গজারিয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলি-ককটেল বিস্ফোরণ
Published: 25th, April 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় গুলিবর্ষণ, ককটেল বিস্ফোরণ, বসতঘর ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত দুপক্ষের মধ্যে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে। তবে, এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হোগলাকান্দি গ্রামের আমিরুল ইসলাম মেম্বার গ্রুপের সঙ্গে লালু-সৈকত গ্রুপের বিরোধ ছিল। গত ৬ এপ্রিল আমিরুল মেম্বার গ্রুপের হামলায় আহত হন লালু-সৈকত গ্রুপের দুই জন। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সম্প্রতি জামিন পান আমিরুল মেম্বার গ্রুপের লোকজন। এসব বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে সংঘর্ষে জড়ায় উভয়পক্ষ।
আরো পড়ুন:
ভারত সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করায় কতটা সংকটে পড়বে পাকিস্তান?
ভারতের সঙ্গে সিমলা চুক্তি বাতিল পাকিস্তানের, উত্তেজনা চরমে
স্থানীয় বাসিন্দা মেহেদী হাসান বলেন, ‘‘তিন-থেকে চারটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছি। কিন্তু, এগুলো গুলি না ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ তা বলতে পারব না। আতঙ্কিত গ্রামবাসী যে যার ঘরে অবস্থান করছিলেন।’’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ফাতেমা বেগম নামের এক নারী বলেন, ‘‘এই দুই গ্রুপের জ্বালায় আমরা অতিষ্ঠ। কয়েকদিন পর পর মারামারি, গোলাগুলি করে। গতকাল রাত সাড়ে ৮টা থেকে ১২টা পর্যন্ত একটু পর পর গোলাগুলির শব্দ পেয়েছি।’’
এ বিষয়ে লালু-সৈকত গ্রুপের সৈকত বলেন, ‘‘বিভিন্ন কারণে আমরা এখন বাড়িতে থাকি না। বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে আসব, এমন খবরে আমিরুল মেম্বারের নেতৃত্বে তার লোকজন আমাদের বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। আমাদের লোকজনকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ও ককটেল নিক্ষেপ করে তারা।’’
ইউপি সদস্য আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘‘আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে লালু-সৈকত গ্রুপের লোকজন দুই দফা হামলা চালায় আমাদের ওপর। প্রথমবার ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে আমাদের লোকজনকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এসময় আতঙ্কিত হয়ে সবাই দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরে আবারো হামলা চালায় তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।’’
গজারিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘‘দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পুলিশের উপস্থিতির টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা সটকে পড়ে। কত রাউন্ড গুলি হয়েছে বলতে পারব না, তবে আমরা ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা ও পটকা উদ্ধার করেছি। এই ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। কেউ হতাহত হয়েছে বলে জানা নেই। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।’’
গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
ঢাকা/রতন/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত স কত গ র প র স ঘর ষ আম র ল আম দ র ককট ল
এছাড়াও পড়ুন:
ইস্তাম্বুলে একের পর এক ভূমিকম্প
তুরস্কের রাজধানী ইস্তান্বুলে একের পর এক ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একটি কম্পন ৬ দশমিক ২ মাত্রার। দেশটির ডিজাস্টার অ্যান্ড ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট প্রেসিডেন্সি এই খবর নিশ্চিত করেছে। খবর আনাদুলু এজেন্সির
তুরস্কের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এএফএডি) জানিয়েছে, প্রথম ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় বুধবার ১২টা ১৩ মিনিটে অনুভূত হয় সিলিভরি জেলায়। এটি ছিল ৩ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প। এরপর একই এলাকায় দ্বিতীয় ভূমিকম্পটি অনুভূত হয় ১২টা ৪৯মিনিটে। এটি ছিল ৬ দশমিক ২ মাত্রার। আর তৃতীয়টি ছিল ৪ দশমিক ৪ মাত্রার। এটি ১২টা ৫১মিনিটে অনুভূত হয়েছে ইস্তান্বুলের বুয়ুকসেকমেসে এলাকায়।
এএফএডি আরও জানায়, ইস্তান্বুলের পশ্চিমাঞ্চলে বুয়ুকসেকমেসে এলাকায় পরে আরও তিনটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
শহরের ভবনগুলো এ সময় ঝাঁকুনিতে কেঁপে উঠলে লোকজনকে রাস্তায় নেমে আসতে দেখা যায়। কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলোতে লোকজনকে প্রবেশ না করার অনুরোধ করেছে।
এছাড়া জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ফোন ব্যবহার না করা এবং গাড়ি না চালানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভূমিকম্পের প্রভাব নিরূপণের কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়েরলিকায়া।
ইস্তাম্বুল গভর্নরের কার্যালয় জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ধ্বংসের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আমাদের সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলো খোঁজখবর নিচ্ছে।