পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর তাঁকে নিয়ে নির্মিত আলোচিত চলচ্চিত্র ‘কনক্লেভ’ দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন দর্শকেরা। সিনেমাটি অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওসহ বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্মে দেখা যাচ্ছে।

গত সোমবার মারা গেছেন পোপ ফ্রান্সিস। মৃত্যুর পরপরই ছবিটির দর্শকসংখ্যা হু হু করে বেড়েছে।

স্ট্রিমিং কনটেন্ট পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান লুমিনেট জানিয়েছে, পোপের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছবিটির ভিউয়ারশিপ (দর্শকসংখ্যা) সোমবারে ২৮৩% বেড়ে যায়। ২০ এপ্রিল সিনেমাটি দেখা হয়েছিল প্রায় ১.

৮ মিলিয়ন মিনিট; আর ২১ এপ্রিল দিনশেষে এই সংখ্যা দাঁড়ায় ৬.৯ মিলিয়ন মিনিটে।

ছবিটি গত বছরের ২৯ নভেম্বর মুক্তি পেয়েছিল। এ বছর অস্কারে আটটি শাখায় মনোনয়ন পেয়ে নজর কেড়েছিল ‘কনক্লেভ’।
রোমান ক্যাথলিক চার্চের এক পোপের মৃত্যুর পর নতুন পোপ নির্বাচনপ্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে ছবিটি নির্মাণ করেছেন এডওয়ার্ড বার্গার।
রবার্ট হ্যারিসের বিখ্যাত উপন্যাস ‘কনক্লেভ’ অবলম্বনে তৈরি ছবিটি একটি শাখায় অস্কার পেয়েছে। এই রাজনৈতিক থ্রিলারে অভিনয় করেছেন রেফ ফাইঞ্জ, স্ট্যানলি টুচি, জন লিথগো প্রমুখ।

এর বাইরে পোপ ফ্রান্সিসকে নিয়ে ‘পোপ ফ্রান্সিস: আ ম্যান অব হিজ ওয়ার্ড’, ‘দ্য টু পোপস’, ‘কল মি ফ্রান্সিস’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মিত হয়েছে।
কোথাও পোপ ফ্রান্সিস সরাসরি দর্শকের সামনে এসেছেন, কোথাও তাঁর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতারা।

আরও পড়ুনপোপ ফ্রান্সিসকে নিয়ে নির্মিত এই ৫ সিনেমা২১ এপ্রিল ২০২৫

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানিতে পেপারবুক থেকে উপস্থাপন চলছে

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন) ও আপিল শুনানিতে পেপারবুক থেকে উপস্থাপন চলছে।

বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি মো. সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি গ্রহণ করেন। শুনানিতে পেপারবুক থেকে আসামি ও সাক্ষীদের জবানবন্দি উপস্থাপনের পর অভিযোগ গঠনের আদেশের অংশবিশেষ উপস্থাপন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

এ মামলায় বুধবার রাষ্ট্রপক্ষের পেপারবুক থেকে উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে আসামিদের ডেথরেফারেন্স ও আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসীম সরকার, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল লাবনী আক্তার, সুমাইয়া বিনতে আজিজ ও তানভীর প্রধান শুনানিতে ছিলেন। আসামি পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান।

পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জসীম সরকার প্রথম আলোকে বলেন, পেপারবুক থেকে আসামি ও সাক্ষীদের ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দি উপস্থাপন করা হয়। এরপর অভিযোগ গঠনের আদেশের অংশবিশেষ পড়ে শোনানো হয়। আগামী রোববার শুনানি হবে। ওই মামলায় ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালত রায় দেন। রায়ে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক মো. লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন, টেকনাফ থানার এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত এবং কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও সাগর দেব; কক্সবাজারের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়া গ্রামের মো. নুরুল আমিন, মোহাম্মদ আইয়াজ ও মো. নিজাম উদ্দিন।

কোনো মামলায় বিচারিক আদালতে রায়ে আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যা ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। এ ছাড়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিদের জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল ও বিবিধ আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। সাধারণত ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের করা এসব আপিল ও আবেদনের ওপর একসঙ্গে শুনানি হয়ে থাকে। সিনহা হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের পর রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৌঁছে, যা একই বছর ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয়।

অন্যদিকে দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ২০২২ সালে আসামিরা পৃথক আপিল ও জেল আপিল করেন। ডেথ রেফারেন্স মামলা শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পেপারবুক (মামলার বৃত্তান্ত) প্রস্তুত করতে হয়। পেপারবুক প্রস্তুতসহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে প্রধান বিচারপতি মামলাটি শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য হাইকোর্টের ওই দ্বৈত বেঞ্চ নির্ধারণ করেন। ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ৯টায় কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের তৎকালীন কর্মকর্তা পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন সিনহা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ