সোনাগাজীর চরচান্দিয়া ইউনিয়নে বিএনপি কর্মী আবুল হাশেম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার চার আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে আসামিরা জানান, পূর্বশত্রুতা ও প্রতিশোধের উদ্দেশ্যে ১০ জন মিলে এই কিলিং মিশন পরিচালনা করেন। কিলিং মিশনে তারা বোরখা পরে অংশ নেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুজ জোহরা মুনা ও অপরাজিতা দাশ এই জবানবন্দি গ্রহণ করেন। 

বুধবার রাত ৯টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েজীদ আকন। 

স্বীকারোক্তি দেওয়া আসামিরা হলেন— এজাহারভুক্ত ১ নম্বর আসামি আক্তার হোসেন, ১১ নম্বর আসামি রাকিবুল ইসলাম এবং তদন্তে শনাক্ত বেলায়েত হোসেন মামুন ও সোলেমান।

তদন্ত কর্মকর্তা এসআই হাসান জানান, পূর্ব শত্রুতা, বেলাল হত্যা মামলায় হাশেমের সংশ্লিষ্টতা এবং স্থানীয় সুফিয়ান মেম্বারকে পঙ্গু করার ঘটনার প্রতিশোধ নিতেই হত্যার পরিকল্পনা হয়।

জবানবন্দিতে আসামিরা জানান, ২২ এপ্রিল রাত আড়াইটার দিকে তারা বোরখা ও মাস্ক পরে সাজেদা ফাউন্ডেশনের পেছনে অবস্থান নেয়। ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে হাশেম সড়কটি অতিক্রম করার সময় তারা রশি দিয়ে তার পথরোধ করে এবং রড, লাঠি ও ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে।

পরে আদালত চার আসামিকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সোনাগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বায়েজীদ আকন জানান, মামলার ৭ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে মূল পরিকল্পনাকারী আক্তারসহ চারজন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন। অন্য তিনজন এখনো জবানবন্দি দিতে রাজি হননি। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) ভোরে ওলামা বাজার সংলগ্ন এলাকায় ৫০ বছর বয়সী বিএনপি কর্মী আবুল হাশেমকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এদিন নিহতের পিতা আবদুর শুক্কুর বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

ঢাকা/সাহাব উদ্দিন/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইতিহাসের সাক্ষী: ১৯৪৭ সালে কীভাবে দুই ভাগ হয়েছিল কাশ্মীর

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর অঞ্চল দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল ১৯৪৭ সালে উপজাতীয় যোদ্ধাদের এক অভিযান এবং তারপরের সামরিক সংঘাতের মধ্য দিয়ে। সেই সংঘাতের শিকার হয়েছিলেন এ রকম কিছু মানুষ এবং কাশ্মীরের রাজনীতিবিদদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিবিসির অ্যান্ড্রু হোয়াইটহেড। তা নিয়ে বিবিসি বাংলার ইতিহাসের সাক্ষীর এই পর্ব।

সেটা ১৯৪৭ সালের অক্টোবর মাস। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর উপজাতি গোষ্ঠীগুলোর যোদ্ধারা অভিযান চালান কাশ্মীর উপত্যকায়। তাদের হাতে ছিল প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র, কিন্তু তারা তেমন সুশৃঙ্খল বাহিনী ছিল না। ট্রাকে করে এই যোদ্ধাদের দল অগ্রসর হলো বারামুল্লার দিকে।

কাশ্মীর উপত্যকার এক প্রান্তে একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল এই বারামুল্লা। এখানে একটি ক্যাথলিক মিশন ও হাসপাতালের ওপর আক্রমণ চালান যোদ্ধারা।

বিবিসি রেডিওর প্রতিবেদনে বলা হয়, বারামুল্লার অন্যান্য ভবনের মতোই সেন্ট জোসেফস কনভেন্টেও এই যোদ্ধারা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন। এই উপজাতীয় যোদ্ধারা লড়াইয়ের ব্যাপারে তাঁদের নিজস্ব রীতিই মানে, আধুনিক যুদ্ধের কোনো নিয়মকানুন তাঁদের জানা নেই।

কাশ্মীরের শ্রীনগরের নিশাত গার্ডেনে ঘুরছেন পর্যটকেরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ