২৭ বাংলাদেশির কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় ঘটনার মূলহোতা গ্রেপ্তার
Published: 25th, April 2025 GMT
লিবিয়ায় ২৭ বাংলাদেশিকে জিম্মি করে মুক্তিপণ আদায় ঘটনার মূলহোতা জাহিদ হোসেনকে (২৭) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাতে নওগাঁর রানীনগর উপজেলার সিংগারাপাড়া গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে র্যাব-৫ এর সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ।
গ্রেপ্তার জাহিদের বাবার নাম এহরাম সরদার (৪০)। এই ঘটনার অন্যতম ভুক্তভোগী ইয়াকুব আলীর (৩৮) করা মামলার ভিত্তিতে র্যাব অভিযানে নামে। ইয়াকুব কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগরায় গ্রামের বাসিন্দা।
আরো পড়ুন:
র্যাবের নতুন মুখপাত্র ইন্তেখাব চৌধুরী
খুলনায় শিশু ধর্ষণ মামলার ২ আসামি কারাগারে
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ জানান, দুই বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে ইয়াকুব আলীর সঙ্গে পরিচয় হয় জাহিদের। তখন তিনি ইয়াকুবকে ইতালি যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বলেছিলেন, ইতালিতে তার একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে এবং সেখানে চাকরির জন্য অনেক সুযোগ রয়েছে। আগ্রহ প্রকাশ করলে জাহিদ ইয়াকুবকে তার বাবা এহরাম সরদার ও চাচা বাবু মোল্লার সঙ্গে দেখা করতে বলেন।
২০২৩ সালের ১০ আগস্ট তারা দেখা করেন। এরপর ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে ইতালি যাওয়ার বিষয়ে চুক্তি করেন। পাঁচ লাখ টাকা আগাম পরিশোধ করার পর ইয়াকুবকে ফ্লাইটের সময় জানানো হয়।
জাহিদ ইয়াকুবকে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে আরো ২৬ জনের সঙ্গে দুবাই পাঠান। ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর তারা দুবাই পৌঁছান। এরপর সেখান থেকে নাইজার এবং আলজেরিয়া নেওয়া হয় তাদের। সেখানে ২৭ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করলে তারা কিছুদিন জেলও খাটেন। পরে তাদের তিউনিশিয়া এবং পরে লিবিয়ায় নিয়ে যায় চক্রটি।
লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর ২৭ জনকে একটি বাড়িতে বন্দী করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের ছবি ও ভিডিও পরিবারের কাছে পাঠানো হয় এবং মুক্তিপণ আদায় করা হয়। ইয়াকুবের পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছিল।
এ ঘটনায় বাংলাদেশের গণমাধ্যমে খবর প্রচারের পর লিবিয়ায় বাংলাদেশের দূতাবাসের মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মো.
র্যাব অধিনায়ক জানান, গ্রেপ্তার জাহিদ নিজের অপরাধ স্বীকার করেছেন। র্যাব বর্তমানে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
ঢাকা/কেয়া/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
১০৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করল বাটা
বাটা শু (বাংলাদেশ) লিমিটেড ২০২৪ সালের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০৫ শতাংশ চূড়ান্ত নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। গতকাল মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় এ লভ্যাংশ অনুমোদন করা হয়। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে দেওয়া ঘোষণায় এই তথ্য জানানো হয়েছে।
কোম্পানিটির ঘোষিত লভ্যাংশ ও অন্যান্য এজেন্ডায় বিনিয়োগকারীদের অনুমোদন নিতে আগামী ২৬ জুন বার্ষিক সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৬ মে।
বাটা শুর বিবরণী অনুযায়ী, আগের বছরের তুলনায় গত বছর শেয়ারপ্রতি আয় ২৬ শতাংশ কমে ২১ টাকা ৬২ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। ২০২৪ সালে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২১ টাকা ৬২ পয়সা। আগের বছর যেখানে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ২৯ টাকা ৩১ পয়সা।
সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি) হয়েছে ২২০ টাকা ২২ পয়সা। এটি ২০২৩ সালে ছিল ২৩৭ টাকা ৯৩ পয়সা। এ ছাড়া গত বছর বাটা শুর নিট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো পার শেয়ার বা শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ হয়েছে ৭১ টাকা ৪২ পয়সা; ২০২৩ সালে যা ছিল ৯৩ টাকা ৮০ পয়সা।
লভ্যাংশ ঘোষণারও পর আজ বুধবার শেয়ারবাজারে বা শু কোম্পানির শেয়ারের দাম তেমন একটা বাড়েনি। সকালের প্রথম অধিবেশনে দাম বেড়েছে মাত্র ১ দশমিক ২৫ শতাংশ।
গত এক বছরে বাট শু কোম্পানির শেয়ারের সর্বোচ্চ দর ছিল ১ হাজার ২৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন দর ছিল ৭৭০ টাকা। এর আগে ২০২৩ সালে বাটা লভ্যাংশ দিয়েছে ৪৩৫ শতাংশ; ২০২২ সালে ৩৬৫ শতাংশ; ২০২১ সালে ৭৫ শতাংশ ও ২০২০ সালে ২৫ শতাংশ।