মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নে ধলাই নদী থেকে ড্রেজার মেশিনে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলায় অন্তত ১৮টি পরিবারের বসতঘর নদীতে পুরোপুরি ও আংশিক বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া হুমকির মুখে রয়েছে বিস্তীর্ণ কৃষিজমি, রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর। 
সরেজমিনে দেখা যায়, রহিমপুর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের গা ঘেঁষে ধলাই নদী প্রবাহিত। নদী থেকে ইজারাগ্রহীতারা দীর্ঘদিন ধরে বালু তুলে আসছেন। ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলায় ধলাই নদীর তলদেশ গভীর হয়ে উঠেছে। এতে বর্ষা মৌসুমে পানির প্রবল স্রোতে নদীর তীর ধসে পড়তে শুরু করে। গত কয়েক বছরে এভাবে নদীর তীর ধসে ওই গ্রামের আইন উদ্দীন, হাজী দুর্নদ মিয়া, হাবিল মিয়া, শামসুল ইসলাম, মো.

দুর্নদ, আলমাছ মিয়া, আনোয়ার মিয়া ও মাহমুদ মিয়ার বসতঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকের বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক বাড়ির আংশিক অংশ নদীর ওপর শূন্যে ভাসছে। অনেকের বাড়ি নদীতে বিলীনের ঝুঁকিতে রয়েছে। 
নদীভাঙনে বাড়িঘর হারিয়ে গ্রামের কুটি মিয়া, সোনা মিয়া অন্যত্র গিয়ে ঘর তৈরি করে বসবাস করছেন। নদীভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারের কোনো ধরনের সহায়তা পাননি। এছাড়া বালু তোলার প্রতিবাদ করতে গিয়ে অনেকে বালু ব্যবসায়ীদের হুমকি-ধমকি ও মামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। 
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ধর্মপুরের ধলাই নদী থেকে একটি চক্র অব্যাহতভাবে বালু তুলেছে। গত বছর জুলাই অভ্যুত্থানে সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে নতুন একটি চক্র সেখান থেকে বালু তুলতে শুরু করে। স্থানীয়দের অভিযোগের পর উপজেলা প্রশাসন সম্প্রতি ওই স্থান থেকে বালু উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। 
ইউএনও মাখন চন্দ্র সূত্রধর জানান, ধলাই নদীতে  স্রোতে অনেকের বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে সেখান থেকে বালু তোলা বন্ধ করা হয়েছে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নদ

এছাড়াও পড়ুন:

আগুনে পুড়ল জামায়াত নেতার বসতঘর

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় স্থানীয় এক জামায়াত নেতার বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে উপজেলার মাদার্শা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পল্লানারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুড়ে যাওয়া বসতঘরটি ৭ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক মো. পারভেজের।

মো. পারভেজ সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বসতঘরটি টিন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি। রাত ১২টার দিকে পরিবারের সবাই ঘুমাতে যাই। সাড়ে তিনটার দিকে দেখি, বাড়িতে আগুন জ্বলে উঠেছে। প্রতিবেশীদের সহায়তায় প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।’

মো. পারভেজ আরও বলেন, ‘আগুনে আসবাবসহ পুরো ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কীভাবে আগুন লেগেছে, বুঝতে পারছি না। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকেও লাগতে পারে।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য আহমদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। আগুনে বসতঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেব। আগুন লাগার বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকেও অবহিত করা হয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মিয়ানমারের মর্টারশেল ও গুলির শব্দে কাঁপছে টেকনাফ সীমান্ত
  • আগুনে পুড়ল জামায়াত নেতার বসতঘর
  • ঘরে একাই থাকতেন বৃদ্ধা, আগুনে পুড়ে মৃত্যু