প্রিমিয়ার লিগে খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হামজা চৌধুরী লাল-সবুজের জার্সি পরতেই দেশের ফুটবলে উন্মাদনা ফিরেছে। গত মার্চে শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে ব্রিটেনপ্রবাসী এ ফুটবলারের অভিষেক হয়েছে। তবে দেশের ফুটবল ভক্তরা তাকিয়ে আছেন জুনের দিকে। 

সব ঠিক থাকলে জুনে দেশের মাটিতে অভিষেক হবে হামজার। ১০ জুন এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ৫ জুন প্রস্তুতি ম্যাচে ঘরের মাঠে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়াবেন হামজা। অভিষেক হতে পারে কানাডাপ্রবাসী সামিত সোমকেও।

তাদের আগমণে ফুটবল ম্যাচে দর্শকে গ্যালারি শুধু ভরবে না ছাপিয়ে পড়বে এমন প্রত্যাশা বাফুফের। দর্শকদের কথা চিন্তা করে তাই অনলাইনে টিকিট বিক্রির পরিকল্পনা করছে ফেডারেশন। 

বৃহস্পতিবার কম্পিটিশন কমিটির সভা শেষে আরামবাগ ক্লাবের সভাপতি ও কমিটির সদস্য তাজওয়ার আউয়াল বলেন, ‘আমরা সমর্থকদের মাঠে ফেরাতে চাই। এজন্য স্টেডিয়ামের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা অনলাইনে টিকিট বিক্রি করব। টিকিটের দাম মার্কেটিং কমিটি ও ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত হবে।’

টিকিটের দাম ঠিক না হলেও আসন বিন্যাস নিয়ে একটা ধারণা দিয়েছেন কম্পিটিশন কমিটির সদস্য তাজওয়ার, ‘গ্যালারির (সাধারণ) জন্য আমরা ১৮ হাজার ৩০০ টিকিট বিক্রি করব। এছাড়া অন্য ক্যাটেগরি থাকবে। সমর্থকরা যেন খেলা দেখতে আসতে পারে এবং টিকিটের মাধ্যমে বাফুফের আয় হয়– দুই দিকই বিবেচনা করা হবে।’
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

ইতিহাসের সাক্ষী: ১৯৪৭ সালে কীভাবে দুই ভাগ হয়েছিল কাশ্মীর

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে কাশ্মীর অঞ্চল দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল ১৯৪৭ সালে উপজাতীয় যোদ্ধাদের এক অভিযান এবং তারপরের সামরিক সংঘাতের মধ্য দিয়ে। সেই সংঘাতের শিকার হয়েছিলেন এ রকম কিছু মানুষ এবং কাশ্মীরের রাজনীতিবিদদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিবিসির অ্যান্ড্রু হোয়াইটহেড। তা নিয়ে বিবিসি বাংলার ইতিহাসের সাক্ষীর এই পর্ব।

সেটা ১৯৪৭ সালের অক্টোবর মাস। পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর উপজাতি গোষ্ঠীগুলোর যোদ্ধারা অভিযান চালান কাশ্মীর উপত্যকায়। তাদের হাতে ছিল প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র, কিন্তু তারা তেমন সুশৃঙ্খল বাহিনী ছিল না। ট্রাকে করে এই যোদ্ধাদের দল অগ্রসর হলো বারামুল্লার দিকে।

কাশ্মীর উপত্যকার এক প্রান্তে একটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহর ছিল এই বারামুল্লা। এখানে একটি ক্যাথলিক মিশন ও হাসপাতালের ওপর আক্রমণ চালান যোদ্ধারা।

বিবিসি রেডিওর প্রতিবেদনে বলা হয়, বারামুল্লার অন্যান্য ভবনের মতোই সেন্ট জোসেফস কনভেন্টেও এই যোদ্ধারা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছেন। এই উপজাতীয় যোদ্ধারা লড়াইয়ের ব্যাপারে তাঁদের নিজস্ব রীতিই মানে, আধুনিক যুদ্ধের কোনো নিয়মকানুন তাঁদের জানা নেই।

কাশ্মীরের শ্রীনগরের নিশাত গার্ডেনে ঘুরছেন পর্যটকেরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ