৬৪ জেলায় স্বতন্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
Published: 24th, April 2025 GMT
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় স্বতন্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এছাড়া আটটি লার্নিং সেন্টার, একটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও আটটি আঞ্চলিক কেন্দ্রও স্থাপন করা হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ নগর কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৬৮তম সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বতন্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি জাতীয় পর্যায়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা এবং পিএসসিসহ অন্যান্য সরকারি -বেসরকারি চাকরি নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করার সুযোগ তৈরি হবে। পরীক্ষা চলাকালীন কলেজগুলো দীর্ঘ সময় ক্লাস বন্ধ থাকে এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটে। স্বতন্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপন করা হলে সেশনজট কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। স্বতন্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সার্বিক সহযোগিতা পাওয়া যাবে ।
এতে বলা হয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কোর্সে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য কুয়াকাটা (পটুয়াখালী), টেকনাফ (কক্সবাজার), রাঙ্গামাটি, হবিগঞ্জ, তেতুলিয়া (পঞ্চগড়), শ্যামনগর (সাতক্ষীরা), শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) ও হাতিয়ায় (নোয়াখালী) লার্নিং সেন্টার; অধিভুক্ত কলেজগুলোর শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলায় শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণের জন্য ঢাকা, যশোর, কুষ্টিয়া, ঠাকুরগাঁও, নোয়াখালী, পটুয়াখালী, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজার জেলায় আঞ্চলিক কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
আরইবির করা মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবিতে স্মারকলিপি
সারা দেশের গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সরকারি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস)। এসব সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে দুই দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। এর মধ্যে একটি দাবি পূরণে সরকারি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একই সঙ্গে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে চলমান মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
এ দাবি জানিয়ে বিভিন্ন সমিতির ২৮ হাজার ৩০৭ জনের স্বাক্ষরসহ একটি স্মারকলিপি বৃহস্পতিবার জমা দেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা বরাবর আবেদনটি তাঁর দপ্তরে জমা দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া স্মারকলিপিটির অনুলিপি জমা দেওয়া হয়েছে সরকারের আরও কয়েকটি মন্ত্রণালয়ে। এতে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন করে আরইবি ও সমিতি একীভূত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, গত ১৬ অক্টোবর আরইবি কর্তৃক ১০ জন কর্মকর্তা বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত হন এবং একই রাতে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনাগুলো পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ–বিভ্রাটের ঘটনাও ঘটে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাময়িক অব্যাহতিসহ বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। এ স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীতে কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, আরইবির দমন-পীড়ন বন্ধ এবং সংস্কার আন্দোলনের কারণে হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুত সহকর্মীদের চাকরিতে পুনর্বহালের জন্য গত জানুয়ারিতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর গণস্বাক্ষরসহ আবেদন করে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবন যাপন করছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। তাই মানবিক দিক বিবেচনায় মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের জন্য বিদ্যুৎ উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাঁরা।
আরও পড়ুনব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাকরি পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ, সাড়ে ৭ লাখ গ্রাহকের ভোগান্তি১৭ অক্টোবর ২০২৪গত বছরের জানুয়ারি থেকে দুই দফা দাবিতে টানা কর্মবিরতিসহ বিভিন্ন সময় নানা কর্মসূচি পালন করেছে সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দুই দফার মধ্যে আছে অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন করে আরইবি ও সমিতি একীভূত করা এবং সমিতির অনিয়মিত কর্মীদের স্থায়ী চাকরিতে নেওয়া। একপর্যায়ে তাঁদের একজনের গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে গত অক্টোবরে বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেন তাঁরা। এর পর থেকেই কারও কারও বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাসহ বিভিন্ন রকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয় আরইবি।
আরও পড়ুনকুমিল্লায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১৫৬ কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৫১৮ অক্টোবর ২০২৪