বগুড়ার শেরপু‌র উপজেলার করতোয়া নদীর পাশের জঙ্গল থেকে ৩৭ বছর বয়সী এক যুবকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের চন্ডিজান মহাশ্মশান সংলগ্ন নদীর পাশের জঙ্গলে লাশটি পাওয়া যায়।

পুলিশ জানায়, নিহতের শরীর ও মুখ ঝলসানো ছি‌ল। তাদের ধারণা, যুবককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, চন্ডিজান এলাকার মাজেদা খাতুন না‌মে এক নারী জ্বালানি সংগ্রহের জন্য শ্মশানের পাশের জঙ্গলে যান। সেখানে তি‌নি প্রথ‌মে লাশ‌টি দেখতে পান। তার চিৎকা‌রে স্থানীয়রা ঘটনাস্থ‌লে যান। পরে পু‌লিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার ক‌রে ম‌র্গে পাঠায়।

আরো পড়ুন:

শেরপুরে ধানক্ষেত থেকে অটোরিকশাচালকের মরদেহ উদ্ধার

কবরের ওপর পড়ে ছিল গৃহবধূর হাত-পা বাঁধা মরদেহ

শেরপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম ব‌লেন, ‍“জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নাম না জানা যুবকের লাশ উদ্ধার করা হ‌য়ে‌ছে।” ‌

তিনি আরো বলেন, “নিহতের শরীর ও মুখ ঝলসানো ছি‌লে। ধারণা করা হচ্ছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। লাশটি আগুনে পোড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। তদন্ত চলছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে।”

ঢাকা/এনাম/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উদ ধ র

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তের পেট্রোল বোমা হামলায় দগ্ধ নারীর মৃত্যু

চট্টগ্রাম নগরের আতুরার ডিপো এলাকায় পেট্রোল বোমা হামলায় দগ্ধ লায়লা বেগমের (৫০) মৃত্যু হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে রাউজান পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে নিজ বসতঘরে তার মৃত্যু হয়।

ঢাকা থেকে তাকে রাউজান নিয়ে আসার পর ওইদিন সন্ধ্যায় অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়। পরে রাতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানান লায়লা বেগমের স্বামী আব্বাস উদ্দিন।

রোববার (২০ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন আতুরার ডিপো এলাকায় সিএনজি অটোরিকশায় পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের ঘটনায় দুই যাত্রী লায়লা বেগম (৫০) ও তাঁর পুত্রবধূ ঝর্ণা বেগম (৩০) দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে লায়লা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

অটোরিকশার যাত্রীরা কুতুবদিয়া মালেক শাহ’র দরবারে যাচ্ছিলেন। আতুরার ডিপো এলাকায় এলে কয়েকজন লোক অতর্কিত পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ