নোয়াখালীতে পানিতে ডুবে প্রাণ গেল শিশুর
Published: 25th, April 2025 GMT
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নে পুকুরের পানিতে ডুবে দুই শিশু মারা গেছে। তারা হচ্ছে- পাখি আক্তার (৭) ও আলিশা আক্তার (৭)। আজ শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার চরক্লার্ক ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে দক্ষিণ চরক্লার্ক গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুদের মধ্যে পাখি আক্তার দক্ষিণ চরক্লার্ক গ্রামের দিনমজুর মনু মিয়ার মেয়ে এবং আলিশা খাতুন একই গ্রামের সাইফুর রহমান মাসুদের মেয়ে। তারা দুজনই ফকির মার্কেট নূরানী মাদ্রাসার নুরানি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল।
স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবুল বাসার জানান, দুপুরে শিশু দুইটা বাড়ির আঙ্গিনায় খেলার সময় তাদের মায়ের অগোচরে বাড়ির পুকুরে নামে। সাঁতার না জানায় পানিতে ডুবে যায়। অভিভাবকরা দীর্ঘ সময় ঘরে না ফেরায় খোঁজাখুঁজি করে তাদের না পেয়ে অবশেষে বাড়ির পুকুরে তল্লাশি করলে একজনের লাশ ভাসতে দেখে পরে অপর শিশুকে ডুবন্ত অবস্থায় পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় চরজব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শাহীন মিয়া বলেন, শিশু দুইটির পানিতে পড়ে মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। তদন্ত শেষে তাদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চরক ল র ক
এছাড়াও পড়ুন:
টাঙ্গাইলে জামাই মেলায় দর্শনার্থীদের ঢল
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুরে শুরু হয়েছে দেড়েশ বছরের ঐতিহ্যবাহী জামাই মেলা। রসুলপুর বাছিরননেছা উচ্চবিদ্যালয় মাঠে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) শুরু হওয়া এ মেলা চলবে রবিবার (২৭ এপ্রিল) পর্যন্ত। মেলাকে কেন্দ্র করে আজ স্কুল মাঠে মানুষের ঢল নেমেছিল।
এলাকাবাসী ও মেলার আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, প্রতিবছর ১১, ১২ ও ১৩ বৈশাখ (সনাতন পঞ্জিকা অনুসারে) রসুলপুরে জামাই মেলার আয়োজন করা হয়। মেলাকে কেন্দ্র করে আশপাশের অন্তত ৩০ গ্রামের বিবাহিত মেয়েরা তাদের স্বামীকে নিয়ে বাবার বাড়ি আসেন। মেলা উপলক্ষে জামাইকে বরণ করে নিতে শ্বশুর-শাশুড়িরাও আগে থেকেই নেন নানা প্রস্তুতি।
ঐতিহ্য অনুযায়ী মেলার সময় শাশুড়িরা মেয়ের জামাইয়ের হাতে টাকা দেন। সেই টাকার সঙ্গে জামাইরা তাদের টাকা দিয়ে মেলা থেকে শ্বশুরবাড়ির সবার জন্য বাজার করেন। মেলাটি সবাই খুব উপভোগ করেন।
আরো পড়ুন:
মহেশপুরে চড়ক পূজায় পুণ্যার্থীদের ঢল
খানজাহান আলীর মাজারে মেলা শুরু, ভক্তদের ঢল
এদিকে, মেলায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছেন দোকানিরা। মেলায় বিভিন্ন ধরনের খেলনা, প্রসাধনী, খাবার ও মিষ্টির দোকান বসেছে। বৈশাখের ভ্যাপসা গরমের মধ্যেও শুক্রবার মেলায় এসেছিলেন হাজারো মানুষ।
মিলন মাহমুদ নামে এক দর্শনার্থী বলেন, “মেলাটি জামাই মেলা নামে পরিচিত। মেলাটিকে কেন্দ্র করে এই এলাকার জামাইরা একত্রিত হয়। এমন মেলায় আসতে পেরে আমি আনন্দিত।”
রসুলপুরের বাসিন্দা ও লেখক রাশেদ রহমান বলেন, “প্রায় দেড়শ বছর ধরে এই মেলার আয়োজ করা হচ্ছে। এলাকার মানুষের কাছে ঈদ বা পূজার মতোই এই মেলা একটি উৎসব। মেলাটি বৈশাখী মেলা হিসেবে শুরু হলেও এখন এটি জামাই মেলা হিসেবে পরিচিত।”
মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব আনিসুর রহমান বলেন, “মেলা সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছেন দোকানিরা। তারা খাবার, মিষ্টিসহ বিভিন্ন ধরনের খেলনা, প্রসাধনীর দোকান দিয়েছেন। মেলায় একাধিক ফার্নিচারের দোকানও বসেছে। রসুলপুরের এই মেলাটি বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম। আগামী রবিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ মেলা শেষ হবে। তিনদিনে মেলায় দুই কোটি টাকার ওপরে বাণিজ্য হবে।”
ঢাকা/কাওছার/মাসুদ