আজ ‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’ এর দুই প্রদর্শনী
Published: 25th, April 2025 GMT
ঢাকার দর্শকদের জন্য নতুন নাটক মঞ্চে এনেছে নাট্যদল ‘তাড়ুয়া’। নাম ‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’। জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আজ বিকেল ৪টা ও সন্ধ্যা ৭টায় নাটকটির দুটি প্রদর্শনীর আয়োজন রাখা হয়েছে। এটি ‘তাড়ুয়ার’ চতুর্থ প্রযোজনা।
এরিখ মারিয়া রেমার্কের উপন্যাস অবলম্বনে ‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’ নাট্যরূপ দিয়েছেন রুনা কাঞ্চন। নির্দেশনা দিয়েছেন বাকার বকুল। নির্দেশক বকুল বলেন, ‘‘পৃথিবীতে ঘটে যাওয়া দুটি বিশ্বযুদ্ধের নির্মম ক্ষতচিহ্ন থাকার পরও পৃথিবীকে যুদ্ধাহত করা হচ্ছে বারবার। ভয়াবহ পারমাণবিক মারণাস্ত্রের চর্চা এবং যুদ্ধমুখী বিশ্বরাজনীতির গতিপথ এখন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে, যা পৃথিবীকে নিশ্চিহ্নের অশনিসংকেত। এমন বাস্তবতায় ‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’ মরণঘাতী যুদ্ধের নৃশংসতাকে উন্মুক্ত করার এক নাট্যপ্রয়াস।’’
নাটকের গল্পে দেখা যাবে, দেশের জন্য শিক্ষার্থীদের জীবন উৎসর্গ করতে উদ্বুদ্ধ করেন শিক্ষক কান্টারেক। জন্মভূমির জন্য জীবন দেওয়ার চেয়ে মহত্তম কিছু নেই– এ চেতনায় উজ্জীবিত হয় শিক্ষার্থীরা। কিন্তু পল বাউমার ভালোবাসে প্রজাপতি, হতে চায় লেখক। কেমোরিখ হতে চায় ফরেস্ট অফিসার। বেন, মুলার ও আলবার্টেরও রয়েছে নিজেকে নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন ভবিষ্যৎ স্বপ্ন।
প্রতিকূল এই যুদ্ধপরিস্থিতিতে সব স্বপ্ন বিসর্জন দেওয়া পাঁচ বন্ধুর শরীরে ও চিন্তায় ঘোরে যুদ্ধের রোমান্টিসিজম। প্রশিক্ষণ শেষে কণ্ঠে দেশাত্মবোধক গান নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে উপস্থিত হয় সবাই। কল্পনায় ভাবা যুদ্ধ বাস্তবে মেলে না। নৃশংস আর হিংস্রতায় ব্যক্তি এখানে মৃত্যুর জন্য তৈরি হওয়া শুধুই এক টুকরো মাংসপিণ্ড। এক সময় সৈনিকদের মধ্যে প্রশ্ন ওঠে, যুদ্ধটা আসলে কেন বাঁধে, কারা বাঁধিয়ে রাখে। প্রতিপক্ষ দেশের কেউ তো তাদের ক্ষতি করেনি, তাহলে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হওয়া এই যুদ্ধ আসলে কাদের স্বার্থে।’
নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন কুমার উদয়, তামিম আহমেদ, রিপন ঘোষ, জুবায়ের মাহমুদ, জীবন, অর্ণব, তারেক, সানি, সাক্ষ্য, কাইয়ুম, অভিজিৎ, ফরহাদ, অর্পিতা, মুন্নিসহ আরও অনেকে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
এল ক্লাসিকোর আগে বার্সার স্কোয়াডে ফিরলেন স্টেগান
কোপা দেল রে’র ফাইনাল সামনে রেখে বড় দারুণ এক খবর পেল বার্সেলোনা। ২১৫ দিন পর ইনজুরি কাটিয়ে স্কোয়াডে ফিরেছেন দলের অধিনায়ক ও প্রধান গোলরক্ষক মার্ক-আন্দ্রে টের স্টেগান। হাঁটুর অস্ত্রোপচার ও দীর্ঘ পুনর্বাসন শেষে অবশেষে তাকে ফিরতে দেখা যাবে এস্তাদিও দে লা কারতুহার রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে।
তবে সুসংবাদের মাঝেও দুঃসংবাদ আছে বার্সার জন্য। চোটের কারণে ফাইনালে দেখা যাবে না দলের মূল স্ট্রাইকার রবার্ট লেভান্ডোভস্কিকে। সেল্টা ভিগোর বিপক্ষে ম্যাচে বাঁ পায়ের উরুতে চোট পেয়েছিলেন তিনি। বার্সা জানিয়েছে, তার সেমিটেনডিনোসাস পেশিতে আঘাত লেগেছে এবং তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে অন্তত দুই থেকে তিন সপ্তাহ।
তবে টের স্টেগানের প্রত্যাবর্তন বার্সার জন্য বিশাল মনোবল বাড়ানোর মতো ব্যাপার। ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে চোট পাওয়ার পর মনে করা হচ্ছিল, পুরো মৌসুমই তাকে মাঠের বাইরে কাটাতে হবে। তাই বিকল্প হিসেবে ভয়চেখ শেজনিকে দলে টেনেছিল বার্সা। কিন্তু প্রত্যাশার অনেক আগেই সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরলেন জার্মান এই গোলরক্ষক।
লেভান্ডোভস্কির অনুপস্থিতিতে আক্রমণভাগে এবার ভরসা হতে যাচ্ছেন ফেরান তরেস, লামিন ইয়ামাল ও রাফিনিয়া। সেমিফাইনালে জয়সূচক গোল করে দারুণ ফর্মে আছেন ফেরান। মাঝমাঠে থাকবেন দানি অলমো, যিনি চোট কাটিয়ে পুরোপুরি ফিট। তবে ইনজুরির কারণে ফাইনাল মিস করছেন আরও কয়েকজন আলেহান্দ্রো বালদে, মার্ক বের্নাল ও মার্ক কাসাদো।