রূপগঞ্জে "ভূমিদস্যু নিপাত যাক কায়েতপাড়াবাসী মুক্তি পাক, অবৈধভাবে বালুভরাট বন্ধ কর, করতে হবে" বিভিন্ন স্লোগানে ৯দফা দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ভূমি মালিকরা।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার ইছাখালী বাজারে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা বলেন একটি মহল কায়েতপাড়া ইউনিয়নের মধ্যে আবাসিক প্রকল্পের নামে অধিকাংশ জমি ক্রয় না করেই দুই ফসলি বা তিন ফসলি জমি ড্রেজার এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলেছে।

আবার কোন কোন ক্ষেত্রে জমি ক্রয় না করে এবং জমির মালিককে না জানিয়েই তাকে কোন ক্ষতিপূরণ না দিয়েই লাল নিশানা উড়িয়ে রাস্তা নির্মান করা হচ্ছে যা বাংলাদেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধান বহির্ভূত।

তাছাড়া এই এলাকার বসতবাড়ি উঠিয়ে দিয়ে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের স্থায়ী বাসীন্দাদের পুনর্বাসনের কোন সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা না করে তাদেরকে সরিয়ে দিয়ে তারা তাদের প্রকল্প বাস্তবায়ন করে ফেলবে যার কিছু নজির এখন স্পষ্টতই দৃশ্যমান।

ফলে আমরা কায়েতপাড়ার আপামর জনসাধারণ এবং ইউনিয়নের স্থায়ীবাসীন্দারা এই অন্যায়ের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করি এবং প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের হস্তক্ষেপ কামনা করি। 

দাবি গুলোর মধ্যে ছিল, "জমি ক্রয় না করে অবৈধভাবে বালি ভরাট বা রাস্তাঘাট নির্মাণ করা যাবেনা। "জমি না কিনে ইতিমধ্যেই অবৈধভাবে বালি ভরাটকৃত জমির ন্যায্যমূল্যসহ ক্ষতিপূরণ জমির মালিককে প্রদান করতে হবে"। "আবাসন প্রকল্প অবশ্যই বসতবাড়ির বাইরে থাকতে হবে"।

"অবিলম্বে আবাসন প্রকল্পের সীমানা নির্ধারণ ঘোষণা করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী আবাসন প্রকল্প নির্মাণ করতে হবে। প্রকল্প এলাকায় আবাসন প্রকল্পের ম্যাপ টানিয়ে রাখতে হবে"। "বসতবাড়ি থেকে কমপক্ষে ১০০০ ফিট দূরে আবাসন প্রকল্পের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে হবে"।"

আবাসন প্রকল্পের কোন রাস্তা করার ক্ষেত্রে বসতবাড়ির মধ্য দিয়ে করা যাবেনা। একান্ত প্রয়োজনে বসতবাড়ির মধ্য দিয়ে করতে হলে অবশ্যই বাড়ির মালিককে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণসহ তাকে প্রকল্পের মধ্য থেকে একটি প্লট বরাদ্দ করতে হবে।

আর যদি ফসলি জমির মধ্য দিয়ে রাস্তা করা হয় তবে অবশ্যই রাস্তা নির্মানের জন্য প্রয়োজনীয় জমির ন্যায্যমূল্য এবং ফসলের ক্ষতিপূরণ জমির মালিককে প্রদান করতে হবে"। "  ক্ষতিপূরণ দেয়ার আগে কোনভাবেই বাড়ির মালিককে উচ্ছেদ করা যাবেনা"।

"জমির প্রকৃত মালিক ও দখলে থাকা ব্যাক্তির নিকট থেকে জমি ক্রয় করতে হবে। ওয়ারিশ এর নিকট থেকে জমি ক্রয়ের নামে কম মূল্যে জমি ক্রয় করে জমির প্রকৃত মালিক ও দখলদারকে উচ্ছেদ করা যাবেনা"।" বসতবাড়ির চেয়ে উঁচু করে বালি ভরাট করা চলবে না।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ বসতব ড় র

এছাড়াও পড়ুন:

গুম শিক্ষার্থীদের ফেরত দাবি জবি হিউম্যান রাইটস সোসাইটির

শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন, গুমের শিকার তিন শিক্ষার্থীদের ফেরতসহ বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা হিউম্যান রাইটস সোসাইটি।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষ্কর্য চত্বরে আয়োজিত এ মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য, সাধারণ শিক্ষার্থী ও মানবাধিকার কর্মীরা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশে একের পর এক বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের প্রতি অবিচার ক্রমেই বাড়ছে। এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

এ সময় তারা কুয়েট থেকে ৩৭ শিক্ষার্থীকে অন্যায়ভাবে বহিষ্কার এবং প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজ হত্যার প্রতিবাদ জানান।

তাদের দাবি, শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন করতে হবে; গুমের শিকার তিন শিক্ষার্থী ও সাবেক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রদল নেতাদের ফেরত দিতে হবে; শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রশাসন ও সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

সংগঠনের সদস্য নওশিন নাওয়ার জয়া বলেন, “একটার পর একটা বিচার বহির্ভূত হত্যার ঘটনা ঘটছে। অথচ রাষ্ট্রযন্ত্র নিশ্চুপ। যারা আন্দোলনের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতায় এসেছে, তারাই আজ বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ফ্যাসিবাদ ব্যক্তি নয়, এটি একটি ধারণা। যারা ফ্যাসিবাদে পরিণত হবে, জনগণ তাদের বিরুদ্ধেই রুখে দাঁড়াবে।”

আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দুই দশক পেরিয়ে গেলেও ছেলেদের জন্য কোনো আবাসন নেই। আবাসন ছাড়া একটি শিক্ষার্থীর বিকাশ অসম্ভব। পারভেজ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দলমত নির্বিশেষে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”

সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ১ হাজার ২৪৮ জন নারী শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা রয়েছে। ছেলেদের জন্য কোনো আবাসন নেই। প্রতিদিন মেসে অমানবিক পরিবেশে থাকতে হচ্ছে। অথচ প্রশাসন শিক্ষার্থীদের চাওয়া উপেক্ষা করে লিফট স্থাপন করছে, যা শিক্ষার্থীদের হৃদয়ে আঘাত করে।”

তিনি আরো বলেন, “আবাসন সংকট নিরসনে প্রশাসনের কার্যকরি কোনো উদ্যোগ নেই। শিক্ষার্থীরা একের পর এক আন্দোলন করলেও প্রশাসনের গড়িমসি চলছেই।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মালয়েশিয়াসহ সব শ্রমবাজার খুলে দেওয়ার আহ্বান
  • থানার পাশে অবৈধ বালুমহাল, ওসির প্রত্যাহার চাইলেন বিএনপি নেতা
  • রেজিস্ট্রারের অসদাচরণের প্রতিবাদে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
  • মালয়েশিয়াসহ সব শ্রমবাজার দ্রুত খোলার দাবি জানাল বায়রা
  • ফেনীতে একাধিক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা, প্রতিবাদে মানববন্ধন-সমাবেশ
  • রাতে বালুর ট্রাকের টাকা গুনে নিচ্ছে পুলিশ
  • প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবিতে সড়ক অবরোধ, স্কুলে তালা
  • গুম শিক্ষার্থীদের ফেরত দাবি জবি হিউম্যান রাইটস সোসাইটির
  • মহেশখালীতে বসতবাড়ির সামনে যুবককে কুপিয়ে হত্যা