় মসজিদ এলাকার সোহান (২৭), কাইতাখালির তাইজুল ইসলামের পুত্র পারভেজ ওরফে বাবু (২৪), উত্তর নোয়াদ্দার আলতাবের পুত্র রিহান (২০), রাহা মনি ওরফে রুহিসহ অজ্ঞাত আরো ৫/৬ জন।
মামলার এজাহারে বাদি মোঃ মাহিন উদ্দিন নাঈম (২২) উল্লেখ করেন তিনি শেখ বোরহান উদ্দিন কলেজে দ্বাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী। তার সঙ্গে বন্দরের রাহা মনি ওরফে রুহি (২২) নামের এক নারীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয়। ফেসবুকে পরিচয়ের সুবাদে শিক্ষার্থী নাঈম রাহা মনি ওরফে রুহির সঙ্গে দেখা করার জন্য গত ২৩ এপ্রিল বিকেলে বন্দর থানাধীন আমিরাবাদ বটতলা ষ্ট্যান্ডে আসে।
এসময় রাহা মনি ওরফে রুহির সহযোগিতায় ১০/১২ জনের একটি অপহরণকারী চক্র শিক্ষার্থী মোঃ মাহিন উদ্দিন নাঈমকে অপহরণ করে একটি অজ্ঞাতনামা বিলে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে অপহরণকারীরা শিক্ষার্থী নাঈমকে আটকে তাদের হাতে থাকা কাঠের ডাসা দিয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে এলোপাতারী বারি মেরে নিলামুলা জখম করে এবং এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে।
এসময় তার মানিব্যাগে থাকা নগদ সাড়ে ৪ হাজার টাকা এবং একটি আইফোন (যার মূল্য ৩২ হাজার পাঁচশ টাকা) লুটে নেয়। পরে শিক্ষার্থী নাঈমের বাবার ফোনে কল করে মুক্তিপণ দাবি করলে তার বাবা বিকাশের মাধ্যমে নগদ ৫ হাজার টাকা পাঠায়।
পরে অপহরণকারীরা শিক্ষার্থী নাঈমকে ১৪ ঘন্টা আটকে রেখে ২৪ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাকে ছেড়ে দেয়। পরে শিক্ষার্থী নাঈম স্থানীয়দের সহযোগিতায় বন্দর থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ প্রথমে অভিযান চালিয়ে মোঃ শান্ত হাসানকে গ্রেফতার করে।
পরে শান্ত হাসানের তথ্য মতো ২নং আসামী মাহমুদুল হাসান সুখনকে গ্রেফতার করে। এসময় মাহমুদুল হাসান সুখনের কাছ থেকে শিক্ষার্থী নাঈমের আইফোন জব্দ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।