ভারতের কলকাতায় বাংলাদেশের সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকায় করা মামলার তদন্ত কার্যত থেমে আছে। মামলার তদন্তের দায়িত্বে থাকা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একাধিক সূত্র বলছে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তাদের ব্যস্ততা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। এর ফলে আনোয়ারুল হত্যা মামলার তদন্ত কিছুটা গতি হারিয়েছে।

এ মামলাটি তদন্তের ক্ষেত্রে এর আগে পাওয়া তথ্যগুলো আরও যাচাই-বাছাই করা দরকার বলে মনে করেন ডিবির একাধিক কর্মকর্তা। তাঁরা বলছেন, বিগত সরকারের সময় এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক কারণে কিছু ক্ষেত্রে হয়তো প্রকৃত ঘটনা পাশ কাটানোর চেষ্টা হয়েছিল। বিশেষ করে আত্মগোপনে থাকা ডিবির তৎকালীন অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এই মামলার তদন্ত নিয়ে বিভিন্ন সময়ে স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুনআনোয়ারুল আজীম হত্যা: আদালতে স্বীকারোক্তি দিলেন আওয়ামী লীগ নেতা কামাল১৪ জুন ২০২৪কলকাতার নিউ টাউনের অভিজাত আবাসিক এলাকা সঞ্জিভা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে ওঠার পর আনোয়ারুল আজীমকে হত্যা করা হয়। ওই ভবনের সেপটিক ট্যাংকে তল্লাশি চালিয়ে দেহের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ