Samakal:
2025-04-25@12:10:21 GMT

‘বড় দল’ হতে চাই জিম্বাবুয়ে

Published: 25th, April 2025 GMT

‘বড় দল’ হতে চাই জিম্বাবুয়ে

বাংলাদেশ ক্রিকেটের ছেলেবেলার সেই খেলার সাথিরা! পাঁচ বারের বিশ্বকাপ খেলা সেই কেনিয়া হারিয়ে গেছে। খোঁজ নেয় না কেউ। তারা এখন টি২০ বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের জন্য নাইজেরিয়ার সঙ্গে তুমুল লড়াই করে। ছিল জিম্বাবুয়ে, দেশের রাজনৈতিক আর অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে তারা এখনও ক্রিকেটটা ধরে রেখেছে। তবে ‘বড়’ আর হয়ে ওঠা হয়নি। 

আফগানিস্তান আর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় টেস্ট সিরিজ খেলা হয় তাদের। সেখানেও লাস্ট বেঞ্চের ছাত্র তারা। র‍্যাঙ্কিংয়ে দশে আইরিশরা, এগারো নম্বরে আফগান। তার পরই বারোতে জিম্বাবুয়ে। সে তারাই কিনা সিলেটে হারিয়ে দিল বাংলাদেশকে। তাও আবার সাড়ে তিন দিনে!

যে জিম্বাবুয়ে ছিল বাংলাদেশ দলের ‘প্রিয় প্রতিপক্ষ’, তারাই কিনা এখন হোয়াইট ওয়াশের আতঙ্কে! যদিও সিরিজ জয়ের স্বপ্নের কথাটি জোর গলায় বলেননি জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন। একটি আকুতি উঠে এসেছে তাঁর কণ্ঠে। ‘আমরা টেস্ট জয়ের জন্য ক্ষুধার্ত এবং উপভোগ করছি। আপনি যত বেশি টেস্ট জিতবেন, তত আপনার সামনে সুযোগ আসবে। ক্রিকেটের সেরা ভার্সন টেস্ট। আমরাও বেশি বেশি টেস্ট খেলতে চাই। আমাদের মতো ছোট দলের জন্য এক একটা টেস্ট ম্যাচ প্রমাণের সুযোগ। আমরা সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। টেস্ট জিতলে ওই আত্মবিশ্বাস চলে আসে। মানসিকভাবে জয়ের প্রস্তুতি নিয়ে আমরা চিটাগং যাব।’

গত দশ বছরে জিম্বাবুয়ের টেস্ট
ম্যাচ: ২৫ 
জয়: ৩
হার: ১৮
ড্র: ৪

সাদা জার্সি গায়ে জড়িয়ে বাংলাদেশের মতো বড় দলের (আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ খেলে বিধায় বলা যায়) সঙ্গে নিয়মিত টেস্ট খেলার প্রবল ইচ্ছা এই জিম্বাবুয়ানদের মধ্যে। তবে র‍্যাঙ্কিংয়ে ৯টি দল নিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ হওয়ায় বাংলাদেশ বছরে যতগুলো টেস্ট খেলার সুযোগ পায়, সেটি নেই জিম্বাবুয়ের। তারা শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ার‍ল্যান্ড আর আফগানিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলার সুযোগ পায়। 

মুজারাবানিরা এমনিতে লাল বলে মাত্র একটি ঘরোয়া লিগ খেলার সুযোগ পায়। লোগান কাপ নামের প্রথম শ্রেণির ওই টুর্নামেন্টে খুব বেশি আর্থিক সুবিধা পায় না তারা। এ জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ডের মতো দেশেও লাল বলে খেলতে চলে যায় অনেকে। একটা পরিসংখ্যান বলে সিলেট টেস্ট খেলা জিম্বাবুয়ে দলের সবাই মিলে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা ৮১ ম্যাচের; যেখানে বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিমের একারই রয়েছে ৯৪ টেস্টের অভিজ্ঞতা।

দশ বছরে বাংলাদেশের টেস্ট
ম্যাচ: ৬৩
জয়: ১৫
হার: ৪১
ড্র: ৭

গেলো দশ বছরে জিম্বাবুয়ে মোট টেস্ট খেলেছে ২৫টি; যার মধ্যে জয় মাত্র তিনটিতে। তাও এর মধ্যে আবার মাঝে ২০১৯ এবং ২০২২ সালে কোনো টেস্ট ম্যাচ খেলার সুযোগ মেলেনি তাদের। তুলনায় বাংলাদেশ, গত দশ বছরে তারা টেস্ট খেলেছে মোট ৬৩টি; যার মধ্যে জয় ছিল ১৫টি। কালেভদ্রে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে পায় তারা। 

ভারতের সঙ্গে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছে জিম্বাবুয়ে কুড়ি বছর আগে, বাইশ বছর আগে অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল। তাই অনভ্যস্ততার কারণে সিলেটে রান তাড়া করতে গিয়ে ৩৪ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারানোর নার্ভাসে ভুগতে হয়। আসলে বাংলাদেশের মতো দলকে হারানোটা তাদের কাছে ‘বড় দল’ হয়ে ওঠার প্রেরণা দেয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ বছর

এছাড়াও পড়ুন:

সংস্কার ও নির্বাচনের সমন্বিত রোডম্যাপ ঘোষণা করুন: আ স ম রব

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কার ও জাতীয় নির্বাচন প্রশ্নে একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। সাংবিধানিক সংস্কারসহ জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সনদ প্রণয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকল দল ও সমাজশক্তি তথা শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবী সংগঠনসমূহের সাথে আলোচনা করে ব্যাপকভিত্তিক ঐক্যমত প্রতিষ্ঠা আবশ্যক।

জাতীয় সনদ নির্বাচনের আবশ্যিক শর্ত পূরণ করবে জানিয়ে তিনি বলেন, সংস্কার ও নির্বাচন পারস্পরিক পরিপূরক বিধায় সংস্কার ও নির্বাচনের সমন্বিত রোডম্যাপ ঘোষণা করা আবশ্যক। এই পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে জাতীয় রাজনীতি একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্যে ধাবিত হবে। সংস্কার ও নির্বাচন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। জাতীয় রাজনীতির মৌলিক প্রশ্নে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির অনৈক্য বা বিভেদ পরিস্থিতিকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলবে।

আজ শুক্রবার উত্তরাস্থ বাসভবনে জেএসডির স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভার শুরুতে ক্যাথলিক গুরু ফ্রান্সিস পোপের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

সভায় দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন— দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, স্থায়ী কমিটির সদস্য 
মিসেস তানিয়া বর, অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট কে এম জাবির ও কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ