মঞ্চ প্রস্তুত: খেতাবের জন্য লড়বে ১৫০ বলী
Published: 25th, April 2025 GMT
চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আবদুল জব্বারের বলী খেলার ১১৬তম আসর শুরু হচ্ছে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৪টায়। চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘি ময়দানে মঞ্চ প্রস্তুত হয়েছে। ‘চ্যাম্পিয়ন বলী’ খেতাবের জন্য লড়াই করবে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দেড় শতাধিক বলী।
বলীখেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও আবদুল জব্বার সওদাগরের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল জানিয়েছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪৭ জন বলী প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে নিবন্ধন করেছেন। গত আসরের চার সেমিফাইনালিস্ট বাঘা শরীফ, রাসেল, রাশেদ এবং সৃজন চাকমাও এবারের বলী খেলায় অংশ নেবেন। এছাড়াও রুবেল চাকমা নামের আলোচিত ও একাধিক বলী খেলায় চ্যাম্পিয়ন এক বলী এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন।
লালদিঘি মাঠের মাঝখানে প্রস্তুত করা হয়েছে মঞ্চ। এ মঞ্চেই বলীরা একে অপরের লড়বেন। বলী খেলাকে ঘিরে জমে উঠেছে তিন দিনের বৈশাখী মেলা।
চট্টগ্রাম ছাড়াও রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, নোয়াখালী, কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা বলীরা প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে নাম নিবন্ধন করেছেন। বলীদের থাকা-খাওয়ার সব ব্যবস্থা করেছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
বিকেলে বলী খেলার উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার হাসিব আজিজ। খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ করবেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা.
ঢাকা/রেজাউল/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাতক্ষীরায় ঘুমন্ত শিশুকে কুপিয়ে হত্যা, মা আটক
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ঘুমন্ত শিশুকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই শিশুর মাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বাটরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুটির নাম খাদিজা খাতুন (দেড় বছর)। সে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের মেয়ে। গ্রেপ্তার নারীর নাম আসমা খাতুন (২৪)।
আটক আসমার বোন রেশমা খাতুন জানান, ২০২১ সালের জুন মাসে তাঁর বোন আসমার সঙ্গে একই উপজেলার কুশোডাঙা গ্রামের তৌহিদুজ্জামানের বিয়ে হয়। পরে তাঁর বোনের তানভির হোসেন ও খাদিজা খাতুন নামের দুটি সন্তান হয়। সম্প্রতি আসমা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এ কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার আসমাকে চিকিৎসার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়ি আনা হয়। আজ দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসমা তাঁর শিশুমেয়ে খাদিজাকে ঘরের বারান্দায় রেখে ঘুম পাড়াচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর আসমা রান্নাঘর থেকে ধারালো বঁটি নিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় খাদিজাকে কুপিয়ে হত্যা করেন।
পরে প্রতিবেশীরা আসমাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোজাব্বর হোসেন জানান, শিশুসন্তানকে হত্যার পর আসমা সেখানেই বসে ছিলেন। মানসিক ভারসাম্য হারানোর কারণে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি মনে করেন।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানান, আসমা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। তাঁকে আটক করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য শিশু খাদিজার লাশ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।