প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে: প্রধান উ
Published: 25th, April 2025 GMT
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘‘প্রবাসীদের সহযোগিতার কারণে বাংলাদেশের ভঙ্গুর অর্থনীতি আবার ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হয়েছে।’’
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দোহায় কাতারে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের সময় উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ভঙ্গুর অর্থনীতির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘‘আমরা আজ যে শক্ত হয়ে দাঁড়াতে পেরেছি, তার মূলে আপনারা। আপনারা সহযোগিতা না করলে আমরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারতাম না। আপনারা কখনো আমাদের থেকে বিচ্ছিন্ন ভাববেন না।’’
বিমানবন্দরে প্রবাসীদের জন্য সেবা আরো সহজ করার আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘বিমানবন্দরে প্রবাসীদের ভিআইপি মর্যাদায় সেবা প্রদান করা হবে। প্রবাসীদের দেশে আসা-যাওয়া যেন শান্তিপূর্ণ ও আনন্দদায়ক হয়, আমরা সেই ব্যবস্থা করব।’’
বিমানে পণ্য পরিবহনের ক্ষেত্রে কার্গো ভাড়া কমানোর দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। এর জবাবে ড.
‘‘সাধারণত যাত্রী পরিবহনকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। তবে, এখন আমরা বিমানে পণ্য পরিবহনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি।’’- যোগ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, পাসপোর্টসহ সব ধরনের সেবা অনলাইনভিত্তিক করা হচ্ছে। তিনি প্রবাসীদের পরামর্শ দেওয়ার আহ্বান জানান।
মতবিনিময় সভায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হাসান/রাজীব
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রব স দ র
এছাড়াও পড়ুন:
পারলে নাকের ফুটোর মধ্যে মোবাইল গুঁজে রিল বানায়: স্বস্তিকা
ভারতীয় বাংলা সিনেমার আলোচিত অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। সমকালীন বিষয়ে অকপট কথা বলে থাকেন। ইদানীং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আগত ভ্লগারদের নিয়ে দারুণ বিরক্ত স্বস্তিকা। তাই কোনো সিনেমার প্রিমিয়ারে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নিজের ফেসবুকে দেওয়া দীর্ঘ স্ট্যাটাসে এই ঘোষণা দেন।
স্বস্তিকা পরিষ্কারভাবে লেখেন, “আমি এখন থেকে আর কোনো সিনেমার প্রিমিয়ারে যাব না। নিজের সিনেমারও না, পরের সিনেমারও না। এমনিতেও কম যাই, সে নিজের হোক বা পরের। এর পেছনে অনেক কারণ।”
প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানের ভিড় দেখে সিনেমা দেখতে হলে যান না দর্শকরা। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী লেখেন, “প্রিমিয়ারে ভিড় বা তার পরের দিন কাগজে কভারেজ দেখে বা তৎক্ষণাৎ সামাজিক মাধ্যমে রিলস দেখে, সিনেমাটা দেখব কিনা এটা কোনো দর্শক নির্ধারণ করেন না। করেন সিনেমার টিজার, ট্রেইলার, পোস্টার দেখে বা যদি সিনেমার কলাকুশলী দেখে তাদের সিনেমাটা দেখতে ইচ্ছে করে। আমরা যথেষ্ট প্রচার করি, সেটা মানুষকে জানান দেওয়ার জন্যই যে এই কাজটা আসছে।”
আরো পড়ুন:
পালিয়ে বিয়ের পর জীবন ‘আলুথালু’ হয়েছিল যে অভিনেত্রীর জীবন
‘কাউকে চড় মারলে অসুবিধা নেই, চুমু খেলেই যত দোষ’
কলকাতা শহরে সবাই পাপারাজ্জি হয়ে উঠেছেন। তা স্মরণ করে স্বস্তিকা মুখার্জি লেখেন, “সবার হাতে ফোন। সমস্ত ফুটেজ ওই ফোনে তোলা হচ্ছে। কে আসলে মিডিয়া আর কে ব্লগার, ইনফ্লুয়েন্সার, ভ্লগার বোঝার উপায় নেই। কেনই বা তাদেরকে বাইট দেব বা তাদের ফোনে বন্দি হব জানি না। হঠাৎ করে এই শহরে সবাই পাপারাজ্জি। আর কোনো ডেকরাম নেই, কোনো নির্ধারিত জায়গা নেই, যেখানে মোবাইল হাতে ফটোগ্রাফাররা দাঁড়াবেন, সবাই গায়ের ওপর উঠে পড়ে, পারলে নাকের ফুটোর মধ্যে মোবাইল গুঁজে দিতে পারলেই ব্যাস বেস্ট রিলটা বানিয়ে ফেলবে। সেদিন ট্রেইলার লঞ্চিংয়ে আমার ছবি তুলতে গিয়ে কেউ একজন আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিল।”
প্রিমিয়ার অনুষ্ঠানে যাওয়ার দাওয়াত না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বস্তিকা মুখার্জি লেখেন, “এত ঠেলাঠেলি-ধাক্কাধাক্কি পোষায় না। আমি বাউন্সার নিয়ে ঘুরতে অক্ষম, সক্ষম হতে চাই না। রাস্তা-ঘাটে শুটিং করতে লাগে ঠিকই। কিন্তু তার বাইরে নিজের সিনেমা দেখতে গিয়ে যদি পেছনে বাউন্সার নিয়ে যেতে হয়! কারণ মানুষ গায়ে উঠে পড়বেই তাহলে সেখানে না যাওয়াই ভালো। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত, ব্যক্তিগত ডিসিশন। আমায় আর নেমন্তন্ন করবেন না। মুখের ওপর না বলতে না পারলে হাসি মুখে কাটিয়ে দেব। আমি যে সিনেমায় কাজ করব, জীবন উজাড় করে তার প্রচার করব। প্রিমিয়ারে পৌঁছে এক হাজারটা বাইট আরো আরো কয়েক শো সেলফি আর বাজে ছবি তুলতে পারছি না।”
ঢাকা/শান্ত