ব্যতিক্রমী চ্যাম্পিয়ন বোলোনিয়া এবং ৪৮ বছর ও ৪৮ ম্যাচ
Published: 25th, April 2025 GMT
সিরি ‘আ’ যেখানে আলাদাইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দুই বা এর বেশি দলের পয়েন্ট সমান হলে সবার আগে দেখা হয় গোল পার্থক্য। জার্মান বুন্দেসলিগা ও ফ্রেঞ্চ লিগ আঁতেও আগে দেখা হয় গোল পার্থক্য। স্পেনের লা লিগায় আবার এ ক্ষেত্রে প্রথমেই দেখা হয় মুখোমুখি ম্যাচের ফল। মুখোমুখি ফলের হিসাব প্রথমে দেখা হয় ইতালির সিরি ‘আ’তেও। তবে ইতালিতে মৌসুম শেষে শীর্ষ দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে মুখোমুখি বা হেড টু হেড হিসাব করা হয় না। সেই দুই দলকে খেলতে হয় প্লে-অফ। জয়ী দল হয় চ্যাম্পিয়ন। প্লে-অফ জিতে অবশ্য একবারই সিরি ‘আ’ জিতেছে কোনো দল। ১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে ইন্টার মিলান ও বোলোনিয়ার পয়েন্ট সমান হওয়ার পর প্লে-অফে ২-০ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় বোলোনিয়া। এবার ইন্টার মিলান ও নাপোলি যেভাবে সমান গতিতে এগোচ্ছে, আরেকবার প্লে-অফ দেখার প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারেন।৪৮-৪৮অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড—টেস্ট অভিষেকের ক্রম এটা। ইতিহাসের পঞ্চম দল হিসেবে ১৯৩০ সালে টেস্ট অভিষেক নিউজিল্যান্ডের। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো নিউজিল্যান্ডেরও প্রথম টেস্টে প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। ক্রাইস্টচার্চে ১০ জানুয়ারি শুরু সেই ম্যাচে ৮ উইকেটে হারে নিউজিল্যান্ড। সেই শুরু, এর পরের ৪৭ বছরে টেস্টে নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড মুখোমুখি হওয়া মানেই ছিল হয় ইংল্যান্ডের জয় অথবা ড্র। কিউইরা টেস্টে ইংল্যান্ডকে প্রথম হারায় ১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ওয়েলিংটনের সেই ম্যাচটা ৭২ রানে জেতে নিউজিল্যান্ড। ১৩৭ রানের লক্ষ্য ছুঁতে নেমে রিচার্ড হ্যাডলির তোপে ৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংলিশরা। ২৬ রানে ৬ উইকেট নেন টেস্ট ইতিহাসে ৪০০ উইকেটের মাইলফলকে প্রথম হ্যাডলি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলার ৪৮ বছর পর প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। মজার ব্যাপার ওয়েলিংটনে সেই টেস্ট ছিল নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড টেস্ট দ্বৈরথের ৪৮তম ম্যাচ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
জাপানকে ছাড়িয়ে গেছে ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনীতি
জাপানকে ছাড়িয়ে গেছে ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনীতি। যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যটি বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও ইউএস ব্যুরো অব ইকোনমিক অ্যানালাইসিসের পরিসংখ্যান তুলে ধরে এ তথ্য জানান অঙ্গরাজ্যটির গভর্নর গ্যাভিন নিউসম। খবর বিবিসির
তথ্য অনুসারে, ক্যালিফোর্নিয়ার মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ২০২৪ সালে ৪ দশমিক ১০ ট্রিলিয়ন (লাখ কোটি) ডলার ছুঁয়েছে। যেখানে জাপানের জিডিপির আকার ৪ দশমিক ০১ ট্রিলিয়ন ডলার। অঙ্গরাজ্যটি এখন কেবল সামগ্রিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও জার্মানির চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে।
নিউসম বলেন, ‘ক্যালিফোর্নিয়া কেবল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে না। বরং আমরা গতিপথ ঠিক করছি।’ তবে এই উন্নয়নযাত্রা সামনে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি। নিউসম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির সমালোচনা করেছেন এবং আইনি লড়াইও শুরু করেছেন। তিনি ২০২৮ সালে ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।
যুক্তরাষ্ট্রে শিল্প উৎপাদন ও কৃষিতে ক্যালিফোর্নিয়ার বড় হিস্যা রয়েছে। পাশাপাশি দেশটির দুই বৃহত্তম সমুদ্রবন্দরও সেখানেই অবস্থিত। পাল্টা উচ্চ শুল্ক ৯০ দিন স্থগিত করলেও ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যে সব দেশের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন। মেক্সিকো ও কানাডার ওপর বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। আর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীনের সঙ্গে রীতিমতো বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আসা চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫ শতাংশ পর্যন্ত আমদানি শুল্ক আরোপ করেছেন এবং তার পাল্টায় মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে চীন। পরে হোয়াইট হাউস জানিয়েছিল, আগের শুল্কের সঙ্গে নতুন শুল্ক যুক্ত হলে কিছু চীনা পণ্যে তা ২৪৫ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।
শুল্কযুদ্ধের এ পরিস্থিতিতে নিজের অঙ্গরাজ্যের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে উদ্বেগ জানিয়েছেন নিউসম। তিনি বলেন, আমরা যখন এই সাফল্য উদযাপন করছি, তখন বর্তমান ফেডারেল প্রশাসনের বেপরোয়া শুল্ক নীতির কারণে আমাদের অগ্রগতি হুমকির মুখে রয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনীতি জাতিকে শক্তি যোগায় এবং এটিকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে।