‘রাজনীতির আস্তানা, কুয়েটে হবে না’; ‘শিক্ষা-সন্ত্রাস একসঙ্গে চলে না’; ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’; ‘লেগেছে রে, লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’; ‘তোমার আমার বাংলায় স্বৈরাচারের ঠাঁই নাই’; ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ, রাজপথ’; ‘আমার সোনার বাংলায় স্বৈরাচারের ঠাঁই নাই’; 

‘স্বৈরাচারের ঠিকানা এই কুয়েটে হবে না’; ‘হৈ, হৈ, রই রই স্বৈরাচার গেলি কই?’; ‘হৈ হৈ রই রই সন্ত্রাসীরা গেলি কই?’; ‘তুমি কে? আমি কে? বাংলাদেশ বাংলাদেশ’; ‘ইনকিলাব, ইনকিলাব, জিন্দাবাদ, জিন্দাবাদ’ এ ধরনের নানা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছিল খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ক্যাম্পাস। 

উপাচার্য পদত্যাগের পর বিজয় মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। সেই বিজয় মিছিলে এসব স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে কুয়েট ক্যাম্পাস।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে ক্যাম্পাসে স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়ে দুর্বার বাংলা পাদদেশের সামনে দিয়ে প্রশাসনিক ভবন প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেয়। এসময় তাদের হাতে জাতীয় পতাকা ও ফিলিস্তিনের পতাকা শোভা পাচ্ছিল।

বিজয় মিছিলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোহন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো.

রাহাতুল ইসলাম, ইইই বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী ওবায়দুল ইসলাম, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী তৌফিকুল ইসলাম ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী ঝলক।

এসময় তারা আন্দোলনে সফলতার জন্য আহত শিক্ষার্থী, খোলা আকাশের নিচে রাত্রি যাপনকারী শিক্ষার্থী, অনশনে অনাহারে থাকা শিক্ষার্থী, শিক্ষা উপদেষ্টা, ইউজিসির সদস্যসহ বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান।

এদিকে পূর্ব নির্ধারিত এই বিজয় মিছিলকে কেন্দ্র করে বিকাল ৪টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হল থেকে শিক্ষার্থীরা স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সামনে জড়ো হতে থাকে। এরপর আধা ঘণ্টা সেখানে তারা নেচে-গেয়ে উচ্ছ্বাস এবং উল্লাস প্রকাশ করেন।

বিজয় মিছিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নেন।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব জয় ম ছ ল

এছাড়াও পড়ুন:

আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানিতে পেপারবুক থেকে উপস্থাপন চলছে

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিল শুনানিতে পেপারবুক থেকে উপস্থাপন চলছে।

বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি গ্রহণ করেন। শুনানিতে পেপারবুক থেকে আসামি ও সাক্ষীদের জবানবন্দি উপস্থাপনের পর অভিযোগ গঠনের আদেশের অংশবিশেষ উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

এ মামলায় বুধবার রাষ্ট্রপক্ষের পেপারবুক থেকে উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে আসামিদের ডেথরেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসীম সরকার, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল লাবনী আক্তার, সুমাইয়া বিনতে আজিজ ও তানভীর প্রধান শুনানিতে ছিলেন। আসামি পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসীম সরকার প্রথম আলোকে বলেন, পেপারবুক থেকে আসামি ও সাক্ষীদের ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি উপস্থাপন করা হয়। এরপর অভিযোগ গঠনের আদেশের অংশবিশেষ পড়ে শোনানো হয়। আগামী রোববার শুনানি হবে। ওই মামলায় ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত রায় দেন। রায়ে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন, টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত এবং কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব; কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন।

কোনো মামলায় বিচারিক আদালতে রায়ে আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিদের জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল ও বিবিধ আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। সাধারণত ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা এসব আপিল ও আবেদনের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়ে থাকে। সিনহা হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের পর রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছে, যা একই বছর ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।

অন্যদিকে দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ২০২২ সালে আসামিরা পৃথক আপিল ও জেল আপিল করেন। ডেথ রেফারেন্স মামলা শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) প্রস্তুত করতে হয়। পেপারবুক প্রস্তুতসহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে প্রধান বিচারপতি মামলাটি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের ওই দ্বৈত বেঞ্চ নির্ধারণ করেন। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন সিনহা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ