ইটভাটায় নারী শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে দুই শ্রমিক আটক
Published: 25th, April 2025 GMT
যশোরে এক ইটভাটায় নারী শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগে দুই শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার বাগেরহাট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, সদর উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের মৃত আলী আহম্মেদ বিশ্বাসের ছেলে আকরাম হোসেন ও একই গ্রামের অসীম সরদারের ছেলে রাব্বি হোসেন।
ভুক্তভোগী নারী ও অভিযুক্তরা বাগেরহাট আসলাম বিকস্ নামে ইটভাটাতে শ্রমিকের কাজ করেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৪ থেকে ৫ মাস ধরে ভুক্তভোগী নারী স্বামীর সঙ্গে আসলাম বিকস্ কাজ করেন। সেখানে একটি কুঁড়েঘরে তিনি স্বামী ও সন্তানসহ বসবাস করেন।
পুলিশ ও ভুক্তভোগী নারী জানান, অভিযুক্ত আকরাম হোসেন এবং রাব্বি হোসেন একই ভাটার ট্রাকে কাজ করেন। ভাটার কাজের সূত্র ধরে তাদের সঙ্গে পরিচয় গড়ে ওঠে। শুক্রবার ভোররাতে ইটভাটাতে কাজ শেষে পাশেই পুকুরে গোসল করতে যান ওই নারী। গোসল শেষে ওঠার সময় আকরাম হোসেন পেছন থেকে জাপটে ধরেন। এরপর মুখ চেপে ধরে তাকে ইট তৈরির পটের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এসময় রাব্বি হোসেন সহযোগিতা করেন।
ধর্ষণের পর তারা নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে স্থান ত্যাগ করেন। পরে বিষয়টি ভাটা মালিক ও স্বামীকে জানান ভুক্তভোগী ওই নারী। তাদের সহায়তায় কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তাদের আটক করে।
যশোর কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে নিজ নিজ বাড়ি থেকে অভিযুক্তদের আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইটভ ট
এছাড়াও পড়ুন:
আখাউড়ায় ২৮ রাউন্ড গুলিসহ আটক ৩
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ২৮ রাউন্ড গুলিসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে পৌরসভার মসজিদ পাড়া এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি ব্যাগে রাখা অবস্থায় গুলিগুলো উদ্ধার করা হয়।
আটকরা হলেন— কুমিল্লার কোতোয়ালি এলাকার মো. পলাশ (৩০) ও হেলাল মিয়া এবং আখাউড়া পৌরসভার মসজিদ পাড়া এলাকার মো. কাউছার (৪৫)।
আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ছমিউদ্দিন বলেন, ‘গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আমরা জুমার নামাজের পর ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করি। ওই সময় তিনজনকে আটক করা হয় এবং তাদের কাছে থাকা একটি ব্যাগ থেকে ২৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করি।’
তিনি জানান, আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে এই গুলি কুমিল্লা থেকে আনা হয়েছিল। তবে তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য কী ছিল, কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত—তা উদঘাটনে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।