চট্টগ্রাম নগরের আতুরার ডিপো এলাকায় পেট্রোল বোমা হামলায় দগ্ধ লায়লা বেগমের (৫০) মৃত্যু হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে রাউজান পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে নিজ বসতঘরে তার মৃত্যু হয়।

ঢাকা থেকে তাকে রাউজান নিয়ে আসার পর ওইদিন সন্ধ্যায় অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়। পরে রাতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানান লায়লা বেগমের স্বামী আব্বাস উদ্দিন।

রোববার (২০ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন আতুরার ডিপো এলাকায় সিএনজি অটোরিকশায় পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের ঘটনায় দুই যাত্রী লায়লা বেগম (৫০) ও তাঁর পুত্রবধূ ঝর্ণা বেগম (৩০) দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে লায়লা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

অটোরিকশার যাত্রীরা কুতুবদিয়া মালেক শাহ’র দরবারে যাচ্ছিলেন। আতুরার ডিপো এলাকায় এলে কয়েকজন লোক অতর্কিত পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কুমিল্লায় শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ, ইমাম আটক

কুমিল্লায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার সকালে লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের লোলাই জামে মসজিদ সংলগ্ন কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় স্থানীয়রা হাবিব উল্যাহ নামে মসজিদের ইমামকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন। তিনি চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার উজালা গ্রামের ইদ্রিছ মিয়ার ছেলে।

ওই শিশুর স্বজন ও স্থানীয়রা বলেন, কয়েক বছর ধরে লোলাই জামে মসজিদে ইমামের দায়িত্ব পালন করছিলেন হাবিব উল্লাহ। পাশাপাশি তিনি প্রতিদিন সকালে গ্রামের শিশুদের ধর্মীয় শিক্ষা দেন। মসজিদের পাশেই হুজুরের শয়নকক্ষ। সকালে ওই শিশুর এক আত্মীয় শিশুটিকে খুঁজতে হুজুরের কক্ষে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন মেয়েটির সঙ্গে খারাপ কিছু করার চেষ্টা করছেন হুজুর। পরে তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে হাবিব উল্যাহ নামের একজন ইমামকে এলাকাবাসী ধরে দুপুরে পুলিশে সোর্পদ করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক ইমাম অপরাধ স্বীকার করেছেন। ভুক্তভোগি শিশুটির বাবা নেই। মা ভিক্ষা করেন। এ ঘটনায় মামলার পর শনিবার ধর্ষণ চেষ্টার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ