জুলাই অভ্যুত্থানে সাভারের আশুলিয়ায় শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেছেন, জুতাচোর গ্রেপ্তার করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় আমরা জুতা চোর গ্রেপ্তার করেছি। কিন্তু আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়ে গেল সে খুনীদের কেন এখনও ধরতে পারলো না? আমি ধিক্কার জানাই প্রশাসন, বিচার বিভাগকে। আমি ধিক্কার জানাই প্রত্যেকটা রাজনৈতিক দলকে। তারা আজ পর্যন্ত আমার সন্তানের বিচার করতে পারেনি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণহত্যাকারীদের গ্রেফতার-বিচার, বিচারপূর্বক আওয়ামীলীগের নিবন্ধন বাতিল ও রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে’ সংহতি সমাবেশের আয়োজন করে জুলাই মঞ্চ। এতে তিনি এ সব কথা বলেন।

সজলের মা শাহিনা বেগম আরো বলেন, আমার সন্তানরা জীবন দিয়ে গেছে। বাংলাদেশকে সুন্দর করে গড়ার জন্য। কিন্তু তারা নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। আমি নির্বাচন দিয়ে কী করবো? আমার সন্তানের বিচার যদি না হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ তো সুন্দর করে গড়ে ওঠেনি। 

আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, এত মায়ের বুক খালি হওয়ার পরেও উনি কীভাবে বলেন, আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করা যাবে না। আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করতে না চাইলে উনি আপোষে সরে যাক। এখনো সময় আছে ওনাকে যেন অসম্মান হতে না হয়। সজল নাই কিন্তু সজলের মা হিসেবে আমি বেঁচে আছি। সামনের কাতারে থেকে সজলের মা জীবন দিতে প্রস্তুত। আমার আর হারানোর কিছু নাই।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ল ই গণহত য সজল র ম জ বন দ

এছাড়াও পড়ুন:

বিএসএফের এক জওয়ানকে আটক করেছে পাকিস্তান রেঞ্জার্স

ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক জওয়ানকে আটক করেছেন পাকিস্তান রেঞ্জার্সের সদস্যরা। আটক বিএসএফ সদস্যের মুক্তির জন্য দুই পক্ষের আলোচনা চলছে। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই খবর জানিয়েছেন।

পাকিস্তান রেঞ্জার্সের হাতে আটক বিএসএফ সদস্যের নাম পি কে সিং। তিনি ১৮২তম ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল। পাঞ্জাবের ফিরোজপুর সীমান্ত অতিক্রম করার অভিযোগে বুধবার তাঁকে আটক করা হয়।

আটক বিএসএফ জওয়ানকে পাকিস্তান রেঞ্জার্স ভারতের কাছে হস্তান্তর করবে বলে দেশটির কর্মকর্তারা আশা করছেন।

আটকের সময় পি কে সিং জওয়ানের পোশাক পরা ছিলেন এবং তাঁর সঙ্গে বিএসএফের রাইফেল ছিল। তিনি ফিরোজপুর সীমান্তবর্তী অঞ্চলে কৃষকদের সঙ্গে ছিলেন। একটা পর্যায়ে ছায়ায় বিশ্রাম নিতে তিনি সামনের দিকে এগিয়ে যান। তখন পাকিস্তান রেঞ্জার্সের সদস্যরা তাঁকে আটক করেন।

বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন ভারতীয় কর্মকর্তারা বলেছেন, বিএসএফ জওয়ানের মুক্তি নিশ্চিত করতে উভয় বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক চলছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, এই ধরনের ঘটনা অস্বাভাবিক কোনো কিছু নয়। অতীতে উভয় পক্ষের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে।

তবে এমন এক সময়ে এই ঘটনা ঘটল, যখন ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে গত মঙ্গলবার বিকেলে বন্দুকধারীদের হামলার পর উভয় দেশের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন, যাঁদের প্রায় সবাই ভারতের অন্যান্য রাজ্য থেকে আসা পর্যটক।

হামলার পরদিন বুধবার ৬৫ বছরের পুরোনো সিন্ধু পানি চুক্তি একতরফাভাবে স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে ভারত। প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠক শেষে ভারতের সব উড়োজাহাজের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। এ ছাড়া একতরফাভাবে ভারতের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখ্যান করে পাকিস্তান বলেছে, এই চুক্তি লঙ্ঘন করা হলে তা হবে যুদ্ধের শামিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ