কানের প্রতিযোগিতা বিভাগে বাংলাদেশি সিনেমা
Published: 25th, April 2025 GMT
৭৮তম কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা বিভাগে জায়গা পেয়েছে বাংলাদেশি সিনেমা ‘আলী’। এটি নির্মাণ করেছেন আদনান আল রাজীব। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে চলতি বছরের উৎসবে স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে মনোনীত সিনেমার তালিকা প্রকাশ করে কান কর্তৃপক্ষ। এ বিভাগে ‘আলী’ ছাড়াও বিভিন্ন দেশের আরো ৯টি সিনেমা জায়গা পেয়েছে।
আদনান আল রাজীব পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ্য ‘আলী’ সিনেমা প্রযোজনা করেছেন বাংলাদেশের তানভীর হোসেন ও ফিলিপাইনের ক্রিস্টিন ডি লিওন। ১৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের এ সিনেমার লাইন প্রোডাকশন কোম্পানি ‘রানআউট ফিল্মস’।
২০২৪ সালের নভেম্বরে সিলেটে ‘আলী’ সিনেমার দৃশ্যধারণের কাজ হয়েছে। আপাতত বেশি তথ্য না দিয়ে সিনেমাটির গল্প নিয়ে সামান্য ধারণা দিয়েছেন নির্মাতা। আদনান আল রাজীব বলেন, “ব্যক্তিজীবনের ভেতর দিয়ে আমরা একটা অনিবার্য সত্যকে আবিষ্কার করার চেষ্টা করেছি। সহজ-সরল-সুন্দর ঢঙেই কাজটি করার চেষ্টা ছিল আমাদের।”
আরো পড়ুন:
সেই ময়ূখকে ‘গাধা’ বললেন অভিনেতা ঋত্বিক
ফেরার ইঙ্গিত দিলেন শুভ
‘আলী’ সিনেমার মূল প্রোডাকশন কোম্পানি ‘ক্যাটালগ’। এটি মূলত আদনান আল রাজীব, তানভীর হোসেন, ক্রিস্টিন ডি লিওন ও আরভিন বেলারমিনোর নির্মাণপ্রতিষ্ঠান। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চলচ্চিত্র নির্মাণে সংযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল ক্যাটালগ।
এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে আদনানের পরিচালনায় ‘আলী’ এবং ফিলিপাইন থেকে আরভিন ও কাইলার যৌথ পরিচালনায় ‘আগাপিতো’ নির্মিত হয়েছিল। যার সহপ্রযোজক হিসেবে আছেন আদনান আল রাজীব ও তানভীর হোসেন। দুটি চলচ্চিত্রই জায়গা করে নিয়েছে কানের মূল প্রতিযোগিতায়; লড়বে পাম দ’রের জন্য।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
পাত্রী সহজ সরল ও কম কথা বলে, বিয়ে করতে এসে পাত্র দেখলেন উল্টোচিত্র
ঈদ উৎসব পেরিয়ে এবার আসছে অন্য এক প্রেমের নাটক ‘মেঘের বৃষ্টি’। যে গল্পে ফারহান আহমেদ জোভানকে দেখা যাবে আমেরিকা প্রবাসী এক যুবকের চরিত্রে। অন্যদিকে নাজনীন নীহাকে দেখা যাবে ঢাকা মেডিকেলের শিক্ষার্থী হিসেবে।
গল্পের শুরুতে দেখা যাবে, আমেরিকা থেকে দেশে এসে বিয়ে করার পরিকল্পনা করছে মেঘ। তার মা তাকে প্রতিবারই দেশ থেকে কিছু পাঠালে মেয়েদের ছবি এবং নিজ হাতে তাদের বৃত্তান্ত লিখে পাঠায়। অনিচ্ছাতেও সেখান থেকে মেঘ একটা খাম খোলে। যার নাম ঋতু। তার জীবনবৃত্তান্তে মা লিখেছেন, ‘মেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়ে। খুবই নরম স্বভাবের মেয়ে। সাধারণত বোরকা-হিজাব ছাড়া বাসা থেকে বের হয় না। নামাজি, কম কথা বলে। আমার ধারণা এ মেয়ে তোরে জ্বালাবে না, তোর মুখের ওপর কথা বলবে না। তোর কথায় উঠবস করবে। শুধু একটাই সমস্যা, মেয়ের কোনও ভাই-বোন নাই। তার মানে তুই শালা-শালীর সাথে মজা করার সুযোগ পাবি না। অবশ্য সবকিছু একসাথে পাওয়া যায় না। মেয়ের রেটিং ১০-এর মধ্যে ১০।’
মায়ের বর্না নয়, বরং ঋতুর ছবি এক দেখাতেই পছন্দ হয় মেঘের। সে সিদ্ধান্ত নেয় দেশে গিয়ে এই মেয়েকেই বিয়ে করবে। তার কিছুদিনপরই সে দেশে আসে এবং ঋতুর সাথে দেখা করে। কিন্তু তার মা জীবনবৃত্তান্তে যা বলেছে, ঋতু তার উল্টো!
এখানে মেঘ চরিত্রে জোভান আর ঋতু চরিত্রে নীহা অভিনয় করেছেন। ইমদাদ বাবুর গল্প ও চিত্রনাট্যে সিএমভি’র ব্যানারে নাটকটি বানিয়েছেন মাসরিকুল আলম।
নির্মাতা জানান, এটা দুর্দান্ত একটি প্রেমের গল্প। তবে তাতে রয়েছে বিরহের স্বাদও।
প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, ঈদ উৎসবে টানা ১৪টি বিশেষ নাটক মুক্তি পেয়েছে সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে। সেসব থেকে দারুণ সাড়া মিলছে এখনও। তবে ঈদ উৎসবের আমেজ পেরিয়ে ফের প্রতিষ্ঠানটি শুরু করছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। তারেই শুরুটা হচ্ছে ‘মেঘের বৃষ্টি’ দিয়ে। এটি দ্রুতই মুক্তি পাবে প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে।