জনতা ব্যাংকের অফিসারের (রুরাল ক্রেডিট)/(আরসি) ৩৫১টি শূন্য পদে নিয়োগের লক্ষ্যে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি–সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১ হাজার ৮৪ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২ মে, পরীক্ষা চলবে আগামী ২০ জুন পর্যন্ত। বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধান কার্যালয় (প্রধান ভবনের ৪র্থ তলা), মতিঝিল, ঢাকায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রার্থীকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির শর্ত এবং অনলাইন আবেদনে উল্লেখিত তথ্যের সমর্থনে প্রয়োজনীর কাগজপত্রের মূল কপি দেখাতে হবে এবং এক সেট সত্যায়িত ফটোকপি ক্রমানুসারে সাজিয়ে মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডের সহযোগী সদস্যদের কাছে জমা দিতে হবে।

অন্য প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অনাপত্তিপত্র দেখাতে হবে। রিপোর্টিং টাইম থেকে মৌখিক পরীক্ষা শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রত্যেক প্রার্থীকে মুঠোফোন বন্ধ রাখতে হবে এবং মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্ধারিত সময়ে প্রার্থীদের অবশ্যই রিপোর্ট করতে হবে। বিলম্বে রিপোর্ট করার কোনো কারণ কর্তৃপক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম খ ক পর ক ষ র

এছাড়াও পড়ুন:

পারভেজ হত্যার প্রধান আসামি মেহেরাজ পাঁচ দিনের রিমান্ডে

রাজধানীর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি মেহেরাজ ইসলামের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালত এ আদেশ দেন।

এদিন তাকে আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার পরিদর্শক এ কে এম মাইন উদ্দিন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড নামঞ্জুর ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নাকচ করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে গাইবান্ধা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের দোকানে সিঙ্গারা খাচ্ছিলেন দুই তরুণী। তাদের একজন প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পিয়াসের বান্ধবী। তখন পারভেজ সেখানে বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাসছিলেন। তিনি কেন হাসলেন–এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পিয়াসের বান্ধবী। এরপর পিয়াস, মেহেরাজ ও মাহাথিরের সঙ্গে পারভেজদের বাকবিতণ্ডা ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। পরবর্তী সময়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এরপর ক্যাম্পাস থেকে বের হলে পারভেজকে একদল তরুণ ঘিরে ধরে। এ সময় তার বুকে ছুরিকাঘাত করলে গুরুতর আহত হন পারভেজ। পরে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দুই নেতাসহ আটজনের নাম উল্লেখ ও ২৫ থেকে ৩০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ