রিয়াল–বার্সার ফাইনালে কেন তাকিয়ে ব্রাজিলও
Published: 25th, April 2025 GMT
গত মাসে দরিভাল জুনিয়র ছাঁটাই হওয়ার পর থেকে কোচহীন ব্রাজিল জাতীয় দল। সম্ভাব্য কোচ কে হবেন, তা নিয়ে অবশ্য বিশেষ কোনো নাটকীয়তা নেই। জোর গুঞ্জন, রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তিই হতে যাচ্ছেন ব্রাজিলের নতুন কোচ।
আনচেলত্তির সঙ্গে নতুন করে ব্রাজিল দলের আলোচনা শুরু করার কথাও জানিয়েছে ইএসপিএন। রিয়ালের সঙ্গে আনচেলত্তির ২০২৬ সাল পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও ব্রাজিলের আশা চলতি মৌসুম শেষেই তিনি রিয়াল ছাড়বেন এবং সেলেসাওদের দায়িত্ব নেবেন।
আনচেলত্তিকে পেতে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (সিবিএফ) কর্তাদের চোখ থাকবে শনিবার কোপা দেল রের ফাইনালের দিকেও। সেই ম্যাচে বার্সেলোনার হারলে রিয়াল থেকে আনচেলত্তির বিদায় যে একরকম নিশ্চিত, সেটা ভালোই জানা আছে তাঁদের।
আরও পড়ুনবরখাস্ত হলে আনচেলত্তি ধন্যবাদই দেবেন রিয়ালকে১৭ এপ্রিল ২০২৫আনচেলত্তি অবশ্য জনসম্মুখে রিয়ালে থেকে যাওয়ার ইচ্ছের কথাই জানিয়েছেন। সম্প্রতি রিয়াল ছাড়া নিয়ে জানতে চাইলে অভিজ্ঞ এই কোচ বলেন, ‘বলার মতো কিছু নেই। মৌসুম শেষে আমরা বিষয়টা নিয়ে কথা বলব।’
বার্সার কাছে শিরোপা হাতছাড়া হলে ছাঁটাই হতে পারেন আনচেলত্তি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সরকার শিগগির স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করবে: প্রেস সচিব
দেশের কারখানাগুলোয় স্বচ্ছন্দে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম গতকাল বৃহস্পতিবার কাতারের দোহায় সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
শফিকুল আলম বলেন, ‘অনেকে বলেছেন, গ্যাসের অভাবে তাঁরা কারখানা স্থাপন করতে পারছেন না। তাই আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব একটি স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করতে চাই, যাতে পর্যাপ্ত গ্যাস (বিদেশ থেকে) আনা যায়।’
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের দোহা সফরকালে কাতার এনার্জির সঙ্গে একটি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানান শফিকুল আলম। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কারখানাগুলোয় গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে শিগগির স্থলভিত্তিক এলএনজি টার্মিনালটি স্থাপন করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টার দোহা সফর সম্পর্কে তাঁর প্রেস সচিব বলেন, এই সফর অত্যন্ত সফল ও ফলপ্রসূ হয়েছে। তিনি বলবেন, এটি সবচেয়ে সফল ও অত্যন্ত আকর্ষণীয় সফরগুলোর একটি।
শফিকুল আলম আশা প্রকাশ করেন, এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশের সুনাম বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে আসবেন।
দেশের অর্থনীতির উত্থান-পতনের কথা তুলে ধরে শফিকুল আলম বলেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ৩২০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ ছিল। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার তা কমিয়ে ৬০ কোটি মার্কিন ডলারে নিয়ে এসেছে।
অবশিষ্ট ঋণ কয়েক মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে বলে উল্লেখ করেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব।