রিয়ালের আগ্রহ নিয়ে মুখ খুললেন অ্যালিস্টার
Published: 24th, April 2025 GMT
মৌসুমজুড়ে একজন প্লে মেকারের অভাবে ভুগছে রিয়াল মাদ্রিদ। টনি ক্রুস ক্লাব ছাড়লেও তার জায়গা পূরণে কাউকে কেনেনি লস ব্লাঙ্কোসরা। ৩৯ বছর বয়সী লুকা মডরিচ থাকলেও নিয়মিত শুরুর একাদশে জায়গা পাননি তিনি। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণও নিতে পারেননি।
মৌসুম শেষে রিয়ালের সঙ্গে আবার চুক্তি শেষ ক্রোয়াট মিডফিল্ডার মডরিচের। আগামী মৌসুমে তাই একজন প্রতিশ্রুতিশীল মিডফিল্ডার দলে ভেড়াতে মরিয়া ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের বোর্ড। সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, লিভারপুলের আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ম্যাক অ্যালিস্টারকে প্রথম পছন্দ রিয়ালের।
আগামী মৌসুমে বিশ্বকাপ জয়ী ও লিভারপুলের হয়ে প্রিমিয়ার লিগ জিততে যাওয়া অ্যালিস্টারকে দলে নিতে চায় রিয়াল মাদ্রিদ। বিষয়টি নিয়ে আর্জেন্টাইন প্লে মেকারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, তার নতুন কোন চাওয়া নেই। লিভারপুলে ভালো আছেন, সুখে আছেন।
ম্যাক অ্যালিস্টার বলেন, ‘আমি খবরটি দেখিছি, আমার কাছেও গুঞ্জনটি পৌঁছেছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ হলো বর্তমান নিয়ে ভাবা। ক্লাবটি (রিয়াল মাদ্রিদ) আমাকে কত বেশি পছন্দ করে সেটা বিষয় না, আমি যদি এক সপ্তাহ খারাপ খেলি তারা আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে।’
লিভারপুলের সঙ্গে ২০২৮ সাল পর্যন্ত চুক্তি আছে ম্যাক অ্যালিস্টারের। কিছুদিন আগে অ্যালিস্টারের বাবা ও আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার কার্লোস অ্যালিস্টার জানান, লিভারপুল ছাড়ার কথা ভাবছে না তার ছেলে। ম্যাকও একই সুরে কথা বলেছেন, ‘আমি লিভারপুলে ভালো আছি, কোন কিছুর অভাব নেই আমার। ক্লাবের প্রতি অগাধ সম্মান আছে এবং অন্য ক্লাব নিয়ে কিছু বলার প্রয়োজনবোধ করছি না।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ফ টবল দলবদল
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার ঠিকাদারির লাইসেন্স ছিল, জানিয়ে ক্ষমা চাইলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে ‘বাবার ভুলের জন্য’ ক্ষমা চেয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি আজ বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া পোস্টে ক্ষমা চান।
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার বাবার ঠিকাদারি লাইসেন্স থাকার বিষয়টি জানিয়ে গতকাল বুধবার রাতে ফেসবুকে পোস্ট দেন এক গণমাধ্যম কর্মী। তিনি বিষয়টির সত্যাসত্য জানতে চান আসিফ মাহমুদের কাছে। আসিফ মাহমুদ খোঁজ করে জানান যে, তাঁর বাবার লাইসেন্স নেওয়ার বিষয়টি সঠিক। আর বিষয়টি তাঁকে জানান বলেও ওই গণমাধ্যম কর্মী তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন। এরপরই আজকে আসিফ মাহমুদ বিষয়টি নিয়ে পোস্ট দিলেন। সেটি হুবুহু তুলে ধরা হলো:
‘প্রথমেই আমার বাবার ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
গতকাল রাত ৯ টার দিকে একজন সাংবাদিক কল দিয়ে আমার বাবার নামে ইস্যুকৃত ঠিকাদারি লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে চাইলেন। বাবার সাথে কথা বলে নিশ্চিত হলাম তিনি জেলা পর্যায়ের (জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার এর কার্যালয় থেকে ইস্যুকৃত) একটি লাইসেন্স করেছেন। বিষয়টি উক্ত সাংবাদিককে নিশ্চিত করলাম। তিনি পোস্ট করলেন, নিউজও হলো গণমাধ্যমে। নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে তাই ব্যাখ্যা দেয়ার প্রয়োজনবোধ করলাম।
আমার বাবা একজন স্কুল শিক্ষক। আকুবপুর ইয়াকুব আলী ভুঁইয়া পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্থানীয় একজন ঠিকাদার কাজ পাওয়ার সুবিধার্থে বাবার পরিচয় ব্যবহার করার জন্য বাবাকে লাইসেন্স করার পরামর্শ দেন। বাবাও তার কথায় জেলা নির্বাহী ইঞ্জিনিয়ার থেকে একটি ঠিকাদারি লাইসেন্স করেন। রাষ্ট্রের যেকোন ব্যক্তি ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে যেকোন লাইসেন্স করতেই পারে। তবে আমি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বরত থাকা অবস্থায় বাবার ঠিকাদারি ব্যবসায় জড়ানো স্পষ্টভাবেই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট। বিষয়টি বোঝানোর পর আজ বাবার আবেদনের প্রেক্ষিতে লাইসেন্সটি বাতিল করা হয়েছে।
বাবা হয়তো কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্টের বিষয়টি বুঝতে পারেন নি, সেজন্য বাবার পক্ষ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
উল্লেখ্য, মধ্যবর্তী সময়ে উক্ত লাইসেন্স ব্যবহার করে কোনো কাজের জন্য আবেদন করা হয়নি।’