ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের এক বন্দীর মৃত্যু
Published: 25th, April 2025 GMT
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাইফুল ইসলাম ওরফে টুকুন (৪০) নামের একজন কারাবন্দীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর হাজতি নম্বর ৩৩০৯৬/২৪।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার সকালে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দী সাইফুলকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠানো হয়। সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে পৌঁছানোর পর চিকিৎসকেরা পরীক্ষা–নিরীক্ষা করে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো.
আজ যোগাযোগ করা হলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক সুরাইয়া আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে সাইফুল নারায়ণগঞ্জ কারাগারে ছিলেন। সেখানে স্ট্রোক করার পর কয়েক মাস আগে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর কয়েকবার তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আসার পর তিনি কারা হাসপাতালে ছিলেন।
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. ফারুক বলেন, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। তাঁর বাড়ি জামালপুর সদর উপজেলার ডীয়াতলায়। তাঁর বাবার নাম আফছার আলী।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে গৃহবধূকে গলাকেটে হত্যা, স্বামী আটক
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে সুলেখা বেগম (৪৫) নামে গৃবধূকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী রউফ মিয়ার বিরুদ্ধে। তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী। হত্যায় ব্যবহৃত শাবল ও ছুরি জব্দ করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের নারান্দী গ্রামে ঘটনাটি ঘটে বলে জানান আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন।
নিহত সুলেখা বেগম উপজেলার কলাগাছিয়া নয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল মিয়ার মেয়ে। অভিযুক্ত পাশ্ববর্তী নারান্দী গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে রউফ মিয়া।
আরো পড়ুন:
রাউজানে যুবদল কর্মীকে মাথায়-বুকে গুলি করে হত্যা
নরসিংদীতে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
এলাকাবাসী জানান, ২০ বছর আগে নারান্দী গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে রউফ মিয়ার সঙ্গে বিয়ে হয় সুলেখা বেগমের। কয়েক বছর ধরে এই দম্পতির মধ্যে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে কলহ চলছিল।
বুধবার সকালে বাড়িতে সুলেখা বেগম ঘুমিয়ে ছিলেন। এসময় রউফ মিয়া শাবল দিয়ে আঘাত করে সুলেখা বেগমকে অজ্ঞান করেন। পরে ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা করেন তিনি।
আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। অভিযুক্ত স্বামীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”
ঢাকা/অনিক/মাসুদ