চট্টগ্রাম নগরের নিজ বাসা থেকে থেকে নারীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নগরের পতেঙ্গা থানার খালপাড় এলাকার বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত তানজিনা বেগম (২৩) নেত্রকোণা জেলার বাসিন্দা। এ ঘটনার পর থেকে তার স্বামী পলাতক। তাকে খুঁজছে পুলিশ।

পুলিশের ধারণা, পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন ওই নারী।

পুলিশ জানায়, পতেঙ্গার খালপাড় এলাকার একটি ভবনের নিচ তলায় স্বামী ও দুই ভাইয়ের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন তানজিনা। তারা সবাই পোশাক কারখানায় কাজ করেন। বৃহস্পতিবার রাতে এক ভাই বাসায় ফিরে দেখেন দরজায় তালা মারা। তিনি আরেক ভাইয়ের কাছ থেকে চাবি নিয়ে এসে বাসায় ঢুকেন। বাসায় রক্তাক্ত অবস্থায় তানজিনাকে পড়ে থাকতে দেখেন।

পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, নিহত তানজিনার ভাইয়ের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। মরদেহ উদ্ধার করি। তাকে গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক তানজিনার স্বামীকে ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে। তাকে আসামি করে নিহতের ভাই মামলা দায়ের করেছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন হত মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ, ইমাম আটক

কুমিল্লায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের লোলাই জামে মসজিদ সংলগ্ন কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় স্থানীয়রা হাবিব উল্যাহ নামে মসজিদের ইমামকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন। তিনি চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার উজালা গ্রামের ইদ্রিছ মিয়ার ছেলে।

ওই শিশুর স্বজন ও স্থানীয়রা বলেন, কয়েক বছর ধরে লোলাই জামে মসজিদে ইমামের দায়িত্ব পালন করছিলেন হাবিব উল্লাহ। পাশাপাশি তিনি প্রতিদিন সকালে গ্রামের শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষা দেন। মসজিদের পাশেই হুজুরের শয়নকক্ষ। সকালে ওই শিশুর এক আত্মীয় শিশুটিকে খুঁজতে হুজুরের কক্ষে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন মেয়েটির সঙ্গে খারাপ কিছু করার চেষ্টা করছেন হুজুর। পরে তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে হাবিব উল্যাহ নামের একজন ইমামকে এলাকাবাসী ধরে দুপুরে পুলিশে সোর্পদ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ইমাম অপরাধ স্বীকার করেছেন। ভুক্তভোগি শিশুটির বাবা নেই। মা ভিক্ষা করেন। এ ঘটনায় মামলার পর শনিবার ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ