আমি বাণিজ্যিক সিনেমার পণ্য: ঋতুপর্ণা
Published: 25th, April 2025 GMT
ভারতীয় বাংলা সিনেমার প্রশংসিত অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বাংলাদেশি সিনেমায় অভিনয় করেও দর্শকদের নজর কেড়েছেন। বাণিজ্যিক ও শৈল্পিক— উভয় ঘরানার সিনেমায় তার সুদক্ষ অভিনয় তাকে এনে দিয়েছে একাধিক পুরস্কার। ৫৪ বছরের ঋতুপর্ণা এবার জানালেন, বাণিজ্যিক সিনেমার পণ্য তিনি।
মেঘে মেঘে বেলা অনেক গড়িয়েছে, তবু শরীরিভাবে নিজেকে যেমন ফিট রেখেছেন, তেমনি ক্যামেরা-অ্যাকশনেও সরব ঋতুপর্ণা। তার অভিনীত ‘পুরাতন’ সিনেমা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ক্যারিয়ারের প্রসঙ্গ উঠে আসে, তখন এমন মন্তব্য করেন এই অভিনেত্রী।
ফিল্মফেয়ারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, “আমি বাণিজ্যিক সিনেমার পণ্য। নিজের ক্যারিয়ার ভিন্নভাবে সাজিয়েছি। কারণ নিজের ক্যারিয়ার নিজের মতো পরিচালনা করতে ভালোবাসি।”
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, “আমি এমন সিনেমায় কাজ করেছি, যেগুলো অনেক পরিপক্ক, অর্থপূর্ণ এবং সম্পূর্ণ আলাদা। তাই, নিজেকে কখনো কোথাও আবদ্ধ করিনি।”
বিয়ে এবং মা হওয়ার পর চিত্রনায়িকাদের ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যায়, এটা এক প্রকার ট্যাবু। যদিও এখন অতটা প্রভাব নেই। তবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মতো তারকারা এসব দেখে এসেছেন। এ বিষয়ে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, “আমি সবসময় পুরোপুরি সুস্থ, ফিট থেকে ভালো কাজ করার চেষ্টা করেছি। তারপরও কে আমাকে থামাবে? কেউ পারবে না।”
চলতি মাসে মুক্তি পেয়েছে ঋতুপর্ণা অভিনীত-প্রযোজিত সিনেমা ‘পুরাতন’। মা-মেয়ের গল্প নিয়ে এগিয়েছে কাহিনি। সিনেমাটিতে অভিনয় করেছেন বলিউড অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। দীর্ঘদিন পর বাংলা সিনেমায় অভিনয় করলেন তিনি। সিনেমাটির বিশেষ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। এটি পরিচালনা করেছেন সুমন ঘোষ।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দুয়োতে ম্যাচ হেরে কনফাকাফ থেকে বিদায়ের দ্বারপ্রান্তে মেসিরা
লিওনেল মেসিকে উদ্দেশ্য করে ধেয়ে আসছিল দুয়োধ্বনি। যখনই ইন্টার মায়ামির এই আর্জেন্টাইন মহাতারকা বল পাচ্ছিলেন, গ্যালারিতে শোনা যাচ্ছিল “বুঁ......” আওয়াজ।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দিবাগত রাতে ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপসের মাঠ বিসি প্লেসে রেকর্ড সংখ্যক দর্শকরা এমনই এক পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল মেসি নো মায়ামির জন্য। কনকাকাফ চ্যাম্পিয়ন্স কাপ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে ভ্যাঙ্কুভার ২-০ ব্যবধানে পরাজিত করে মেজর লিগের জায়ান্ট মায়ামিকে।
ভ্যাঙ্কুভারের ক্লাব ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ম্যাচে দর্শকসংখ্যা ছিল উল্লেখযোগ্য। স্বাগতিকরা সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২-০ অ্যাগ্রিগেটে এগিয়ে গেল। রোববার লিগ ম্যাচে মিনেসোটার বিপক্ষে খেলার পর ভ্যাঙ্কুভারের বুধবার (৩০ এপ্রিল) মায়ামিতে দ্বিতীয় লেগ খেলতে যাবে।
আরো পড়ুন:
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানালেন মেসি
ইয়ামালকে নিয়ে মেসি: সে এখনই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন
ভ্যাঙ্কুভার আত্মবিশ্বাস নিয়েই দ্বিতীয় লেগে যাচ্ছে। ঘরের মাঠে ৫৩,৮৩৭ জন দর্শকের উপস্থিতিতে বিশ্ব ফুটবলের কিংবদন্তি মেসিকে আতিথ্য দিয়েছিল তারা। ঘরের মাঠে অর্ধেক দর্শকই ছিল ইন্টার মায়ামির গোলাপি জার্সিবা আর্জেন্টিনার নীল-সাদা জার্সি পরিহিত। ম্যাচের আগের দিন হোয়াইটক্যাপসের অনুশীলনে কয়েকজন দর্শক ছিলেন। কিন্তু যখন মেসিরা আসেন, তখন গেটের সামনে ব্যারিকেড বসানো হয়। তবে ঘরের মাঠেই যে অল্প সংখ্যক দর্শক ভ্যাঙ্কুভারকে সমর্থন দিল তারাই যথেষ্ট ছিল মেসিদের চুপ করিয়ে দেওয়ার জন্য।
মায়ামি ম্যাচটি শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। এক সময় তাদের ৭৮ শতাংশ পর্যন্ত বলের দখল ছিল এবং গড় দখল ছিল ৬৯ শতাংশ। ভ্যাঙ্কুভারের কোচ জেসপার সোরেনসেন বললেন, এটা তাদের পরিকল্পনার অংশ ছিল না। তবে ডেনিশ কোচের দল দারুণভাবে রক্ষণ করে ২৪তম মিনিটে ব্রায়ান হোয়াইট গোল করার আগ পর্যন্ত মায়ামির আক্রমণ থামিয়ে রেখেছিল।
ম্যাচ শেষে সোরেনসেন বলেন, “এটা পরিকল্পিত ছিল না। মায়ামি বল পজেশনে খুব ভালো। আমাদেরও বল ধরে খেলার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। আজকের খেলাটা একপেশে ছিল বলা চলে। মায়ামি খেলাটা খুব বেশি নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল। তবে আমরা কিছু ভালো মুহূর্ত পেয়েছি, ভালো কিছু সুযোগ তৈরি করেছি। সার্বিকভাবে আমাদের খেলায় কিছুটা ঘাটতি ছিল। তবে ফলাফল ছিল অসাধারণ।”
এদিকে ম্যাচ হেরে কনকাকাফ থেকে বাদ পড়ার দ্বারপ্রান্তে মায়ামি। দলটির আর্জেন্টাইন কোচ হাভিয়ের মাশচেরানো বলেন, “বেশি কিছু বলার নেই। ওরা আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে। জয়ের যোগ্য ছিল ওরাই।(আমাদের) হারানোর কিছু নেই। আমাদের জিততেই হবে। আমরা জানি, অন্তত দুটি গোল করতে হবে এবং কোন গোল খাওয়া যাবে না। হয়তো এখন চাপটা ভ্যাঙ্কুভারের ওপর, কারণ ওদেরই তো ফলাফল ধরে রাখতে হবে।”
ঢাকা/নাভিদ