কাদের হাতে গুপ্তহত্যার শিকার হচ্ছেন রুশ সামরিক কর্মকর্তারা
Published: 25th, April 2025 GMT
রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় আজ শুক্রবার একটি গাড়িতে বিস্ফোরণে দেশটির ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা ইয়ারোস্লাভ মোসকালিক নিহত হয়েছেন। মস্কো প্রশাসনিক অঞ্চলের বালাশিখা শহরে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত ইয়ারোস্লাভ মোসকালিক রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের প্রধান অপারেশন ডিরেক্টরেটের উপপ্রধান ছিলেন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে মস্কোয় বা রাশিয়ার অন্যান্য শহরে দেশটির সামরিক কর্মকর্তাদের নিশানা করে হামলার ঘটনা এটাই প্রথম নয়।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পূর্ব ইউক্রেনের একটি রুশপন্থী আধা সামরিক গোষ্ঠীর নেতা আরমেন সারগসিয়ান উত্তর-পশ্চিম মস্কোর একটি আবাসিক ভবনের প্রবেশপথে বিস্ফোরণে আহত হয়েছিলেন। পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। সেই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।
২০২৪ সালের ১৭ ডিসেম্বর রুশ জেনারেল ইগর কিরিলোভ মস্কোয় নিজের অ্যাপার্টমেন্ট ব্লকের বাইরে একটি বৈদ্যুতিক স্কুটারে পেতে রাখা বোমার বিস্ফোরণে মারা যান। তিনি রাশিয়ার রেডিয়েশন, কেমিক্যাল ও জৈবিক সুরক্ষাবাহিনীর প্রধান ছিলেন।
ইউক্রেনের প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা এসবিইউ ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল। তখন তারা বলেছিল, মস্কোর একটি আবাসিক ব্লকের বাইরে এক ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তার হত্যার পেছনে তাদের হাত ছিল।
এর কিছুদিন আগে মস্কোর কাছাকাছি এক জঙ্গলে দেশটির শীর্ষস্থানীয় ক্ষেপণাস্ত্রবিজ্ঞানী মিখাইল শাটস্কিকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রাশিয়াপন্থী ইউক্রেনের সাবেক এমপি ইলিয়া কিভাকে মস্কোর বাইরে একটি পার্কে গুলি করে হত্যা করা হয়।
ওই বছরের এপ্রিলে সেন্ট পিটার্সবার্গের একটি ক্যাফেতে এক অনুষ্ঠানে রুশপন্থী যুদ্ধব্লগার ভ্লাদলেন তাতারস্কি বোমা বিস্ফোরণে নিহত হন। অনুষ্ঠানে তাঁকে একটি ছোট ভাস্কর্য উপহার দেওয়া হয়েছিল। সেখানেই বোমা লুকানো ছিল।
যুদ্ধ শুরুর পর থেকে মস্কো বা রাশিয়ার অন্যান্য স্থানে যেসব গুপ্তহত্যা হয়েছে, নীতিগত কারণে ইউক্রেন সেগুলোর দায় স্বীকার করে না। তবে সেসব হামলার সঙ্গে তাদের স্বার্থ যে জড়িত, তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়েটের ভিসি ও প্রো-ভিসিকে অব্যাহতি, প্রজ্ঞাপন জারি
রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও উপ-উপাচার্য ড. শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম কাসেম সই করেন।
ভিসিকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলেরর অনুমোদনক্রমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৩-এর ধারা ১০ (২) অনুযায়ী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর পদে ইতোপূর্বে নিয়োগকৃত অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে তার নিজ বিভাগে প্রত্যাবর্তনের নিমিত্ত ভাইস-চ্যান্সেলর পদের আদেশ প্রত্যাহারপূর্বক তাকে ওই পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
অপর প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৩-এর ধারা ১২ (২) অনুযায়ী এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইসচ্যান্সেলর পদে ইতোপূর্বে নিয়োগকৃত অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে তার নিজ বিভাগে প্রত্যাবর্তনের নিমিত্ত প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর পদের আদেশ প্রত্যাহারপূর্বক তাকে ওই পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।
প্রজ্ঞাপন দুইটিতে উল্লেখ করা হয়, জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।
এর আগে, গত বুধবার দিবাগত রাতে কুয়েটের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হয় বলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে। অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকগণের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে।