সাবেক এমপি সারওয়ার কবীরের ২ দিন রিমান্ড মঞ্জুর
Published: 24th, April 2025 GMT
গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ সারওয়ার কবীরের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে তাকে গাইবান্ধা সদর আমলী আদালতে হাজির করে প্রথমে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মনিরজ্জামান। পরে আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহাঙ্গীর হোসেন দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গাইবান্ধা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.
আরো পড়ুন:
শিবগঞ্জে ৯৯টি ককটেল ও ৪০টি পেট্রোল বোমা উদ্ধার
গাজীপুরে পৃথক স্থান থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হালিম প্রামাণিক জানান, বিএনপির অফিস ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও ককটেল বিস্ফোরণের মামলায় অনেক আসামি এখনো বাইরে। আসামিদের কে, কোথায় আছে এবং সেদিনের বিস্ফোরিত ককটেলের উৎস কোথায়, এসব বিভিন্ন বিষয়ে জানতে শাহ সারওয়ার কবীরের রিমান্ড মঞ্জুর জরুরি ছিল। আদালত রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী নিরঞ্জন কুমার ঘোষ জানান, রিমান্ডের বিরোধিতা ও সাবেক এমপির জামিন প্রার্থনা করা হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন। তারা এখন উচ্চ আদালতে আবেদন করবেন।
গত ১৫ এপ্রিল রাতে দিনাজপুর জেলা শহরের ঈদগা আবাসিক এলাকায় ভগ্নিপতির বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় শাহ সারওয়ার কবীরকে গ্রেপ্তার করে দিনাজপুর পুলিশ। পর দিন আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
শাহ সারওয়ার কবীর গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
ঢাকা/মাসুম/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাবাকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার রান্ধুনীমুড়া গ্রামে মাদকসেবনের টাকা না পেয়ে বাবা তাজুল ইসলামকে (৬৫) দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার দায়ে ছেলে মো. সুমনকে (৩৪) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে চাঁদপুরের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ সামছুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সুমন উপজেলার রান্ধুনীমুড়া গ্রামের কাজীমুদ্দিন ব্যাপারী বাড়ির তাজুল ইসলামের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুমন মাদকাসক্ত হওয়ায় তাকে চিকিৎসা করানো হয়। এরপরও তিনি মাদক ছাড়তে পারেননি। ২০১৮ সালের ৩ জুন বিকেলে মাদকসেবনের জন্য টাকা চান তিনি। কিন্তু টাকা না পেয়ে বাবা তাজুল ইসলামকে দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় তাজুল ইসলামের মেয়ে হালিমা বেগম পাখি বাদী হয়ে সুমনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর ১১ জুন পুলিশ সুমনকে গ্রেপ্তার করে চাঁদপুর আদালতে সোপর্দ করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন তাৎকালীন হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. খলিলুর রহমান চৌধুরী। তিনি মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৪ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কোহিনুর বেগম বলেন, ‘আসামি অপরাধ স্বীকার করায় এবং মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা শেষে বিচারক এ রায় করেন।’
আসামিপক্ষে ছিলেন স্টেট ডিফেন্ড আইনজীবী শফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া।