দেশের সিনেমা–সিনেমা সংশ্লিষ্টদের জন্য এ এক ইতিহাস, গৌরবের ঘটনা। বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৮তম আসরে আনুষ্ঠানিকভাবে জড়িয়ে গেল বাংলাদেশের নাম। উৎসবের স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা বিভাগে লড়তে যাচ্ছে দেশের সিনেমা ’আলী’। কানের অফিসিয়াল সিলেকশনের স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা বিভাগে দেশের কোনো সিনেমার তালিকাবদ্ধ হওয়া এটাই প্রথম। পৃথিবীর বিভিন্ন সিনেমার সঙ্গে ‘আলী’ লড়বে পাম দি’অর বা স্বর্ণপামের জন্য। 

স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন আদনান আল রাজীব। এর প্রযোজনায় আছেন দেশের তানভীর হোসেন এবং ফিলিপাইনের ক্রিস্টিন ডি লিওন। সিনেমাটির লাইন প্রোডাকশন কোম্পানি ’রানআউট ফিল্মস’।

এমন একটি ঘটনা দেশের চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের তো আনন্দিত করবেই, তরুণদের অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করবে বলে মনে করেন প্রযোজক তানভীর হোসেন। তিনি বলেন, ’স্বল্পৈদর্ঘ্য চলচ্চিত্রকে তো আমরা খুব একটা গুরুত্ব দেই না। কিন্তু এই ধরনের কাজের মধ্য দিয়েই একজন তরুণ–নবীন বড়–অভিজ্ঞ হয়ে ওঠে। আমাদের সিনেমা কানের মূল প্রতিযোগিতায় জায়গা করে নেয়াটা একটা ইন্সপায়ারিং ঘটনা বলেই মনে করি। এই জায়গা করে নেয়ার মাধ্যমে আমরা বলতে চাই, আমরাও বিশ্ব মানের কাজ করি।’

নিয়মের কারণে ’আলী’ সিনেমাটি নিয়ে বেশি কিছু বলতে পারলেন না নির্মাতা আদনান আল রাজীব। জানালেন ২০২৪ এর নভেম্বরে সিলেটে হয়েছে এর দৃশ্যধারণ। গল্পের সামান্য ধারণা দিয়ে আদনান বলেন, ব্যক্তিজীবনের ভেতর দিয়ে আমরা একটা অনিবার্য সত্যকে আবিষ্কার করার চেষ্টা করেছি। সহজ–সরল–সুন্দর ঢংয়েই কাজটি করার চেষ্টা ছিল আমাদের।’

স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার নির্বাহী প্রযোজক হাবিবুর রহমান তারেক। জানান, গল্প নিয়ে তিনি একরকম নিশ্চতই ছিলেন যে বাইরের দর্শকরা এটা পছন্দ করবেন। তিনি বলেন, ’পরিচালক ও প্রযোজককে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তারা কী ধরনের কাজ করেন, সেটাও আমার জানা। তাই কাজটি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম শুরু থেকেই। বরং আমি বিশেষ নজর রেখেছিলাম এর মান নিয়ে। আমি দৃঢ়ভাবে বলতে চাই, আমরা আন্তর্জাতিক মানের কাজ করার স্বক্ষমতা অর্জন করে ফেলেছি। নির্মাণে আমরা এখন খুবই আত্মবিশ্বাসী।’

নির্মাতা আদনান ও প্রযোজক তানভীরের এবারের কান যাত্রা এখানেই শেষ নয়।.

’আলী’ সিনেমাটির মূল প্রোডাকশন কোম্পানি ’ক্যাটালগ’। 'ক্যাটালগ' মূলত আদনান আল রাজীব, তানভীর হোসেন, ক্রিস্টিন ডি লিওন ও আরভিন বেলারমিনো- এর নির্মাণ প্রতিষ্ঠান। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার চলচ্চিত্র নির্মাণে সংযোগ স্থাপনের উদ্দেশ্যে তৈরি হয়েছিল ক্যাটালগ। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ থেকে আদনানের পরিচালনায় 'আলী' এবং ফিলিপাইন থেকে আরভিন ও কাইলার যৌথ পরিচালনায় 'আগাপিতো' নির্মিত হয়েছিল। যার সহ–প্রযোজক হিসেবে আছেন আদনান আল রাজীব এবং তানভীর হোসেন। দুটি চলচ্চিত্রই জায়গা করে নিয়েছে কানের মূল প্রতিযোগিতায়। লড়বে পাম দি’অরের জন্য। 

একই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রযোজিত দুটি ছবির এই অর্জন বিরল। সব মিলিয়ে, কানের ৭৮তম আসরের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে বাংলাদেশের শর্টফিল্ম “আলী” এবং ফিলিপাইনের শর্টফিল্ম “আগাপিতো”  নিয়ে জমজমাট বাংলাদেশের অংশগ্রহণ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক ন চলচ চ ত র উৎসব চলচ চ ত র র জন য স বল প

এছাড়াও পড়ুন:

পাত্রী সহজ সরল ও কম কথা বলে, বিয়ে করতে এসে পাত্র দেখলেন উল্টোচিত্র

ঈদ উৎসব পেরিয়ে এবার আসছে অন্য এক প্রেমের নাটক ‘মেঘের বৃষ্টি’। যে গল্পে ফারহান আহমেদ জোভানকে দেখা যাবে আমেরিকা প্রবাসী এক যুবকের চরিত্রে। অন্যদিকে নাজনীন নীহাকে দেখা যাবে ঢাকা মেডিকেলের শিক্ষার্থী হিসেবে।

গল্পের শুরুতে দেখা যাবে, আমেরিকা থেকে দেশে এসে বিয়ে করার পরিকল্পনা করছে মেঘ। তার মা তাকে প্রতিবারই দেশ থেকে কিছু পাঠালে মেয়েদের ছবি এবং নিজ হাতে তাদের বৃত্তান্ত লিখে পাঠায়। অনিচ্ছাতেও সেখান থেকে মেঘ একটা খাম খোলে। যার নাম ঋতু। তার জীবনবৃত্তান্তে মা লিখেছেন, ‘মেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়ে। খুবই নরম স্বভাবের মেয়ে। সাধারণত বোরকা-হিজাব ছাড়া বাসা থেকে বের হয় না। নামাজি, কম কথা বলে। আমার ধারণা এ মেয়ে তোরে জ্বালাবে না, তোর মুখের ওপর কথা বলবে না। তোর কথায় উঠবস করবে। শুধু একটাই সমস্যা, মেয়ের কোনও ভাই-বোন নাই। তার মানে তুই শালা-শালীর সাথে মজা করার সুযোগ পাবি না। অবশ্য সবকিছু একসাথে পাওয়া যায় না। মেয়ের রেটিং ১০-এর মধ্যে ১০।’

মায়ের বর্না নয়, বরং ঋতুর ছবি এক দেখাতেই পছন্দ হয় মেঘের। সে সিদ্ধান্ত নেয় দেশে গিয়ে এই মেয়েকেই বিয়ে করবে। তার কিছুদিনপরই সে দেশে আসে এবং ঋতুর সাথে দেখা করে। কিন্তু তার মা জীবনবৃত্তান্তে যা বলেছে, ঋতু তার উল্টো!

এখানে মেঘ চরিত্রে জোভান আর ঋতু চরিত্রে নীহা অভিনয় করেছেন। ইমদাদ বাবুর গল্প ও চিত্রনাট্যে সিএমভি’র ব্যানারে নাটকটি বানিয়েছেন মাসরিকুল আলম।

নির্মাতা জানান, এটা দুর্দান্ত একটি প্রেমের গল্প। তবে তাতে রয়েছে বিরহের স্বাদও।

প্রযোজক এসকে সাহেদ আলী পাপ্পু জানান, ঈদ উৎসবে টানা ১৪টি বিশেষ নাটক মুক্তি পেয়েছে সিএমভির ইউটিউব চ্যানেলে। সেসব থেকে দারুণ সাড়া মিলছে এখনও। তবে ঈদ উৎসবের আমেজ পেরিয়ে ফের প্রতিষ্ঠানটি শুরু করছে স্বাভাবিক কার্যক্রম। তারেই শুরুটা হচ্ছে ‘মেঘের বৃষ্টি’ দিয়ে। এটি দ্রুতই মুক্তি পাবে প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেলে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কানের প্রতিযোগিতা বিভাগে বাংলাদেশি সিনেমা
  • কান উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগের বাংলাদেশের সিনেমা
  • চিত্রা নদীর পাড়ে রংতুলির উৎসবে ছবি আঁকল শিশুরা, দিনভর প্রদর্শনী
  • কত কিছু মনে আসে সাকুরা!
  • মস্কোতে ঢাকার ‘মাস্তুল’ সিনেমার ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার
  • মস্কোতে বাংলাদেশের ‘মাস্তুল’–এর বিশ্ব প্রিমিয়ার
  • নির্বাচনের আগে প্রেসিডেনশিয়াল ডিবেট হওয়া দরকার: ইশরাক
  • সহজ-সরল পাত্রী, বিয়ে করতে এসে পাত্র দেখলেন উল্টো চিত্র
  • পাত্রী সহজ সরল ও কম কথা বলে, বিয়ে করতে এসে পাত্র দেখলেন উল্টোচিত্র