পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় পদ্মায় জেগে ওঠা চর দখলকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে ৫ জন গুলিবিদ্ধ ও ১০ জন আহত হয়েছেন। 

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের লুক্ষীকুন্ডা ডিগ্রির চরে এ ঘটনা ঘটে।

গুলিবিদ্ধরা হলেন- পিল্লু (২৫), ছুবাইল (২৪), আসিফ (২০) আলম (২৭) বাদশা (২১)। এছাড়া আহত হয়েছেন ১০ জন। তারা সবাই পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রিকাত আলী শেখ ও তার ছেলে, ভাই ভাতিজা এবং এলাকায় এলাকাবাসী নিয়ে সরকার থেকে লিজ নেওয়া সম্পত্তি দেখতে গেলে মকুল মেম্বার, তরিকুল মেম্বার ও শফি মিরের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে এই হামলা চালান।

এ সময় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হলে স্থানীয় রা তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

রিকাত আলী শেখ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগ নেতা মকুল মেম্বার, তরিকুল মেম্বার, সরকার পট পরিবর্তনের পর থেকে এলাকা থেকে পালিয়ে গিয়ে  গা ঢাকা দিয়ে আসছে এবং সন্ত্রাসী কার্যকলাপ পরিচালনা করছে। এই ঘটনার জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তারা।

ঈশ্বরদী সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার সরকার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আহত স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তের পেট্রোল বোমা হামলায় দগ্ধ নারীর মৃত্যু

চট্টগ্রাম নগরের আতুরার ডিপো এলাকায় পেট্রোল বোমা হামলায় দগ্ধ লায়লা বেগমের (৫০) মৃত্যু হয়েছে।  

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১২টার দিকে রাউজান পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে নিজ বসতঘরে তার মৃত্যু হয়।

ঢাকা থেকে তাকে রাউজান নিয়ে আসার পর ওইদিন সন্ধ্যায় অক্সিজেন দিয়ে রাখা হয়। পরে রাতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানান লায়লা বেগমের স্বামী আব্বাস উদ্দিন।

রোববার (২০ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন আতুরার ডিপো এলাকায় সিএনজি অটোরিকশায় পেট্রোলবোমা নিক্ষেপের ঘটনায় দুই যাত্রী লায়লা বেগম (৫০) ও তাঁর পুত্রবধূ ঝর্ণা বেগম (৩০) দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে লায়লা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

অটোরিকশার যাত্রীরা কুতুবদিয়া মালেক শাহ’র দরবারে যাচ্ছিলেন। আতুরার ডিপো এলাকায় এলে কয়েকজন লোক অতর্কিত পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ