ঢাকার কারওয়ান বাজার–সংলগ্ন রেললাইনের পাশ থেকে পুলিশ গতকাল বৃহস্পতিবার মোহাম্মদ রফিক (২০) নামের এক তরুণের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে।

জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর (৯৯৯) থেকে ফোন পেয়ে পুলিশ রফিকের লাশটি উদ্ধার করে। পুলিশ বলেছে, তাঁকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।

তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী শামীমুর রহমান আজ শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল দুপুরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর (৯৯৯) থেকে ফোন পেয়ে কারওয়ান বাজার রেললাইনের পূর্ব পাশ থেকে রফিকের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আজ সকালে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়। রফিকের সারা শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁর বাড়ি জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থানার অফিস তারাটি এলাকায়।

পুলিশ কর্মকর্তা শামীমুর রহমান আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে কারওয়ান বাজারে একটি রেস্তোরাঁর সামনে তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন সহযোগীরা। পরে তাঁর মরদেহটি কারওয়ান বাজার রেললাইনের পূর্ব পাশে ফেলে দেওয়া হয়। রফিক কারওয়ান বাজার এলাকায় ছিনতাই করতেন। চুরি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে তেজগাঁও থানায় তাঁর বিরুদ্ধে আটটি মামলা রয়েছে। চুরি ও ছিনতাইয়ের টাকার ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জেরে সহযোগীরা তাঁকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ক রওয় ন ব জ র

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের বিরুদ্ধে দেড় বছরের শিশুকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ

সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় ঘুমিয়ে থাকা দেড় বছরের শিশু খাদিজা খাতুনকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা অভিযোগ উঠেছে মার বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের বাটরা গ্রামে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। অভিযুক্ত মাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী।

নিহত খাদিজা খাতুন সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের মেয়ে। 

গ্রেপ্তারকৃতের নাম আসমা খাতুন (২৪)। তিনি কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের স্ত্রী ও বাটরা গ্রামের আব্দুল মাজেদের মেয়ে।

আরো পড়ুন:

পরকীয়ার জের, প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে স্বামীকে হত্যা

নোমানী হত্যার আসামিকে কোপানোর দৃশ্য ভাইরাল, জড়িতরা অধরা

গ্রেপ্তার আসমার বোন রেশমা খাতুন জানান, ২০২১ সালের জুন মাসে তার বোন আসমার সঙ্গে একই উপজেলার কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুই সন্তানের জন্ম হয়। সম্প্রতি আসমা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) আসমাকে চিকিৎসার জন্য শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে আনেন মা আলেয়া খাতুন।

আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসমা তার মেয়ে খাদিজাকে ঘরের বারান্দায় ঘুম পাড়াচ্ছিল। মা আলেয়া মেয়ে আসমাকে ডাক্তারের কাঝে নেওয়ার জন্য ভ্যান আনতে যান। কিছুক্ষণ পর আসমা রান্না ঘর থেকে বটি নিয়ে খাদিজাকে কুপিয়ে হত্যা করে। স্থানীয় জনতা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোজাব্বর হোসেন বলেন, “শিশু সন্তানকে হত্যার পর আসমা সেখানেই বসে ছিল। মানসিক ভারসাম্য হারানোর ফলে এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন তিনি।”

কলারোয়া থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “আসমা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিশু খাদিজার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।”

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ