৮০০ কর্মী-স্বেচ্ছাসেবী নিয়ে ধানমন্ডিতে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান ডিএসসিসির
Published: 25th, April 2025 GMT
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) ধানমন্ডি আবাসিক এলাকায় শুক্রবার মশক নিধন ও বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছে। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী এ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মো. শাহজাহান মিয়ার উপস্থিতিতে বর্জ্য ব্যবস্থানা বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও ধানমন্ডি সোসাইটি এ অভিযানে অংশ নেয়।
সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হওয়া এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৪৫০ জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী, স্বাস্থ্য বিভাগের ৫০ জন মশক কর্মী, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক, বিডি ক্লিনের ৫০ জন এবং ধানমন্ডি সোসাইটির ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক অংশগ্রহণ করেন। ধানমন্ডি আবাসিক এলাকাকে সাতটি অঞ্চলে ভাগ করে মূল রাস্তা, লেক, পার্ক, মসজিদ, ঈদগাহ সংলগ্ন এলাকা পরিষ্কার ও মশার ওষুধ ছিটিয়ে নেওয়া হয়।
অভিযানে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, ঢাকাকে সুন্দর ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক সোসাইটিগুলো চেষ্টা করে যাচ্ছে। রাজউক, গণপূর্ত, বিআরটিএ, পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার অংশগ্রহণে সরকার একটি সুপরিকল্পিত ও সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করছে। এছাড়া পয়ঃনিষ্কাশনের জন্যেও মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন হচ্ছে।
দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক শাহজাহান মিয়া বলেন, বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি অঞ্চলে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশক নিধন অভিযান পরিচালনা করা হবে। ধানমন্ডি থেকে এ অভিযান শুরু হয়েছে।
অভিযান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অতিথিরা জনসচেতনতামূলক একটি র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। পরিচ্ছন্নতা অভিযানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ধানমন্ডিতে মশা নিধনসহ বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান, অংশ নিলেন ৭০০ ব্যক্তি
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় মশক নিধনসহ বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হয়েছে। একযোগে চালানো এই অভিযানে ৭০০ ব্যক্তি সক্রিয়ভাবে অংশ নেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) উদ্যোগ আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটা থেকে অভিযান শুরু হয়। চলে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।
ডিএসসিসির জনসংযোগ বিভাগ থেকে জানানো হয়, অভিযানে সংস্থাটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৪৫০ জন কর্মী ও স্বাস্থ্য বিভাগের ৫০ জন মশক কর্মী অংশ নেন। এ ছাড়া বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ১০০ জন, বিডি ক্লিনের ৫০ জন ও ধানমন্ডি সোসাইটির ৫০ জন স্বেচ্ছাসেবক এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।
অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে ধানমন্ডি আবাসিক এলাকাকে সাতটি জোনে ভাগ করা হয় বলে জানায় ডিএসসিসির জনসংযোগ বিভাগ। তারা বলে, এভাবে মূল রাস্তা, লেক, পার্ক, মসজিদ, ঈদগাহসংলগ্ন এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও মশকনিধন ওষুধ প্রয়োগ করা হয়।
অভিযান চলাকালে অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী বলেন, ঢাকাকে সুন্দর ও বাসযোগ্য নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য ডিএসসিসিসহ বিভিন্ন এলাকাভিত্তিক সোসাইটিগুলো আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে রাজউক, গণপূর্ত, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), ঢাকা মহানগর পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার অংশগ্রহণে সরকার একটি সুপরিকল্পিত-সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান (মহাপরিকল্পনা) প্রণয়ন করছে। এ ছাড়া পয়োনিষ্কাশনের জন্য মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন হচ্ছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডিএসসিসির প্রশাসক শাহজাহান মিয়া বলেন, বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি অঞ্চলে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা ও মশকনিধন অভিযান পরিচালনা করা হবে। ধানমন্ডি থেকে এই অভিযান শুরু হয়েছে।
ডিএসসিসির প্রশাসক আরও বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এ পর্যন্ত ঢাকা শহরকে নিয়ে ৩টি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে। ১৯১৭ সালে স্যার প্যাট্রিক গেডেস যে মাস্টারপ্ল্যান করেছিলেন, সেখানে বলা হয়েছিল, ঢাকা হবে একটি বাগানের শহর। কিন্তু দুঃখের বিষয় বেসরকারি হাউজিং শুরু হওয়ার পরে ঢাকা থেকে সবুজ ও জলাশয় হারিয়ে যেতে থাকল। তাঁরা ঢাকার সবুজ ফিরিয়ে আনতে এ বছর বর্ষার শুরুতেই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।
অভিযান কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অতিথিরা জনসচেতনতামূলক একটি র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন। অভিযান চলাকালে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান, সংস্থাটির সব বিভাগীয় প্রধান ও ধানমন্ডি সোসাইটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।