Prothomalo:
2025-04-25@10:57:10 GMT

নতুন প্রতিভার খোঁজে

Published: 25th, April 2025 GMT


রাজধানীর তেজগাঁওয়ে দীপ্ত টিভির কার্যালয়ে পৌঁছাতে পৌঁছাতে দুপুর গড়াল। প্রবেশদ্বার থেকে অনুষ্ঠান–সংশ্লিষ্ট একজন নিয়ে গেলেন স্টুডিওতে। চলছে দৃশ্যধারণ। বিচারকের আসনে তখন ছিলেন প্রতিযোগিতার তিন বিচারক অভিনয়শিল্পী, নির্দেশক তারিক আনাম খান, পরিচালক শিহাব শাহীন ও অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। অতিথি বিচারক নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী। একটি পরিবেশনা শেষ হলে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছিলেন তাঁরা। এরই মাঝেই শুরু হয় মধ্যাহ্নভোজের বিরতি; সুযোগ মেলে বিচারকদের সঙ্গে কথা বলার।

কয়েক বছর ধরে ঢাকার রিয়েলিটি শো কিছুটা জৌলুশ হারিয়েছে। দীপ্তর এ আয়োজন আশার আলো দেখাচ্ছে বলে মনে করছেন বিচারকেরা। বর্তমান সময়ের অন্যতম ব্যস্ত নির্মাতা শিহাব শাহীন। চলতি ঈদে মুক্তি পেয়েছে তাঁর পরিচালনায় সিনেমা ‘দাগি’ ও ওয়েব সিরিজ ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন ২’। ‘দীপ্ত স্টার হান্ট’–এর সেরা ৪০ প্রতিযোগীকে নিয়ে শুরু হয়েছিল তাঁর বিচারকার্য। এখন তা সেরা দশে পৌঁছেছে। এ তিন মাসের জার্নিকে তিনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এমন প্রতিযোগিতার আরও প্রয়োজন। তাহলে ইন্ডাস্ট্রি যেমন নবাগত অভিনেতাদের পাবে, তাদের দেখে আরও অনেকে উৎসাহ বোধ করবেন। শিহাব শাহীন বলেন, ‘প্রথম দিকে কিছুটা হতাশ ছিলাম, কেমন হচ্ছে, কাদের আনল, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ওরা যেভাবে নিজেদের মধ্যে পরিবর্তনটা এনেছে, যেভাবে এরা খোলস ছেড়ে বেরিয়েছে, এর জন্য দীপ্ত টিভির প্রজেক্টের সঙ্গে যুক্ত সবাই ধন্যবাদ পাবেন। ওদের যেভাবে গ্রুমিং করানো হয়েছে, তা প্রশংসার জায়গা রাখে। এখন তারা অনেক পরিণত, তাদের ভেতর ভালো করার ক্ষুধা দেখতে পাচ্ছি। ওদের মাঝে সম্ভাবনা দেখছি।’
এ ধরনের আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে শিহাব শাহীন বলেন, ‘এটা খুবই দরকার। এটা কোনোভাবে বন্ধ হওয়া উচিত না। নতুন কুঁড়ি কেন বন্ধ হলো? এটা উচিত না। আমি জানি না দেশের টেলিভিশন স্টেশন কারা চালান, তাঁদের মাথায় কী চলে। আমাদের পাশের দেশেই রিয়েলিটি শোর টিআরপি অনেক বেশি। এটা দিয়ে ইন্ডাস্ট্রি যেমন সমৃদ্ধ হচ্ছে, বাণিজ্যও হচ্ছে।’

প্রতিযোগিতার তিন বিচারক তারিক আনাম খান, শিহাব শাহীন ও রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সঙ্গে অতিথি বিচারক চয়নিকা চৌধুরী।.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সোনাইমুড়ীতে চাঁদা চেয়ে চিঠি, না পেয়ে প্রতিষ্ঠানে তালা

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর আমিশাপাড়া বাজারে চাঁদার দাবিতে একটি দোকানে তালা লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। চাঁদা না দেওয়ায় এ কাজ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আবুল বাশার পাটোয়ারী। তিনি জানান, পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। 

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) নোয়াখালী প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ব্যবসায়ী আবুল বাশার পাটোয়ারী।

আবুল বাশার পাটোয়ারী জানান, ‍দীর্ঘদিন ধরে তিনি আমিশাড়া বাজারে ফার্নিচার ও হার্ডওয়ার সামগ্রির ব্যবসা করছেন। রমজান মাস শুরুর চার-পাঁচদিন আগে দোকানের সার্টার খুলে দেখেন ভেতরে একটি চিঠি। খুলে দেখেন, নাম-পরিচয় না দেওয়া এক ব্যক্তি তার কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন। চিঠি পাওয়ার পর তিনি বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীদের বিষয়টি অবহিত করেন।

আরো পড়ুন:

ছিনতাইয়ের ছক এক মাস আগে, রিকশাচালককে নিয়ে হয়েছিল মহড়া

মাদক প্রতিবেদন: ফেনীর সেই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা

গত ১৬ এপ্রিল রাতে নাম না জানা ব্যক্তি তার দোকানে তালা লাগিয়ে দেন। পরদিন সকালে তিনি দোকানে গিয়ে তালা দেখে এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

আবুল বাশার পাটোয়ারী জানান, পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে দেখে, আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. কামাল তার সহযোগীদের নিয়ে দোকানে তালা দিয়েছেন। পরে পুলিশ কামালকে থানায় ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তালা দেওয়ার ঘটনা স্বীকার করেন। তবে, পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি।

তিনি আরো জানান, এরপর থেকে কামাল হোসেন নানাভাবে হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছেন। বর্তমানে তিনি পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

চাঁদা দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে মো. কামাল জানান, তিনি দোকানে তালা দিয়েছেন এটা যেহেতু তারা সিসিটিভির ফুটেজে দেখেছে এ বিষয়ে তিনি কিছু বলবেন না। তবে, আবুল বাশার পাটোয়ারীদের সঙ্গে পারিবরিক বিষয় নিয়ে পূর্বের বিরোধ রয়েছে। তাদের দায়ের করা একটি মামলায় ২০০৯ সালে তিনি কারাগারে ছিলেন। ওই বিরোধের জেরে ক্ষোভ থেকে তিনি দোকানে তালা দিয়েছেন বলেও জানান। 

তিনি আরো জানান, তিনি স্থানীয়ভাবে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। আগামীতে তিনি আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা করছেন। তাকে সামাজিকভাবে হেয় করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।

সোনাইমুড়ী থানার ওসি মো. মোরশেদ আলম বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে দোকানে তালা দেওয়ার ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে আবুল বাশারের পূর্ব বিরোধ ও মামলা রয়েছে। আবুল বাশার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের বর্ণনায় একটি অংশ নিয়ে তার আপত্তি থাকায় সেটি আর মামলা হিসেবে রুজু করা হয়নি। পরে ওই ব্যক্তিকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”

ঢাকা/সুজন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ