চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের নিমতলা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের ২ গ্রুপের ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় সাত সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত বুধবার রাত থেকে আজ শুক্রবার সকাল পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এ.এন.এম. ওয়াসিম ফিরোজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ জানান, ২২ এপ্রিল রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের নিমতলা এলাকায় পূর্ববিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ২৩ এপ্রিল বিস্ফোরক আইনে সদর থানায় মামলা করা হয়। এরপর অভিযানে নেমে পুলিশ সাত কিশোর ও তরুণকে গ্রেপ্তার করে। তারা সবাই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত।

ওয়াসিম ফিরোজ আরও বলেন, গ্রেপ্তারদের মধ্যে পাঁচজন বিস্ফোরক আইনে হওয়া মামলার এজাহারনামীয় আসামি। বাকি দুজন তাদের সহযোগী এবং ঘটনাস্থলে তারা উপস্থিত ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার রেজাউল করিম সাতজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং বাকি অপরাধীদের ধরতে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প ইনব বগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

পত্রিকা বিক্রেতাকে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই 

প্রায় ২০ বছর ধরে গাইবান্ধা শহরের বিভিন্ন জায়গায় পত্রিকা বিক্রি করতেন আনিস মিয়া ঠান্ডা। সংসারের অতিরিক্ত ব্যয় মেটানোর জন্য সকালে পত্রিকা বিক্রির পর বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালাতেন। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সকালে তার রক্তাক্ত মরদেহ সড়কের পাশ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

স্বজনদের দাবি, আনিস মিয়াকে হত্যা করে তার ইজিবাইক নিয়ে পালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। 

আনিস গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের কিশামত ফলিয়া গ্রামের মৃত হামিদ মিয়ার ছেলে।

নিহতের প্রতিবেশী সুজন মাস্টার প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানান, বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে বাড়ি থেকে ইজিবাইক নিয়ে বের হন আনিস। রাত দেড়টার দিকে শহরের ২ নম্বর রেলগেট এলাকা থেকে কয়েকজন সন্ত্রাসী যাত্রী সেজে আনিসের ইজিবাইকে ওঠেন। তারা আনিসকে গাইবান্ধা স্টেডিয়ামের দিকে যেতে বলেন। সেখানে যাওয়ার পর ওই ব্যক্তিরা আনিসের কাছে ইজিবাইকের চাবি চান। চাবি না দেওয়ায়, আনিসের সঙ্গে তাদের প্রথমে ধ্বস্তাধস্তি হয়। পরে তারা ছুরি দিয়ে আনিসের পেটে আঘাত করেন। আনিসকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে তারা ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যান। 

শুক্রবার ভোরে এক পথচারী আনিসকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তাকে চিনতে পারেন এবং বাড়িতে খবর দেন। পরে তাকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নেন তিনি। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে  চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য আনিসকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৯টার দিকে আনিস মারা যান। 

নিহতের চাচাতো ভাই রুহিল মিয়া  জানান, আনিসের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেখেছে রংপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করবে তারা। লাশ দাফনের পর গাইবান্ধায় হত্যা মামলা করবে পরিবার। 

গাইবান্ধা পত্রিকা বিতানের স্বত্তাধিকারী আব্দুর রহমান জানান, আনিস দীর্ঘদিন ধরে গাইবান্ধা শহরে পত্রিকা বিক্রি করতেন। তিনি ভালো মানুষ ছিলেন।  হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

গাইবান্ধা সদর থানার ওসি শাহিনুর ইসলাম তালুকদার বলেন, “স্টেডিয়াম এলাকায় এক যুবক সন্ত্রাসীদের আঘাতে মারা গেছেন বলে খবর পেয়েছি। কোনো অভিযোগ পাইনি।  অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/মাসুম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ