বন্দরে বেপরোয়া ভাবে গাড়ী চালিয়ে যাওয়ার সময় ক্রাউন সিমেন্টের একটি গাড়ি  নিয়ন্ত্রন হারিয়ে খাদে পরে  র্দূঘটনা সংগঠিত হয়েছে।  ওই সময়  নিয়ন্ত্রনহীন গাড়ীটি  একটি বিদ্যুৎ খুঁটিতে ধাক্কা দিলে খুঁটিতে থাকা ৩ টি ট্রান্সফরমার নিচে পড়ে যায়।

এ ঘটনায়   সুদূর রাজশাহী জেলার উল্লাপাড়া থানার সরাতৈল এলাকার আব্দুর রাজ্জাক মিয়ার ছেলে হেলপার সুজন (২৪) মারাত্মক ভাবে জখম হয়।

স্থানীয়রা আহতকে  উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ৫টায় বন্দর উপজেলার মদনগঞ্জ টু মদনপুর সড়কের ধামগড় ইউনিয়নের ইস্পাহানি বাজার এলাকায় এ দূর্ঘটনাটি ঘটে।

প্রত্যেক্ষদৃশি সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ভোর ৫টায় ক্রাউন সিমেন্ট কোম্পানি ঢাকা মেট্রো-ম ১১-৭৭৭৭ নাম্বারের মুন্সিগঞ্জগামী একটি গাড়ী বেপরোয়াভাবে চালিয়ে যাওয়ার সময় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে একটি বিদ্যুৎ খুঁটিতে ধাক্কা দিলে খুঁটিতে থাকা ৩টি  ট্রান্সফরমার নিচে পড়ে যায়। ওই সময় গাড়ী হেলপার মারাত্মক ভাবে জখম হয়। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে নেত্রকোনা শহরের একাংশ ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন

নেত্রকোনা পৌর শহরের জয়নগর এলাকায় ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। এ ঘটনায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই এলাকার সহস্রাধিক গ্রাহক। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটা থেকে আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

নেত্রকোনা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) অভিযোগকেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা পলাশ মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, শহরের ৭ নম্বর ফিডারের ট্রান্সফরমার গতকাল রাত তিনটার দিকে বিকল হয়ে যায়। এ কারণে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, নতুন ট্রান্সফরমার বসিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপনের কাজ চলছে। ফলে কিছুটা সময় লাগবে।

পিডিবি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা শহরে ১০টি ফিডারের আওতায় ৫৪ হাজার ৩২৫ জন গ্রাহক রয়েছেন। গতকাল রাত তিনটার দিকে ৭ নম্বর ফিডারে হঠাৎ ভোল্টেজ কমে যায়। প্রাথমিকভাবে কিছু সময় আংশিক বিদ্যুৎ থাকলেও কিছুক্ষণ পর পুরো এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি যেমন বাতি, পাখা, রেফ্রিজারেটর বন্ধ হয়ে যায়। আজ বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। বিদ্যুৎ না থাকায় প্রচণ্ড গরমে শিশু, বৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন।

সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জয়নগর এলাকার বাসিন্দা জাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি নিয়মিত বাসায় নেবুলাইজার ব্যবহার করি। বিদ্যুৎ না থাকায় সেটা ব্যবহার করতে পারছি না, শ্বাসকষ্টে ভুগছি।’

একই এলাকার আরেক বাসিন্দা শাহনাজ পারভীন বলেন, ‘বিদ্যুৎ না থাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। গোসল, রান্নাবান্নাসহ দৈনন্দিন কাজে সমস্যা হচ্ছে। বাচ্চারা পড়াশোনা করতে পারছে না।’

নেত্রকোনা পিডিবি কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী সালাউদ্দিন বলেন, ‘ট্রান্সফরমার বিকল হওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে নতুন ট্রান্সফরমার বসানোর কাজ চলছে। আশা করছি, শিগগিরই বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ট্রান্সফরমারে ইলেকট্রনিক ডিভাইস তালা দিয়েও বন্ধ হচ্ছে না চুরি
  • ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে নেত্রকোনা শহরের একাংশ ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন